মেয়ের প্রথম দাঁত তোলা
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লকবাসি বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মেয়ের দুধ দাঁত ফেলানো নিয়ে কিছু অনুভূতি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগব।
দাঁত হচ্ছে প্রতিটি মানুষের সৌন্দর্যের অংশ। আসলে সৃষ্টিকর্তা মানুষের অঙ্গে যা যা দিয়েছেন সব কিছুরই কোন না কোনভাবে মানব দেহের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি চুল ও দাঁত আমাদের সৌন্দর্যের একটি অংশ।শুধু কি সৌন্দর্য। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ দাঁত। কারণ দাঁত দিয়েই তো আমরা সবকিছু চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়ে জীবন ধারণ করি। তাই দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা করা উচিত। বেশ কিছুদিন থেকে লক্ষ্য করছিলাম মেয়ের দাঁত নড়ে। দুধ দাঁত ছিলো।একদম সামনের দাত।আসলে দুধ দাঁত সবার সামন থেকেই পড়া শুরু করে।সেরকম আমার মেয়ের ও সামনের দাঁত আলগা হয়ে গিয়েছিল। জিভ দিয়ে নড়ালে নড়ে কিংবা আঙ্গুল দিয়ে।অনেক দিন হয়ে গেলো কিন্তুু পড়ছেই না পরবে পরবে করে দু মাস কেটে গেলো কিন্তুু পরলো না।অথচ নিচ দিয়ে নতুন দাঁত গজাচ্ছিল।দাঁতের মাথা লক্ষ্য করলাম আর ভয় পেয়ে গেলাম কারণ বাঁকা দাত গজাবে না তো আবার।মেয়েও নড়ে যাওয়া দাঁতটি তুলতে দিচ্ছে না।তাই ঠিক করলাম ডেন্টাল ক্লিনিকে নিয়ে যাবো যে কথা সেই কাজ রেডি হয়ে রওনা দিলাম ডেন্টাল ক্লিনিকের উদ্দেশ্যে।ফোন করে সিরিয়াল নেয়া হয়েছিলো তবুও ওয়েটিং রুমে বেশ কিছু সময় ধরে ওয়েট করতে হলো।এরপু আসলো আমাদের সিরিয়াল এখন আমরা ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকলাম।মেয়ের মুখখানা ভয়ে শুকিয়ে গেছে।তারপর অপারেশন রুমে শুইয়ে দিয়ে অবশ করে নিলেন দাঁতের গোড়ায় ইনজেকশন দিয়ে।এবং নানান গল্প করে করে দাতটি তুলে ফেল্লেন। আমি পাশে বসে মেয়েকে সাহস দিচ্ছিলাম।
ফোনের ভিডিও থেকে স্কিনসর্ট নিয়েছি।
দাঁত তুলে দেয়ার পর রক্ত বের হচ্ছিল তাই তুলা দিয়ে দিলেন দাঁতের গোড়ায়।একটু একটু কান্না করছিলো তবে লজ্জা ও পাচ্ছে কান্না করতে।ডাক্তার যখন বল্লেন যে আইসক্রিম খাইয়ে দেন সে কথা শুনে তো মহাখুশি নিমিষেই কান্না থেমে গেলো।তারপর নিচে এসে আইসক্রিম খাওয়ালাম ও বাড়িতে চলে আসলাম।আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আমার নিজের প্রথম দাঁত তোলার গল্পটা মনে পড়ে গেল, যদিও সেটা মামা তুলে দিয়েছিল জোরপূর্বক ভাবে। ছোটবেলা একটা ব্যথা পাওয়ার কারণে আমার দাঁত অনেক আগেই নড়ে গিয়েছিল। তাই আমার প্রথম রাত ছয় বছর বয়সেই পড়ে গিয়েছিল।
আপনি ঠিক কথা বলেছেন দাঁত হচ্ছে প্রতিটা মানুষের সৌন্দর্যের অংশ এবং মানুষকে কিন্তু সৌন্দর্য লাগে দাঁতগুলি পরিপাটি হলে সামনে থেকে। আমাদেরও ছোটবেলায় দুধ দাঁত পড়া শুরু করে এবং আপনার মেয়ের আজকে দুধ দাঁত পড়া শুরু করছে। আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন অনেক সুন্দর ভাবে। আমরাও ছোটবেলায় অনেক কান্নাকাটি করতাম দাঁতটি তোলার জন্য। আপু একটা কথা কি পোস্টের লেখা খুবই কম হয়ে গেছে। আরেকটু যদি সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখতেন আরো কয়েকটা ছবি দিয়ে পোস্টের বিবরণ টা দিতেন তাহলে আরো সুন্দর লাগতো।
ধন্যবাদ,আসলে ছবি ওভাবে তুলতে পারিনি তাই ছবি কম হয়ে গেছে। এরপর থেকে গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করবো।
আমার যখন ছোটবেলা দাঁতগুলো লড়ে যায় সেই মুহূর্তে শুধু দাঁত নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। কিভাবে এই দাঁত উঠানো যায় আবার ভয় পেতাম ছোট্টকালের এই অনুভূতিটি আপনার মেয়ের দাঁত তোলার মুহূর্তের গল্প পড়ে এবং দেখে মনে পড়ে গেল। আমার একটি দাঁত হালকা বাইরে চলে গিয়েছিল জিহ্বা দিয়ে নাড়াচাড়া করার জন্য। শুধু এই দিক দিয়ে মেয়েকে সাবধান করে দিবেন আপু।
হাহা ঠিক বলেছেন জিহ্বা দিয়ে নারাচারা করলে বাঁকা দাঁত ওঠে।
আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলা আমার দাঁত তোলার মুহূর্তের কথা মনে পড়ে গেল আপু। আমার একটি দাঁত নড়তো, কিন্তু ভয়ে তুলতে দিতাম না। তারপর যা হবার হলো,ভিতরে একটি বাকা দাঁত গজিয়ে গিয়েছে। যাইহোক আপনার মেয়ের দাঁত তুলতে ডেন্টাল ক্লিনিকে গিয়ে বেশ ভালো করেছেন। আইসক্রিম এর কথা শুনে সব ব্যথা তাহলে দূর হয়ে গেল 😂। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আহারে, মেয়ের কাচুমাচু মুখটা দেখেই তো মায়া লাগতিসে...
অবশ্যই ঠিক কাজ করেছো ডেন্টিস্টের কাছে নিয়ে গিয়ে দাঁতটা তুলে এনেছো। বরং দুই মাস অপেক্ষা করাই ঠিক হয় নি, আরো আগেই যাওয়া হলে ভালো হতো। তবে পরে আইসক্রিম খাওয়ার কথা শুনে নিশ্চয়ই খুশী হয়ে গিয়েছে।
ঠিক বলেছো আরো আগে যেতে হতো।হ্যাঁ আইসক্রিম খাওয়ার কথা শুনে মহাখুশি হয়ে গিয়েছিলো।
আপু আপনার মেয়ের দাঁত তোলার এই লেখা পড়ে আমার ছোটকালের কথা মনে পড়ে গেল ছোটবেলায় আমারও দাঁত তুলেছিলাম ইস বাবা কি লাগা লাগছিল। তবে এটা ঠিক দাঁত নড়লে যদি তুলে ফেলা না যায় তাহলে পাশ দিয়ে দাঁত উঠে আর সেই দাঁত বাঁকা হয়। সর্বশেষে মেয়ে দাঁত উঠাতে সক্ষম হয়েছেন এবং কিছু নিয়মকানুন দিয়েছে সেগুলো অবশ্যই মেনে চলবে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
হ্যাঁ ভাইয়া সঠিক সময়ে দাঁত না তুললে বাঁকা হয়ে ওঠে নিচে।অবশ্যই নিয়ম গুলো মেনে চলবো।ধন্যবাদ
দাঁত মানুষের সৌন্দর্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ছোটদের দাঁত তো তাই ততটা সমস্যা নয় কিন্তু বড়দের দাগ করে একটু সমস্যায় পড়তে হতো। দাঁতটি তুলে ফেলে ভালো করেছেন না হলে দাঁত বাঁকা ভাবে গজাতে শুরু করে দিত।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া না তুল্লে বাঁকা হয়ে গজাতো দাঁত।