কাঁচা বোয়ালের কালিয়া রেসিপি ❤️
[হ্যালো]
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো কাঁচা বোয়াল মাছের কালিয়া রেসিপি।আপনারা হয়তো জানেন প্রথমে আমার মেয়ে তারপর আমার এবং অবশেষে আমার বরের পক্স উঠেছিলো।মারাত্মক সংক্রামক রোগ এটি তাই আমারা সবাই একের পর এক আক্রান্ত হয়ে থাকি এই রোগে।
আমাদের এলাকায় গ্রামের মানুষের ধারণা বোয়াল মাছ খেতে শরীরে পক্সের দাগ বসে না।গ্রামে বোয়াল মাছ সচারাচর পাওয়া কষ্টের তবে ছোট বোয়াল পাওয়া যায় মাঝে মধ্যে শহরে।ছোট বোয়াল একদমই খেতে ভালো লাগে না।আমার বাবার বাড়িতে বড়ো পুকুর ও মাছের ঘের আছে আর সেখানে বোয়াল মাছ ও ছেরেছে।এখন বর্ষাকাল অনেক জল পুকুরে আর সেজন্য বোয়াল মাছ ধরাটা খুব কষ্টের তবুও আমার বাবা মাঝিদের কে বোয়াল মাছ ধরতে নামিয়েছিলো এবং দুদিন ব্যার্থ হওয়ার পর পরে একটি চার কেজি ওজনের বোয়াল মাছ ধরতে সক্ষম হয়েছে এবং সেই বোয়াল নিয়ে আমার শ্বশুড় বাড়িতে হাজির।আমি তো এতো বড়ো বোয়াল দেখে অবাক।
এরপর বোয়াল মাছটি কেটে রান্না করেছিলো তবে সেদিন রেসিপি করা হয়নি তাই আজ ভাবলাম কাঁচা মাছের কালিয়া করি। কাঁচা মাছ খাই না আমরা তবে কাঁচা বোয়ালের কালিয়া খেতে মন্দ লাগে না।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
বোয়াল মাছ | ৬ পিস |
---|---|
কালো জিরে | এক চা চামুচ |
গোটা জিরা | এক চামুচ |
তেজপাত | তিন টি |
রসুন বাটা | ২/৩ চামুচ |
আদাবাটা | ১/২চামুচ |
জিরা বাটা | ২/৩ চামুচ |
লবন | স্বাদ মতো |
হলুদ | ,পরিমাণ মতো |
গরম মসলা | ১/২চামুচ |
কাঁচা মরিচ | পাঁচটি |
শুকনো মরিচের গুড়া | ১/২ চামুচ |
ভোজ্য তেল | পরিমাণ মতো |
গরম মসলা | ১/২চামুচ |
প্রথম ধাপ
প্রথমে মাছ কেটে ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি ও সব মসলা বেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন বোয়াল মাছ গুলোতে বাটা মসলা উপকরণ ও তেল দিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দিয়েছি এক ঘন্টার জন্য। বেশি সময় ম্যারিনেট করতে চাইলে ফ্রিজের নরমালে রেখে দিয়েছি।এক ঘন্টার জন্য রাখলে ফ্রিজে না রাখলেও চলবে।
তৃতীয় ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো দিয়ে গরম করে নিয়েছি তো তাতে গোটা জিরা ও কালোজিরে, তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন ফোঁড়ন দেয়া উপকরণে পেঁয়াজ কুচি দিয়েছি ও কিছু সময় ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন ভাজা পেঁয়াজে বাটা সব উপকরণ গুলো দিয়েছি ও কিছু সময় নারাচারা করে ভেজে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন ম্যারিনেট করা মসলা গুলো মাছের গা থেকে ছড়িয়ে নিয়েছি ও মসলা গুলো আগের কষানো মসলায় দিয়েছি ও কষিয়ে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
এখন কষানো মসলায় বোয়াল মাছ গুলো দিয়েছি ও পরিমাণ মতো জল দিয়ে ফুঁটিয়ে নিয়েছি।কাঁচা মরিচ দিয়েছি।
নবম ধাপ
ঢাকা দিয়ে কিছু সময় ফুঁটিয়ে নিয়েছি। পুরাপুরি ভাবে হয়ে গেছে তাই নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার সুস্বাদু ও লোভনীয় কাঁচা বোয়াল মাছের কালিয়া রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোষ্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
বোয়াল মাছ খেলে শরীরে পক্সের দাগ বসে না এটা আগে শুনি নি। যাইহোক, আপনার বাবা চার কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ নিয়ে এসেছেন। অনেকদিন বোয়াল মাছ খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি টা দেখে খুবই ভালো লাগলো। খেতে নিশ্চয়ই সুস্বাদু হয়েছে। আর যেহেতু নিজেদের পুকুরের তাই আরো বেশি ভালো লেগেছে নিশ্চয়ই। ধন্যবাদ আপনাকে মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের মানুষের বিশ্বাস আপু এটা যে বোয়াল মাছ খেলে দাগ বসে না।সত্যি সুস্বাদু ছিলো মাছটি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পক্সের মত মারাত্মক সংক্রামক রোগ থেকে পরিবারের সবাই সুস্থ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। পক্স সেরে গেলেও কিন্তুু দাগ থেকে যায় অনেকদিন। আর এই দাগটা রিমুভ করার জন্য শুধু আপনার গ্রাম না আমাদের গ্রামের সবাই বোয়াল মাছ খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। আর আপনার পিতাও এর ব্যতিক্রম নয় নিজের মাছের ঘেড় থেকে ৪ কেজি ওজনের বোয়াল মাছ নিয়ে এসেছে সন্তানের জন্য। যাই হোক আপনার বোয়ালের কালিয়াটা কিন্তুু অনেক সুন্দর ছিল। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। তাছাড়া আপনার কাঁচা বোয়ালের কালিয়া রেসিপির ধাপগুলো কিন্তু অনেক সুন্দর ছিল যা দেখে যে কেউ এই রেসিপিটা তৈরি করতে পারবে । সবশেষে এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনাদের এলাকায় ও পক্সের দাগ উঠার জন্য বোয়াল মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেয় জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বোয়েল মাছ আমি কখনো খাইনি। তাই কাঁচা বোয়েল মাছ নামে যে বোয়েল মাছ আছে এটাও আমি জানিনা।তবে আপনার তৈরি রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।কারণ তো আর গাড়ির কালারটি খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে।সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
কাঁচা বোয়াল মানে না ভেজেই রান্না কাঁচা বোয়াল মাছের নাম নয়।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ্ আপনার বাবার বাড়ির পুকুর থেকেতো এবটি বড় বোয়াল মাছ আনা হলো। আসলে প্রক্সের জন্য শুনেছি ফলি মাছ খায়। তবে আজ আপনার থেকে নতুন জিনিস শিখে নিলাম। যা কাজে লাগবে। কাচাঁ বোয়ায়ের কালিয়া আমরাও খাই আপু। আজ আপনার বোয়াল মাছের কালিয়া দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক স্বাদ হয়েছে। খুব সুন্দর করে রেসিপিটি আপনি রান্না ও পরিবেশন করেছেন।
বোয়াল মাছের আঁশ নেই জন্য বোয়াল মাছ খেতে হয় পক্স উঠেলে আমাদের এলাকার সবার বিশ্বাস।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কাঁচা বোয়াল মাছের কালিয়া রেসিপি, নামটাই কেমন নতুন লাগছে। রেসিপিটাও দারুন হয়েছে। বাবাদের সবসময় মেয়েদের জন্য টান থাকে বেশি। সেই জন্যই তো আপনার বাবা আস্তো বোয়াল মাছ নিয়ে আপনার শ্বশুর বাড়িতে হাজির। যায়হোক দারুন রেসিপি হয়েছে। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাবাদের মেয়েদের জন্য টান বেশি হয়ে থাকে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কাঁচা বোয়ালের কালিয়া রেসিপি আমি আগে কখনো খাইনি। ইউনিক একটি রেসিপি পোস্ট উপহার দিলেন আপনি। রন্ধন প্রনালীর ধাপ সমূহ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন আপনি। দারুণ লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
কাঁচা বোয়ালের কালিয়া খেয়ে দেখবেন অনেক ভালো লাগবে খেতে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বোয়াল মাছ এখন তেমন একটা দেখা যায় না। আগে গ্রাম অঞ্চলে প্রায় পাওয়া যেতো । বেশ অসাধারণ রেসিপি উপস্থাপন করেছেন আপনি। বোয়াল মাছের রেসিপি দেখেই খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। কাঁচা বোয়ালের কালিয়া রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বোয়াল মাছ কম পাওয়া যায় এখন।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ওয়াও আপনি লোভনীয় একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছেন।এককথায় বলতে গেলে জিভে জল আনার মত রেসিপি।ছবি দেখে বুঝতে পারলাম খেতে খুব ভালো হয়েছিল রেসিপিটি।আপনি ধাপগুলো খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন খেতে সত্যি অনেক ভালো ছিলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কিছুদিন আগে জেনেছিলাম আপনার পরিবারের প্রায় সবার পক্স দেখা দিয়েছে। এটি আসলে ভাইরাসজনিত রোগ। সবাই সুস্থ হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। বাটা মশলা দিয়ে যে কোনো তরকারি রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আপনি বাটা মসলায় কাঁচা বোয়ালের মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। অনেকদিন বোয়াল মাছ খাওয়া হয় না আপনার রেসিপিটা দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু মজাদার বোয়াল মাছের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন বাটা মসলায় রান্না করলে স্বাদ বেড়ে যায়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু প্রথমেই আপনার মেয়ে এবং পরিবারের সবার সুস্থতা কামনা করছি। দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা যেনও সবাই কে হেফাজত করে। কাঁচা মাছের কালিয়া দেখেই বেশ লোভনীয় লাগছে। খেতে মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে আর এমন ভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে একটা বিষয় শিখলাম আপনার কাছ থেকে। পক্সের দাগ পড়ে না বোয়াল মাছ খেলে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য। আমাদের গ্রামে প্রচলিত কথা বোয়াল মাছ খেলে পক্সের দাগ চলে যায় তারাতাড়ি।