শীতের সকালে কাকাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাওয়া
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো শীতের সকালে জেলা শহরে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার অনুভুতি।
শীতের সকাল খুব একটা দেখার সুযোগ হয়ে ওঠেনা আমার।আমি বড্ড আরাম প্রিয় মানুষ।শীতের সকাল দেখবো এই শীতে না কখনোই নয়।তার চেয়ে এই ভালো বাবা কম্বল মুড়িয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকবো।আর এই আরাম প্রিয়তার কারণে কখনো একান্তই খুব জরুরি প্রেয়োজন ছারা বাইরে বের হই না আমি।বাড়িতে এসেছি মানে বাবার বাড়িতে এসেছি এক সপ্তাহ হচ্ছে। এখানেও দশটার আগে বিছানা ছাড়ি না।কাকা অসুস্থ কয়েক দিন থেকে তবে আজ একটু বেশি অসুস্থ হয়ে গেছে। পায়ে রস নেমে গেল। হিঁচকি উঠছে অলটাইম, খেতে পারছে না কিছু খেলেই বমি হচ্ছে। আসলে উনি ডায়াবেটিসও প্রেসারের রোগী। গাইবান্ধা ডায়বেটিস সমিতির সদস্য ওনি।
তাই ঠিক করা হলো আগে ডায়াবেটিস বেড়েছে কিনা জানতে হবে।যে কথা সেই কাজ অটো ডাকা হলো।ছোট মা যাবে সাথে,ছোটমা হলো কাকার ওয়াইফ আমরা ছোট মা ডাকি।আমি ও যাবো সাথে বল্লাম। অটো আসলো খুব সকালে।রেডি হয়ে আমরা বের হয়ে গেলাম।শীতের সকাল রাস্তা ঘাট একদমই ফাঁকা। আমাদের মতো একান্তই দরকার ছারা কেউ বের হয়নি এতো সকালে।আমরা যাচ্ছি আমাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।।আমরা যাচ্ছি অটোতে আর প্রকৃতিক সুন্দর্য উপভোগ করছি আমি।এমন সুন্দর দৃশ্য খুব কম উপভোগের সুযোগ হয়েছে শীত কালে।আমরা যাচ্ছি রাস্তা দিয়ে আর দুপাশে মনোরম চোখ ধাঁধানো পরিবেশ। সরিষা ফুলের ক্ষেত।পুরা আধা ঘন্টা গেলাম শুধু সরিষা ফুলের সুন্দর্য় উপভোগ করতে করতে।মাঝ খানে হঠাৎ লক্ষ্য করলাম সারি সারি বাক্স এবং পাশেই তাবু টানানো।প্রথমে ভেবেছিলাম যে সাপুড়ে সাপের বক্স রেখেছে কিন্তুু পরক্ষণেই বুঝতে বাকি রইলো না যে ওগুলো বক্সে রাণী মৌমাছি আছে এবং সরিষা ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করেই রানী মৌমাছির কাছে নিয়ে আসে এবং মধু আহরণ করেন। মূলত এজন্যই সরিষা ফুলের কাছেই বক্স গুলোকে বক্সে করে সারি সারি ভাবে রেখে দিয়েছে।দুঃখের বিষয় এই দৃশ্যের একটিও ফটোগ্রাফি করতে পারিনি কারণ মোবাইল লক খুলতে খুলতেই আমাদের অটোট্টি দ্রুত পেরিয়ে গেছে। চোখ যে দিকে যায় শুধু সরিষা খেত আর সরিষা খেতে। খুব ভালো লাগিলো সকালের পরিবেশ টা।
এর পর আমরা গিয়ে পৌঁছাতে পারলাম ডায়াবেটিস সমিতির হাসপাতালে। প্রথমে সুগার টেস্ট করার জন্য ব্লাড নিলো খালি পেটে।এরপর আবার খাওয়ার পর।অনেক রুগীর ভীর তবে আজকে অন্যন্য দিনের তুলনায় রুগি অনেক কম।
ব্লাড টেস্ট করার পর ডাক্তার কে দেখানো হলো।ছয় থেকে সাতজন মেডিকেল কলেজের ডাক্তার বসেন।যে যার পছন্দসই ডাক্তার কে দেখাতে পারেন।আমরাও আমাদের আগের ডাক্তার দেখালাম।কাকা আগে যে ডাক্তার কে দেখিয়েছেন তাতে দেখানো হলো।রিপোর্ট দেখে ডাক্তার তো অবাক এতো বেরে গেলো কি করে ডায়াবেটিস।পায়ে রস নেমেছে। খেতে পারে না একজন আবারও কিডনির জন্য ব্লাড টেষ্ট, ইউরিন টেষ্ট,হেপাটাইটিস বি,এর জন্য ব্লাড টেষ্ট, ইসিজি
আধা ঘন্টা পর রিপোর্ট দেবে তাই আমিও ছোট মা খেতে গেলাম।কাকা খাবে না তাই দুজনেই গেলাম গিয়ে সিংগাড়া ও পাটিসাপটা পিঠা খেলাম।একটুও ভালো লাগেনি খেতে তবুও খেলাম।
খেয়ে এসে দেখি রিপোর্ট তৈরি হয়েছে এবং কাকাকে ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে গেছে। অপেক্ষায় আছে ইসিজি রিপোর্টের।ইসিজি রিপোর্ট তো সাথে সাথেই দিয়েছে কিন্তুু ছোটমার ব্যাগে ছিলো রিপোর্ট টি।যাইহোক ভগবানের কৃপায় অন্য কোন সমস্যা নেই শুধু ডায়াবেটিস বে্ড়ে গেছে অনেকটা।ঔষধ দিয়েছে। ঔষধ গুলো কিনে ও মেয়ে ফোন করে বলেছে ফুচকা নিয়ে যেতে তাই ফুচকা পার্রসেল নিয়ে রওনা হলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। সাতদিন পর আবার নিয়ে যেতে হবে।
আসার সময় ভাবছিলাম অটোতে কাকাকে নিয়ে অনেক কথা।থাক সেগুলো অন্যদিন শেয়ার করবো।সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোষণ | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
এই শীতকালে তো আমারও ঘুম থেকে উঠতে আজকাল অনেক বেশি দেরি হয়ে যাচ্ছে দিদি। তবে এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্য বা রাস্তার দুইপাশ দিয়ে সরিষা ক্ষেত, এত সুন্দর মনোরম দৃশ্য বেশ কয়েক বছর আমার চোখে পড়ে না। আপনার কাকার সুস্থতা কামনা করছি দিদি। তাছাড়া ওনার যে শুধুমাত্র ডায়বেটিসটা বেড়েছে তাই ছাড়া আর তেমন কোনো বিশেষ সমস্যা নেই এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। আশা করি উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।
হ্যাঁ ডায়াবেটিস ছারা কোন সমস্যা নেই আমরা ভয় পেয়ে গেছিলাম খুব।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য দিদি।
প্রথমে আপনার কাকার সুস্থতা কামনা করি। সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে খুব দ্রুত সুস্থ করে দেয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে নিশ্চয় তিনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবেন। সকালবেলা বেশ সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। সরিষা ক্ষেতে হলুদ ফুল দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে এমন প্রকৃতির নান্দনিক সৌন্দর্য বেশ অসাধারণ। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ আমার পোস্টে খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।