পিকনিক
হ্যালো,
পিকনিক ও কি কি ছিলো মেনুতে 😋।
থার্টি-ফাস্টের পিকনিকে আমি ছিলাম না।কাল আমার কাকাত দেবর ও এক ভাতিজা রাতে এসে বলে কাল পিকনিক করবো আবার।
আমি:এতো কেন পিকনিক। এই তো সেদিন পিকনিক হলো।
দেবর:তুমি ছিলা না তাই আমার কাল করবো টাকা দাও।
আমি:মুচকি হাসলাম।
আর ও বুঝতে পারলো আমি রাজি। আমি বলে দিলাম কাল নিও টাকা।চলে গেলো।
সৌরভ আমার কাকাত দেরর ও অনার্সে পড়ে যশোরে। আর ভাতিজা মেডিকেলের ছাত্র। ডিসেম্বর মাসে ছুটিতে আসে এবং ওদের সাঙ্গপাঙ্গরা সব আসে ছুটিতে।তাই প্রতি বছর থার্টি-ফাস্টে পিকনিকের আয়োজম করে ওরা।আমি বেশি ভাগ সময় থাকি না কারণ মেয়ের স্কুল বন্ধ থাকায় আমি বাবার বাড়ি চলে যাই।তবে হাতে গোনা কয়েকবার খেয়েছিলাম মনে আছে।
আমি বলেছিলাম ভোটের দিন খেতে কিন্তু ভোটের দিনে পরিবেশ পরিস্থিতি কেমন হবে দেশের এই ভেবে রাজি হলো না ওরা।
আজকের পিকনিকের মেনুতে আছে।বুটের ডাল,মাটক কষা আলু দিয়ে,লুচি। ভালোই কিন্তুু মন্দ নয়।মাঝে মাঝে এভাবে পিকনিক করতে বেশ ভালোই লাগে।
এই তো পিকনিকের রান্না চলছে।প্রথমে ডাল রান্না করে নেয়া হয়েছে।
ডাল রান্নার পর লুচির জন্য সব তৈরি করে নেয়া হলো এবং লুচি ময়াম দিয়ে লুচির জন্য লেচি কেটে নেয়ার পর লুচি গুলো একে একে বেলে নেয়া হলো।
এরপর লুচি ভেজে নেয়া হলো একে একে বড়ো একটি হাড়িতে করে লুচি করা হয়েছে এক হাড়ি।
এরপর মাংস রান্না চলছে।মাটন ছোট করে কেটে নিয়ে আলু দিয়ে কষিয়ে কষিয়ে রান্না করা হয়েছে। আসলে লুচি দিয়ে এভাবে মাংস রান্না করে খেতে খুব ভালো লাগে।
রান্না শেষ এখন খাওয়াদাওয়ার জন্য সব তৈরি করে নেয়া হচ্ছে।
এই তো সব বসে পড়েছে খেতে।সিনিয়ররা টেবিলে বসেছে।
এখন ছেলেপেলেরা বসেছে খেতে।সবাই ভীষণ মজা করে খাচ্ছে।
আমি তীর্থের কাকের মতো বসে বসে ফটোগ্রাফি করছি ও পোষ্ট লিখছি।
এবার আমারা খাবো।
আমরা খাওয়ার পর চলে আসলাম বাড়িতে এসে সোজা কম্বলের নিচে শুয়ে শুয়ে এখন পোস্ট শেয়ার করবো সবার সাথে।এই ছিলো আমার আজকের পিকনিক করা ও সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করার।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
মূলত আপনার দেবরদের উদ্যোগে এই পিকনিকের আয়োজন। লুচি ডাল আর সবজি দিয়ে পিকনিক আইডিয়াটা দারুন। তবে লুচির সাথে যদি রস মিষ্টি থাকতো তাহলে আমি দাওয়াত নিতাম হি হি হি। আর আগে থেকে দাওয়াত দিলে আমি নিজে রস মিষ্টি নিয়ে উপস্থিত হতাম 😁
আসলে রস মিষ্টি হলে সত্যি জমতো তবে বড়ো দের ডায়বেটিস ছিলো জন্য মিষ্টির ব্যাবস্থা করা হয়নি।
এখন চারদিকে শুধু পিকনিক আর পিকনিক!দেখেই তো লোভ লেগে যাচ্ছে.😋তোমরা তো সেদিনই পিকনিক খেয়েছো আবার পিকনিক বাপরে😔লুচি, মাংস ডাল সবগুলোই অনেক টেস্টি খাবার।মেয়ের পরীক্ষা না হলে আমিও এই পিকনিক এ থাকতে পারতাম।পারিবারিক পিকনিক গুলো খুবই আনন্দের মুহূর্ত হয় যা এখন খুবই মিস করি।😥অনেক সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ঐশীর পরিক্ষা না থাকলে তো আপনিও পিকনিকের আনন্দে যোগ দিতেন অবশ্য।
শীতের রাত্রে মাঝে মাঝে এমন পিকনিক না হলে শীতকাল জমে না আপু। আমার তো এমন পরিবেশ দেখে খুবই ভালো লাগছে। আমিও গ্রামের বাড়িতে গেলে মাঝেমধ্যেই পিকনিকের আয়োজন করে থাকি। খাবারগুলো দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না। ধন্যবাদ আপু পিকনিকের সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন মাঝে মাঝে পিকনিক না করলে শীতকাল জমে না।আপনার পিকনিকও সুন্দর ছিলো পোস্ট পড়েছিলাম।