ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাটন রেজালা রেসিপি ❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আমি যেহেতু মুরগির মাংস খাই না সেজন্য খাসির মাংস খাওয়া হয় মাঝে মাঝোই।মুরগির মাংস বাড়িতে বেশি রান্না হয় কারণ অন্য সদস্যও আমার মেয়ের পুষ্টি নিশ্চিত করতে মুরগির মাংসের প্রয়োজনীয়তা অনেক।
খাসির মাংস খেতে অনেক মজাদার হয় আর খাসির মাংস নানান ভাবে রান্না করে খাওয়া যায় এবং খেতে ভালো লাগে।খাসির মাংস অনেক পুষ্টিকর ও বটে।খাসির মাংসে প্রচুর আয়রন রয়েছে এছারাও
আসুন সেই উপকারী দিকগুলি কি দেখে নেই। খাসির মাংস অনেক পুষ্টিকর ও বটে।খাসির মাংসে প্রচুর আয়রন রয়েছে এছারাও
খাসির মাংসে সম্পৃক্ত চর্বি ও কোলেস্টেরল-এর পরিমাণ বেশি, তবে একই গুন সম্পন্ন ছাগলের মাংসে তুলনামূলক ভাবে সম্পৃক্ত চর্বি ও কোলেস্টেরল-এর পরিমাণ অনেকটাই কম হওয়ায় তেমন কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই।খাসির মাংসে সম্পৃক্ত চর্বি কম বলে রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধি করে আপনাকে বিপদে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে খাসির মাংস বড়োদের কম খাওয়াই উচিত এবং চর্বি যুক্ত খাসির মাংস পরিহার করা দরকার। আমার খাসির মাংসের চর্বি ভীষণ সুস্বাদু লাগে তবে ভয়ে খাই না। খাসির চর্বি দিয়ে বুটের ডাল কিংবা খাসির মাথা দিয়ে বুটের ডাল ও খাসির চর্বির বড়া অসাধারণ মুখরোচক হয়।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
১.খাসির মাংস | এক কেজি |
---|---|
২.টকদই | ২৫০ গ্রাম |
৩.কাজু বাদাম বাটা | চার পাঁচ টি |
৪.রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
৫.পেঁয়াজ বাটা | পরিমাণ মতো |
৬.পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণ মতো |
৭.লবঙ্গ গুড়া | দুই টেবিল চামুচ |
৮.সাদা গোল মরিচ | দুই টেবিল চামুচ |
৯.মরিচের গুড়া | সাদ মতো |
১০.হলুদ গুড়া | পরিমাণ মতো |
১১.লবন | স্বাদ মতো |
১২.ভোজ্য তেল | পরিমাণ মতো |
১৩.তেজপাতা | তিন চার টি |
১৪.গোটা জিরে | পরিমাণ মতো |
১৫.গোটা এলাচ | চার পাঁচটি |
১৬.দারুচিনি | তিন পিস |
১৭.এলাচ | চারটি |
১৮.গরম মসলার গুড়া | পরিমাণ মতো |
১৯.ঘি | পরিমাণ মতো |
প্রথম ধাপ
প্রথমে মাংস ধুরে পরিস্কার করে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি ও রেজালার জন্য উপকরণ বেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি।তেল গরম করে নিয়েছি ও তাতে গোটা জিরে,তেজপাতা,দারুচিনি, এলাচি ফোঁড়ন দিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন পেঁয়াজ কুচি দিয়েছি ও বাদামী করে ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন ভাজা পেঁয়াজে বাটা সব উপকরণ দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন লবন হলুদ ও সব গুলো গুড়া উপকরণ দিয়েছি ও খুব ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
মসলা খুব ভালো করে কষানো হয়ে গেছে ও মসলার উপরে তেল চলে এসেছে। এখন খাসির মাংস গুলো কষানো মসলায় দিয়েছি ও নারাচারা করে নিয়েছি।লবঙ্গ,সাদা গুল মরিচের গুড়া মাংসে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
খুব ভালো করে কষানো হয়ে গেলে তাতে টকদই দিয়েছি ও আবারও মাংস টক দইয়ের সাথে ভালে করে মিশিয়ে নিয়েছি ও কষিয়ে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
এখন কষানো মাংস গুলো প্রসার কুকারে দিয়েছি ও তিনটি সিটি দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।
নবম ধাপ
প্রেসার কুকারের ভাপ খেয়ে গেলে মুখ খুলে তাতে গরম মসলার গুড়ো ও ঘি দিয়ে নারাচারা করে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার মাটন রেজালা রেসিপিটি। সহজ ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে সুস্বাদু একটি রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনার রেসিপি দেখে এখনই পরোটা নিয়ে বসে যেতে ইচ্ছা করতেছে। খুবই সুস্বাদু হয়েছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপু। এ ধরনের চমৎকার রেসিপিগুলো আমি অনেক বেশি পছন্দ করে থাকি। এক কথায় দারুন হয়েছে
একদম ঠিক বলেছেন পরোটা দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে এই রেসিপিটি।
এমন সুন্দর মাটন রেজালার রেসিপি দেখেতো খিদে পেয়ে গেল। দুর্দান্ত হয়েছে। তবে খেতে কেমন হয়েছে জানতে হলে ডেকে খাওয়াতে হবে বোন। রেসিপিটি বেশ ভালো লাগলো। মাটন রেজালা আমার অন্যতম প্রিয় একটি পদ। ভালো থেকো এবং সৃজনে থেকো।
ধন্যবাদ দাদা চলে আসুন বাংলাদেশে কোন একদিন অবশ্যই খাওয়াবো।
মাটন রেজালা আমার খুবই পছন্দের রেসিপি। খুবই লোভনীয় লাগছে রেসিপি টা দেখতে। প্রত্যেকটা ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপিটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এতো মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মাটন রেজালা আপনার পছন্দের রেসিপি জেনে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাটন রেজালা রেসিপি তৈরি করার লোভনীয় পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনি অনেক লোভনীয়ভাবে এই জিনিসটা তৈরি করেছেন। এত লোভনীয় জিনিস তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এমন লোভনীয় রেজালা দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। মাটন রেজালা বা কষা আমার খুবই প্রিয় রেসিপি। আজ আপনার মাটন রেজালা রেসিপিটি দেখে কিন্তু বোঝা যাচ্ছে দুর্দান্ত হয়েছে। নিশ্চয় পরিবারের সবাইও খেয়ে অনেক ভালো বলেছে। এই মাটন রেজালা খিচুড়ি বা পরোটার সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে। মাটন রেজালার প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন।
পরিবারের সবাই খুব ভালো বলেছেন আপু।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি তো দারুন ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাটন রেজালার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপিটা দেখে ভীষণ সুস্বাদু মনে হচ্ছে। রেসিপিটা তৈরি করার প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ সুন্দরভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাটন রেজালা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। সত্যি রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে প্রত্যেকটা স্টেপ আমাদের মাঝে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
নিজে মুরগির মাংস না খেলে কি হবে বাচ্চাদের জন্য তো রান্না করতেই হয়। বাচ্চারা মুরগির মাংস খুব পছন্দ করে। খাসির মাংস অবশ্য আমার খুবই পছন্দের। তাছাড়া যদি রেজালা রান্না করা যায় তাহলে তো কথাই নেই। আপনার খাসির মাংসের রেজালা খেতে মনে হয় বেশ মজাদার হয়েছিল। দেখেতো সেরকমই মনে হচ্ছে।
ঠিক আপু বাচ্চাদের জন্য রান্না করতেই হয়।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মাটন যে ভাবে রান্না করা হোক না কেন খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আপনি বেশ কিছু উপকরণ দিয়ে অনেক সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন। এধরনের খাবার গুলো লোভনীয় খাবার। আশাকরি পরিবার নিয়ে জমিয়ে খেয়েছেন। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
সত্যি জমিয়ে খেয়েছি ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রত্যেক বাঙালি ঘরেই মাটন রেজালা এভাবেই তৈরি করা হয়।আপনার রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে আসলেই দুর্দান্ত ছিল।আপনি খুব সুন্দর করে রান্নার প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
একদমই আপু সবার ঘরে এভাবে রান্না হয় মাটন রেজালা।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।