কচি মোরগ পোলাও রেসিপি ❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো কচি মোরগ বিরিয়ানি রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার মেয়ের জন্য আলাদা করে তরকারি খিচুড়ি রান্না করতাম যখন এক বছর থেকে চার বছর পর্যন্ত। আর আমি চেষ্টা করতাম ওর খাবারটি নিজ হাতে করার জন্য। আমার শ্বশুরি কিংবা অন্য কেউ রান্না করলে আমি মেয়ের রান্না করবো জানিয়ে রাখতাম।যদি শ্বশুড়ি বলতেন আমি করি আমি বলতাম পারবেন না।আর এই পারবেন না বলতাম জন্য হাসাহাসি করতো। বলতো সবার রান্না করতে পারি আর তোমার মেয়ের রান্না করতে পারবো না।শ্বশুড়ি বেঁচে নেই কিন্তুু খুব মনে পড়ে এই কথাটা।মেয়ের জন্য কচি মুরগী রান্না করে দেই।বাচ্চাদের পুষ্টির দরকার।আর এই কচি মুরগির অনেক পুষ্টি তাই আমি সপ্তাহে দু-তিন দিন কচি মুরগি রান্না করে দেই নানান ভাবে।আজ রান্না করেছি কচি মোরগ দিয়ে মোরগ পোলাও।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
মুরগি |
---|
পোলাওয়ের চাল |
পেঁয়াজ কুচি |
পেঁয়াজ বাটা |
রসুন বাটা |
আদাবাটা |
তেজপাতা |
গোটা জিরে |
হলুদ গুড়া |
মরিচের গুড়া |
লবন |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি এক মুষ্টি পোলায়ের চাল নিয়ে পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন আমি কচি মোরগের মাংস ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে জিরাও তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়েছি ও তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন ভাজা পেঁয়াজে সব গুলো বাটা উপকরণ দিয়েছি ও লবন হলুদ দিয়েছি। অল্প পরিমানে মরিচের গুড়া দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন আমি সব গুলো মসলা খুব ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন ভাজা মসলা গুলোতে মুরগির মাংস গুলো দিয়েছি ও নারাচারা করে একটু ভেজে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন ভাজা মসলাও মুরগি মাংসে ধুয়ে রাখা পোলাওয়ের চাল দিয়েছি ও নারাচারা করে মসলার সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
এখন পরিমাণ মতো জল দিয়েছি ও ঢাকা দিয়েছি ও হাই হিটে জ্বাল করে নিয়েছি ও ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
নবম ধাপ
এখন পুরোপুরি ভাবে সিদ্ধ হয়ে গেছে তাই নামিয়ে নিয়েছি। পোলাও আমরা ঝরঝরে খেয়ে থাকি কিন্তুু আমি নরম ও রস রস করে করেছি পোলাও গুলো করন মেয়ে ঝরঝরে পোলাও খেতে পারে না।একটু নরম হলে ভালো খায়।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মেয়ের জন্য মজাদার মোরগ পোলাও রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোষ্টের মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
সপ্তাহে দুই-তিন দিন আপনি মোরগ রান্না করে দেন। যে কোনভাবে, যাই হোক আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। তবে আপনার শাশুড়ির কথা আপনার মনে পড়ছে। আপনার শাশুড়ির সবার রান্না করতে পারবে কিন্তু আপনার মেয়ে রান্না করতে পারবে না। এই কথা শুনে অনেক হাসাহাসি করত। আসলেই স্মৃতিগুলো যেন এখনও আছে,তবে সেই মানুষটি নেই।আপনার শাশুড়ির নেই কবে স্মৃতিগুলো রয়ে আছে।যাইহোক রেসিপিটা দেখে খুবি ভালো লেগেছে আমার।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মোরগ পোলাও অনেকদিন ধরে খাওয়া হয়না। আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। রেসিপিটা দেখে একটু টেস্ট করতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপনাকেতো অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোষ্টে সুন্দর কমেন্ট করে রেসিপি করার উৎসাহ দেয়ার জন্য।
যদিও আপনার শাশুড়ি বেঁচে নেই কিন্তু খুব সুন্দর একটি স্মৃতি আপনি শেয়ার করলেন। ভালো লাগলো বউ শাশুড়ির এমন সুন্দর স্মৃতির কথা জানতে পেরে। কচি মুরগির মোরগ পোলাও রেসিপি শেয়ার করলেন। এই ধরনের কচি মুরগির পোলাও খেতে বেশ ভালো লাগে। তাও আবার আপনি পোলাও রেসিপি করলেন। দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না বেশ লোভনীয় ভাবে আপনি তৈরি করলেন রেসিপিটি।
ঠিক বলেছেন আপু শাশুড়ি বেঁচে নেই কিন্তুু খুব সুন্দর একটি স্মৃতি আছে বেঁচে।
কচি মুরগীর মাংস আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। আপনি আপনার বাচ্চাদের মাঝে মধ্যে রান্না করে দেন। অনেকদিন হলো মোরগ পোলাও খাওয়া হয়না। আপনার রেসিপিটি খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রান্নার প্রসেস টা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ আপু।
আজকাল বউ শাশুড়ির সুন্দর মুহূর্ত দেখাই যায় না। সেখানে আপনাদের সুন্দর মুহূর্তটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আর সাথে তো রেসিপিটি দেখে লোভ লেগে গেল যদিও আমি রোজা আছি তাই আর বেশিক্ষণ রেসিপির ফটোগ্রাফি দেখা যাবে না।ধন্যবাদ বৌদি, লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।