শাপলা ফল খাওয়ার অনুভূতি
হ্যালো,
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন আমিও ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। ছোটবেলায় একটুখানি স্মৃতিচারণ। আশা করছি আপনাদের একটু হলেও ভালো লাগবে।
তুমি সুতোয়ে বেধেচ্ছ শাপলার ফুল নাকি তোমার মন সুবীর নন্দীর এই সুন্দর গানটি মনে পড়ে গেল। শাপলা গুলো দেখে ছোট বেলার সৃতি গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো।
ছোটবেলায় ঠিক এভাবেই, গলায় মালা, কানে দুল, ও , কপালে টিকলি বানিয়ে ঘুরতাম। গেইটে বসেছিলাম মেয়েকে নিয়ে।আপলাক জ্যাঠা মশা মেয়েকে বলল আমাদের বাড়িতে আঙ্গিনায় ভ্যাট রয়েছে নিয়ে আসো। আপলাক জ্যাঠামশার বাড়ি আমাদের বাড়ির সামনে।আপনারা সবাই জানেন, গত কয়েকদিন ভারী বর্ষণ ছিলো। এই বর্ষণের ফলে খাল বিল টৈটুম্বর হয়ে গেছে জলে।।, বিলে অনেক মাছের উপস্থিতি তাই উনি জাল নিয়ে মাছ ধরতে যান বিলে। আর বিলে গিয়ে উনি শাপলার যে ফল হয় আমাদের এলাকায় ভ্যাট বলে। সেগুলো নিয়ে এসেছে বাচ্চাদের জন্য। উনার বাড়ি থেকে মেয়ে এক গুচ্ছ ভ্যাট নিয়ে আসলো।
ওগুলো দেখে আমার একদম ছেলে বেলার কথা মনে পড়ে গেল। কতইনা খেয়েছিলাম এই ভ্যাট ফলটি। খেতে বেশ লাগে। গত বছর মেয়েকে কিনে খাওয়ায়ে ছিলাম এজন্য ও এবার ও খেতে চাচ্ছিল কয়েক দিন ধরে।কিন্তু এবার আর কিনতে পারিনি। যাইহোক ফল গুলো দেখলাম বেশ পাকাপোক্ত। তবে এই শাপলা টি অন্য প্রজাতির। শাপলা ফুল মূলত অনেক বড় হয় কিন্তু এই ফুলটি একটু ছোট সাইজের। গ্রামে অনেকেই এই ফুলকে সুন্ধি ফুল বলে থাকে ।খেতে অনেক মজার এই ফলটি।এই ছোট প্রজাতির শাপলা ফলটি খেতে দারুন। কারণ এই ফলের ভিতরের দানাগুলো একদম ছোট ছোট।প্রথমে আমি ফুলের পাপড়ি গুলোকে ছিড়ে ফলটি বের করে নিয়েছি।
এবার খাওয়ার পালা, আমি ও আমার মেয়ে মিলে দুজনে মজা করে খেয়েছি। দেখেন ভিতরের দানাগুলো কত সুন্দর কালো এবং ছোট ছোট।
এবার মেয়ে একটি শাপলা ফুলের ফল আমার গলায় পরিয়ে দিয়ে বলল মা লকেট বানিয়ে দিলাম।
আমারও বেশ ভালোই লাগছিল। কিছুক্ষণের জন্য ছোটবেলায় চলে গিয়েছিলাম। ছোটবেলার স্মৃতি কখনোই ভুলবার নয়। কোন না কোন ভাবে মনে পড়বেই।আমি আমার মেয়ের মাঝে আমার ছোটবেলাকে খুঁজে পাই। ও যাই করুক না কেন আমার মনে হয় আমি এরকমই করতাম। তখন বেশ ভালো অনুভূতি হয়। ইস আবার যদি দিনগুলো ফিরে পেতাম কতইনা মজা করতাম। কিন্তু তা আর হবার নয়। কি আর করা স্মৃতিগুলোকেই আঁ আঁকড়ে ধরে বাঁচতে হয় প্রতিটি মানুষের।কেমন লাগলো বন্ধুরা। আজ এখানেই শেষ করছি। সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন ও নিরাপদে থাকুন এই কামনা নিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
শাপলার ওই ফলকে আমাদের এলাকায় ঢেপ বলে গণ্য করে সবাই। তবে যে যাই বলুক ওর ভেতরের ছোট্ট ছোট্ট দানাগুলো খেতে খুব ভালো লাগে। ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি বাড়ির পুকুরের পাশে হতো। এখন তেমন একটা চোখে পড়ে না। তবে কিছুদিন আগে স্বপ্নে দেখেছিলাম কোন এক জায়গায় আমি তুলছি এই শাপলার ঢেপ। বেশ ভালো লাগলো সুন্দর সুন্দর ফটো গ্রাফির সাথে বর্ণনার সাথে তুলে ধরেছেন দেখে।
আমারও খুব ভালো লাগে ভাইয়া শাপলার এই ফলটি। আমাদের এলাকায় এটিকে ভ্যাট বলে থাকে সবাই। এখনো খেতে পারি কারণ পাশে বিল আছে। তাছাড়া মাঝেসাজে কিনতেও পাওয়া যায় মেয়ের স্কুলে নিয়ে আসে এই ভ্যাট ফলটি। ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
আপু আপনার আজকে এই শাপলা ফল খাওয়ার পোস্ট দেখে আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমরা ছোট বেলায় দল বেঁধে বিলের ধারে শাপলা তুলতে যেতাম। এর ফল গুলো খেতাম এবং এর লতি দিয়ে আমরা মালা তৈরি করতাম। ওই সময়টা অনেক মধুর ছিল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে শাপলা খাওয়ার সুন্দর একটা অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া ছোটবেলায় শাপলার ফল খাওয়ার অনুভূতি আলাদা ছিল। আমিও এই ফলটি পাওয়ার পর ছোটবেলায় চলে গেছিলাম। আপনার কমেন্টে আপনার শাপলা খাওয়ার অনুভূতি জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।
আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। এগুলো ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি। এরপর অনেক দিন থেকে আর এগুলো দেখি না। আপনার অনুভূতি জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
হ্যাঁ আপু সবার ছোটবেলার এরকম সৃতি আছে।ছোটবেলায় সবার প্রিয় ফুলও ফলটি ছিলো।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।