মেয়ের বই ও পছন্দের জিনিস কেনাকাটা ❤️
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো মেয়ের বই কিনতে গিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার মেয়ের রেজাল্ট হয়েছে ডিসেম্বরের ২০তারিখে।মেয়ে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে রোল হয়েছে দুই।রোল দুই হয়েছে কারণ উপস্থিত কম। যাই হোক যেহেতু মেয়ে এবার ওয়ানে উঠলো তাই সরকারি ভাবে স্কুলে বই দেবেন এবং বুক লিস্ট দিয়েছে বাকি বই গুলো কিনতে হবে।তাই স্কুলে গিয়ে সরকারি বই গুলো নিয়ে বুক লিস্ট টি নিয়ে বই কিনতে গেলাম এবং পাঁচটি বই পেলাম আর দুটি পেলাম না।লাইব্রেরী থেকে বলে দিলেন বাকি বই দুটো ভোটের পর ছারা পাওয়া যাবে না।ভোটের পর ফোন করে যেতে বলেছে।যে বই গুলো পেলাম সেগুলো নিয়ে রওনা দিলাম গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে।গাইবান্ধা গিয়ে কুরিয়ারে চার্জার এসেছে সেটা নিয়ে রওনা দিলাম কসমেটিকস এর দোকানে।কিছু কেনার প্লান করে না গেলেও যদি কিছু পছন্দ হয়ে যায় তবে আর খালি হাতে ফিরি না কিনে নেই।
এরপর একটি রিক্সায় চেপে রওনা দিলাম পুরাতন বাজারের উদ্দেশ্যে।পুরাতন বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পৌষপার্বণ তাই খেজুরের গুড় কিনতে হবে।তিল কিনতে হবে।অনেক গুড়ের দোকান তো একজন আমাকে দেখেই বৌদি কেমন আছেন বলতেই থেমে গেলাম।মূলত প্রতি বছর ওনার দোকান থেকেই কিনে থাকি খেজুর গুড়।তো ওনাকে বল্লাম কোন গুড়ের কতো দাম।খেজুর গুড় বেশ কয়েক শ্রেণির হয়ে থাকে।দামের ও পার্থক্য আছে।সব গুলো গুড়ের দাম বল্লেন তো আমি যেটা ভালো গুড় সেটাই নিলাম এবং সেই গুড়ের কেজি নিলো ২৩০টাকা।প্রথমে আড়াইশো টাকা বলেছিলো কিন্তুু একটু দামাদামি করাতে ২৩০টাকায় দিলেন।
এবার গেলাম আর এক দোকানে এই দোকানকে গালামালের দোকান বলে থাকে।সব কিছু পাওয়া যায় এই দোকানে। এই দোকান থেকে এক কেজি ছেলা তিল কিনলাম।আধাকেজি ছেলা কাঁচা বাদাম কিনলাম।মেয়ে বাদাম মাখা খেতে ভীষণ পছন্দ করে।এরপর ধনে গুড়ার প্যাকেট নিলাম,কালো জিরে নিলাম কারণ নানান প্রকার ভর্তায় কালোজিরে ব্যাবহার করে থাকি।
এরপর মাছ বাজারে গিয়েছিলাম তবে ফটোগ্রাফি করা হয়নি। মাছও তেমন পছন্দ হয়নি তাই নেইনি।মূলত আমি গিয়েছিলাম টেংরা মাছ কিনতে মেয়ে ভীষণ পছন্দ করে কিন্তু পাইনি তাই দেরি না করে গেলাম কোয়েল পাখির ডিম কিনতে।মেয়ে আমার কোয়েল পাখির ডিম ভীষণ পছন্দ করে।তাই কিছু কোয়েল পাখির ডিম কিনে নিয়ে রওনা দিলাম কাঁচাবাজারের উদ্দেশ্যে।
কাঁচা বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ব্রকলি কেনা।মেয়ে ভীষণ পছন্দ করে ব্রকলি। দুঃখের বিষয় বেশ কয়েকটা দোকান ঘুরেও ব্রকলি পেলাম না।তাই পেঁয়াজের ফুল ও কাঁচা মরিচ কিনে নিয়ে হেটে রওনা হলাম অটোস্ট্যাট এর দিকে।
কিন্তুু হঠাৎ দেখতে পেলাম পেঁয়াজি ভাজছে রাস্তার ধারে এক দোকানে। পেয়াজু ভাজার দৃশ্য দেখে আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পেলাম না কিনে নিলাম।
পেঁয়াজু নিলাম খাবো বলে।ক্ষুধা লেগেছে বেশ তাই গরম গরম ছয়টি পেঁয়াজু কিনেছিলাম।
পেঁয়াজু নিয়ে রওনা দিলাম অটোর উদ্দেশ্য এবং অটো পেয়েও গেলাম।অটোতে বসে ব্যাগ গুলো রেখে হাত স্যানিটাইজ করে নিলাম এবং গরম গরম পেঁয়াজু খাওয়া শুরু করে দিলাম অটোতে বসেই।তবে তিনখানা পেঁয়াজি খেতে পেরেছিলাম। এরপর অটোতে বসে বসে ভাবছিলাম মেয়ে তো গুড়ের জিলিপি ভীষণ পছন্দ করে তো নিতে হবে।অটোওয়ালা কে বল্লাম ভালো কোন জিলিপি পাওয়া যায় এমন দোকানের সামনে দাড়ান ওনি তাই করলেন এবং আমি জিলিপি কিনলামওআবার অটোতে উঠে বসলাম এবং গন্তব্য পর্যন্ত এসে নেমে একটি ভ্যানে উঠে সোজা বাড়ি চলে আসলাম।আসলে আজকে মেয়েকে নিয়ে যাইনি সাথে কিন্তুু যা যা কিনেছি সব গুলোই মেয়ের পছন্দের।
এই ছিলো আমার আজকের সারাদিন কাটানোর। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।আশা করছি ভালো লাগবে।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আপনার মেয়ে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম। আসলে ওদের সাফল্য আমাদের অনেক বেশি আনন্দিত করে। শুধু বই নয় এতো দেখছি অনেক কেনাকাটা করেছেন। আর সবশেষে গরম গরম পিয়াজু, যাইহোক আপনার কেনাকাটার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চাদের সাফল্যে ভীষণ ভালো লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ! আপনার মেয়ে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে জেনে ভালো লাগলো আপু। বছরের শুরুতে বই দিয়ে দেয় তবে বেসরকারি স্কুলগুলাতে সরকারি বইয়ের পাশাপাশি আরও কিছু এক্সট্রা বই কিনতে হয়। আপনি বই কিনতে গিয়ে দেখছি অনেক কিছুই কেনাকাটা করে ফেলেছেন আপু। শেষে গরম গরম পেঁয়াজু খেয়ে নিলেন
হ্যাঁ ভাইয়া বই কিনতে গিয়ে মেয়ের পছন্দের সব কেনাকাটা করেছি।হ্যাঁ গরম গরম পেঁয়াজু মজা করে খেয়ে নিয়েছি।
প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার উদ্দেশ্যে বাইরে গেছেন আর সেখান থেকে বেশ অনেক জিনিস কেনাকাটা করেছেন। পাশাপাশি ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন,যেখানে খাজুরের পাটালি থেকে শুরু করে কোয়েল পাখির ডিম, শাকসবজি লাইব্রেরীতে কেনাকাটা সব আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বেশ ভালো লাগলো বড় এই বিভিন্ন পর্যায়ের ফটোগ্রাফি মূলক ব্লগ দেখে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মেয়ের বই কিনতে গিয়ে অনেকগুলো কাজ সেরেছেন দেখছি। বাজার থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া সবকিছু এবং মেয়ের পছন্দের অনেক জিনিস কিনেছেন। মেয়েকে না নিয়ে গিয়ে একদিক থেকে ভালোই করেছেন আপু কারণ বাচ্চা সাথে থাকলে সময় নিয়ে ঘুরেফিরে কেনাকাটা করা যায়না।খুবই ভাল লাগলো ব্লগটি পড়ে।
হ্যাঁ বাচ্চা সাথে থাকলে মনের মত করে ঘুরে ঘুরে কেনা হয় না।