কচুর লতি দিয়ে শুটকি মাছের রেসিপি।
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো কচুর লতি দিয়ে মজাদার শুটকি মাছের রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।শুটকি মাছ ভীষন ভালো লাগে আমার তবে আগে কখনো খেতাম না এই মাছ কারণ পরিবারের কেউ এই মাছ পছন্দ করতো না এবং বাড়িতে তুলতো না। তবে এখন সবার প্রিয় হয়ে গেছে এই মাছ গুলো।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
১.কচুর লতি |
---|
২.শুটকি মাছ |
৩.রসুন |
৪.পেঁয়াজ কুচি |
৫.আদা,রসুন বাটা |
৬.লবন |
৭.হলুদ |
৮.ভোজ্য তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি শুটকি মাছ গুলো জল দিয়ে জ্বাল করে ফুটিয়ে নিয়েছি। শুটকি মাছ ফুটিয়ে নিলে গন্ধ চলে যায়।একটি ঝাকায় ফুটানো মাছ গুলো জল ঝাড়াতে দিয়েছি এবং ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
কচুর লতি গুলো পরিস্কার করে কেটে ধুয়ে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন আমি জল ঝড়িয়ে নেওয়া শুটকি মাছ গুলোতে লবন হলুদ দিয়ে মেখে নিয়েছি এবং চুলায় কড়াই বসিয়েছি। কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি ও শুটকি মাছ গুলো খুব ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন কড়াইয়ে পেঁয়াজ কুচি,রসুনের কোয়া,কাঁচামরিচ দিয়েছি ও ভেজে নিয়েছি এরপর ভাজা পেঁয়াজ গুলোতে কচুর লতি গুলো দিয়েছি এবং তাতে লবন, হলুদ দিয়ে ভালো করে ভেজে নিয়েছি। ভাজা হয়ে গেলে তাতে বাটা উপকরণ গুলো দিয়েছি ও খুব ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি। কিছু কোয়া কোয়া রসুনও দিয়েছি খেতে ভালো লাগে জন্য।
পঞ্চম ধাপ
মসলা সহ কচুর লতি গুলো খুব ভালো করে কষানো হয়ে গেলে পরিমাণ মতো জল দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে তাতে ভেজে রাখা শুটকি মাছ গুলো দিয়েছি ও ফুরিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন শুটকি মাছ দিয়ে কচুর লতি গুলো সুন্দর করে হয়ে গেছে তাই পরিবেশের জন্য একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি শুটকি মাছ দিয়ে মজাদার কচুর লতি রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে আজ এ পর্যন্তই আবারও দেখা হবে নতুন কোন পোষ্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
প্রথমে শুকরিয়া জানাচ্ছি আপনার সুস্থতার জন্য আপু। কচুরলতি আর শুটকি অনেকদিন ধরে খাওয়া হয় না।এই খাবারটা আমারপছন্দের একটি খাবার।আসলে এরকম অনেকে আছে শুটকি মাছের গন্ধ সহ্য করতে পারত না। আর এখন অনেকের কাছে শুটকি অনেক প্রিয় হয়ে গেছে। যেমন আমার মামি খালারা আগে শুটকির গন্ধ সহ্য করতে পারত না। আর এখন ঢাকা আসলে অনেকগুলো করে কিনে নিয়ে যায়। আজ আপনার রেসিপিটি দেখে কিন্তু মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। শুটকি ও লতির সাথে একটু রসুন বেশি করে দিলে খেতে আরও ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।এত মজার একটি রেসিপি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ্ চমৎকার তো। আপনি তো দেখছি দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। তাও আবার কচুর লতি। আমার বেশ প্রিয় একটি খাবার। আপনি কিন্তু বেশ সুন্দর করে রেসিপিটির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আর আপনার রান্না করা রেসিপিটি দেখে তো বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ দিদি এমন সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনারও প্রিয় কচুর লতি জেনে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আমার সুস্থতায় শুকরিয়া জানানোর জন্য। একদম ঠিক বলেছেন আপনি রসুন বেশি করে দিলে খেতে ভালো লাগে।আমার মেয়েও শুঁটকির গন্ধ সহ্য করতে পারে না।আপনারও শুটকি পছন্দ জেনে খুব ভালো লাগলো।
কচুর লতি দিয়ে শুটকি মাছের রেসিপি বাহ্ দারুন। এই সময়ে লতি কোথায় পেলেন আপু। লতি চিংড়ি মাছ এবং শুটকি দিয়ে খেতে অনেক মজা লাগে। আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
ননদের বাসায় গিয়েছিলাম আর ও এনেছিলো বাজার থেকে কচুর লতি গুলো।আর আমি ভীষণ সুন্দর করে রান্না করেছিলাম লতি দিয়ে শুটকি মাছ।
শুটকি মাছ, এই মাছের গন্ধ আমার ভালো লাগেনা তাই খাওয়া হয়না। তবে কচুর লতি যে কোন মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে ভীষণ লাগে। বিশেষ করে ছোট মাছগুলো দিয়ে রান্না করলে বেশি স্বাদ লাগে। আপনি আজকে খুবই চমৎকার করে কচুর লতি দিয়ে শুটকি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপির ধাপ গুলো সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অনেকেই শুটকি মাছের গন্ধ সহ্য করতে পারে না আপনার মতো।আমার মেয়েও গন্ধ সহ্য করতে পারে না।
কচুর লতি দিয়ে শুঁটকি মাছের দারুন রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে এধরনের রেসিপি গুলো খেতে সবসময়ই অনেক বেশি ভালো লাগে। রেসিপিটার কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ সত্যি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল রেসিপিটি খেতে।
আমার সবথেকে প্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার তৈরী রেসিপিটি দেখে আমার লোভ লেগে গেলো। আমি আপনার রেসিপির কমেন্ট লিখছি আর আম্মুকে বলছি এই রেসিপিটি তৈরী করে দিতে। কচুর লতি যেমন প্রিয় তেমনি শুটকি মাছ ও আমার খুব প্রিয়৷ অনেক ধন্যবাদ এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মায়ের হাতের কচুর লতি দিয়ে শুটকি মাছ খাবেন আরো তো সুস্বাদু হবে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
আপু আপনার মত আমিও আগে শুটকি মাছ খেতাম না। গন্ধটাই আমার পছন্দ হতো না। কিন্তু এখন খেতে বেশ ভালই লাগে। তবে কচুর লতি দিয়ে কখনো শুটকি মাছ খাওয়া হয়নি ।আপনার রান্নার প্রসেসটি বেশ ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
কচুর লতি দিয়ে খেয়ে দেখবেন শুটকি মাছ খুব ভালো লাগবে।
কচুর লতি এবং শুটকি মাছ দুইটি আমার খুব প্রিয়। তবে আজকে খুব সুন্দর করে কচুর লতি এবং শুটকি মাছ দিয়ে চমৎকার রেসিপি করেছেন। সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। এই ধরনের রেসিপি দিয়ে গরম ভাত এবং পান্তা ভাত খেতে খুব মজা লাগে। চমৎকার ভাবে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার সাথে মিলে গেলো আপনার পছন্দ।
এক সময় আমিও শুটকি মাছ বেশি পছন্দ করতাম না দিদি । যাইহোক, অনেক দিন হয়ে গেছে এই শুটকি মাছ খাওয়া হয় না। যদিও কচুর লতির সাথে অধিকাংশ সময় চিংড়ি মাছ খেয়েছি, শুটকি মাছ দিয়ে বেশি খাওয়া হয়নি। আপনার শেয়ার করা এই রেসিপিটি দেখতেও কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে দিদি। তাছাড়া আপনার উপস্থাপনাও দারুন ছিল।
আমিও আগে খেতাম না তবে এখন খুব প্রিয়। কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ খেতেও ভীষণ ভালো লাগে।
ওকে দিদি, একদিন আপনার শেয়ার করা রেসিপি অনুযায়ী বাড়িতে করে দেখবো।
কচুর লতি দিয়ে শুটকি মাছের রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো। কচুর লতি আমার খুবই পছন্দের। কচুর লতি দিয়ে শুটকি মাছের রেসিপির কালারটাও বেশ ভালো এসেছে । আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন । সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।