মেয়েকে ডাক্তার দেখানো প্রথম পর্ব 😪
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর নিয়ে কিছু কথা।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজ তিনদিন যাবত মেয়ে অসুস্থ। সুস্থ হওয়ার কোন নাম নাই।ভালোই তো ছিলো সারাদিন খেলাধুলা করে বিকেলে বলে মা জ্বর জ্বর লাগছে।ভেবেছিলাম একটু ঠান্ডা লেগেছে ঠিক হয়ে যাবে।নাপা ছিলো ঘরে তাই দু চামুচ সিরাপ খাওয়ে ঘুম দিলাম।রাতে ধুম জ্বর। থার্মোমিটার ভেঙ্গে গেছে বলে জ্বর মাপতে পেলাম না কিন্তুু আন্দাজ করতে পেলাম ১০৩জ্বর তো হবেই হবে।গা পুড়ে যাচ্ছিলো ।সকাল হতেই স্থানীয় কমিউনিটি হেল্থ অফিসারকে ফোন দিলাম ওনাকে বিস্তারিত বল্লাম ওনি কিছু ঔষধের নাম বলে দিলেন।ওনি ছোট থেকেই মেয়ের প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। তাই টেনশন মুক্ত হলাম একটু যে জ্বর এই ঔষধ খেলেই নেমে যাবে।
কিন্তু না কিছুতেই জ্বর নামছেই না।থার্মোমিটার আনলাম এবং জ্বর যতোবারই মাপছি ১০৩ তাই সিদ্ধান্ত নিলাম শিশু ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। আজ সকালে ফোন দিলাম সিরিয়ালের জন্য কিন্তুু ডাক্তার ঢাকায় তাই হবে না সিরিয়াল। এবার অন্য ডাক্তারকে দেখানোর উদ্দেশ্য চলে আসলাম এবং সিরিয়াল নিলাম।সিরিয়াল নং৩৬। বেশ কিছু সময় বসার পর আমাদের দেখানোর পালা আসলো।ডাক্তার বিস্তারিত শুনলেন এবং জিহ্বা দেখে অবাক হয়ে বল্লেন তিনদিনের জ্বরে তো এমন জিব্বাহ হওয়ার কথা নয়।আগে থেকে জ্বর ছিলো কি বুঝতে পারেননি না কি।টাইফয়েড হয়েছে না কি।এসব বলে রীতিমতো ভয় পাইয়ে দিলো।মেয়ের আগের সব কাগজপত্র দেখালাম এবং যেহেতু মেয়ের থ্যালাসেমিয়া আছে তাই CBC টেষ্ট ও ইউরিন টেস্ট সহ আরো কয়েকটি টেষ্ট করতে দিলেন।
চলে আসলাম এসকেএস হাসপাতালে টেষ্ট করানোর জন্য। এসে ব্লাড ও ইউরিন দিলাম। রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সারে তিনটা অবদি।রিপোর্ট নিয়ে ৫টায় আবার ডাক্তার দেখাতে হবে।
মেয়ে এসকেএস হাসপাতালের কেন্টিনে কেক খেতে ভালোবাসে তাই নিয়ে গেলাম কিন্তুু কিচ্ছু খেতে রাজি হলো না।অবশেষে সিঙ্গারা দেখালো।সিঙ্গারা ও কফি অর্ডার করলাম।আমি খেলাম কিন্তুু মেয়ে একটু খেয়েই আর খাবে না। কিছুই খেতে চায় না একদমই।
অনেকটা সময় হাতে তাই মেয়েকে নিয়ে পৌর পার্কে গেলাম একটু আনন্দ দিতে।
(চলবে)
পোষণ | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
সুস্থতা মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ নেয়ামত। তবে মাঝেমধ্যে শরীর অসুস্থ হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রাকৃতিক আবহাওয়ার কারণে অনেক সময় অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয় এই বিষয়ে আমাদের সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে পরিবারের মানুষদের নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা রাখতে হবে। নিজের সন্তান বা আত্মীয়-স্বজনের যখন অসুখ দেখা যায় ওই মুহূর্তে অধৈর্য হলে হবে না অবশ্যই তার সেবা যত্ন নিতে হবে আর সঠিক নিয়মে ডাক্তারের পরামর্শ মত এ চলতে হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর কমেন্ট টি করার জন্য।
আসলে থার্মোমিটার এমন একটা জিনিস যেটা আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই রাখা উচিত এবং ভেঙে গেলে নতুন একটা কিনে নেওয়ায় উচিত। তিন দিন ধরে আপনার মেয়ের শরীর খারাপ, এটা শুনে সত্যিই অনেক খারাপ লাগলো। তারপর আবার জানতে পারলাম একশো তিন জ্বর😔! যাই হোক, ভালো করে ডাক্তার দেখান দিদি। যেহেতু সব কিছু পরীক্ষা করার জন্য নিয়ে নিয়েছে, তার মনে অবশ্যই খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে আপনার মেয়ে। আপনার মেয়ের জন্য আমার আশীর্বাদ অবশ্যই থাকবে দিদি।
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়টায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে যায়।আপনার মেয়ের জ্বর ১০৩ মানে অনেকটাই বেশি ।যেহেতু ডাক্তার দেখিয়েছেন আশা করছি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।দোয়া রইল আপু আপনার মেয়ের জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দ্রুত আপনার মেয়ে সুস্থতা কামনা করছি আপু। পোস্টটি পড়ার পর অনেক খারাপ লাগলো। সন্তান অসুস্থ হলে কেমন হয় সেটা আমি জানি। ভালোভাবে খেয়াল রাখবেন মেয়ের প্রতি।
যেহেতো জ্বর কয়েকদিন হয়ে গেছে। তাই ডাক্তার টাইফয়েড হয়েছে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করলেন। আমাদের দিকে হলে সাথে ডেঙ্গু টেষ্টও দিতো। আর যেহেতো জ্বরের মুখ তাই কিছু পারছে না। আশা করি রিপোর্ট ভালোই আসবে। ধন্যবাদ।