আমসত্ত্ব রেসিপি❤️
হ্যালো বন্ধুরা,
নমস্কার, আমি শাপলা দত্ত বাংলাদেশ থেকে আপনাদের মাঝে আমসত্ত্ব রেসিপি নিয়ে এসেছি। আমরা জানি মধুমাস জৈষ্ঠ্যমাস আর এই মধুমাসে আমরা নানান রকম দেশি সুস্বাদু ফল খেতে থাকি।আম,জাম,কাঠাল,লিচু,এসব ফল আমরা এই মধুমাসে পেয়ে থাকি।তবে জৈষ্ঠ্যমাস শেষ হয়ে আষাঢ় মাস চলছে তবুও আমরা কিন্তুু সব ফল কম বেশি পাচ্ছি। আমরা জানি আমে অনেক পুষ্টি গুন রয়েছে।
আমের ভিটামিন' এ'চোখের জন্য খুব উপকারী। হজমের সমস্যা দূর করে হজম শক্তি বাড়ায়।আম খেলে ভালোবাসার সৃষ্টি হয় তাই আমকে লাভ ফ্রুট বলা হয়।কোলেস্টেলের মাত্র নিয়ন্ত্রণে রাখে।বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।আম খেলে ভালো ঘুম হয়।রক্তস্বল্পতা ঝুকি কমাতে সাহায্য করে।আমে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট গুলো স্তন ক্যান্সার থেকে শুরু করে কোলন ক্যান্সার প্রেস্টেট ক্যান্সারও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে বেশ কাজের।ইন্ডিয়া,ফিলিপাইন, পাকিস্তান, হাইতির জাতীয় ফল আম।আমরা অনেকেই এই সুস্বাদু ফলের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকিও সবাই কম বেশি আম খেয়ে থাকি।আমের অনেক জাত ও নাম আছে যেমন ল্যাংড়া,খিরসাপাতি,ফজলি,গোপাল ভোগ,হিম সাগর,মল্লিকা, আমব্রেপালি,হাড়ি ভাঙা ইত্যাদি।তিনশোরও বেশি আমের জাত আছে।তহলে চলুন দেখা যাক পাকা আমের আমসত্ত্ব রেসিপিটি।
উপকরণ ,
১.পাকা আম।
২.চিনি।
৩.লবন।
৪.মরিচের গুড়া।
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে আমি গাছ থেকে কিছুা পাকা আম পেড়েছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এখন আমি আম গুলো ভালো করে ধুয়ে কেটে নিয়েছি ও ব্লেন্ডার এ পেস্ট করে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপঃ
এখন আমি চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে নিয়েছি ও পেষ্টকরা আম গুলো দিয়ে অল্প আচে রান্না করেছি।
চতুর্থ ধাপঃ
অল্প আচে আমের পেস্ট গুলোকে ভালো করে নাড়াচাড়া করেছি ও অল্পপরিমাণ লবন,মরিচ গুড়া ও চিনি দিয়েছি ও নাড়াচাড়া করেছি।যখন ঘন হয়ে এসেছে আমের পেস্ট গুলো তখন নামিয়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপঃ
এখন আমি একটা ইষ্টিলের প্লেটে একটু সরিষার তেল ব্রাশ করে নিয়েছি ও রান্না করা আম গুলো সেই প্লেটে নামিয়ে নিয়েছি ও সুন্দর করে সমান ভাবে প্লেটে ছড়িয়ে দিয়েছি রোদে শুকাতে দেয়ার জন্য।
ষষ্ঠ ধাপঃ
এখন আমি তিন থেকে চারদিন শুখিয়ে নিয়েছি আমসত্ত্ব গুলোকে।তিন চারদিন শুখানোর পর আমসত্ত্ব গুলো কেটে নিয়েছি। আমি এখানে রোল আকারে ও পাট পাট করে কেটে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপঃ
আমসত্ত্ব গুলো কে রোল আকারে কেটে ও পাট পাট করে কেটে একটি বক্সের ভিতরে সংরক্ষণ করেছি।
এভাবেই তৈরী করেছি আমি আমসত্ত্ব রেসিপিটি।আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
টাটা❤️
ভিটামিন এ সত্যি অনেক উপকারী। যাইহোক আপু আমসত্ত্বগুলো দেখেই কিন্তু খেতে ইচ্ছে করছে। মন চাচ্ছে আপনার বাসায় চলে যাই।দারুন একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আহা আমসত্ত্ব দেখেইতো জিভে জল চলে এলো।
বাসায় কখনো প্রস্তুত করা দেখি নাই তবে দোকান থেকে কিনে খেয়েছি এ জাতীয় খাবার গুলো আমার খুবই ফেভারিট।।
আপনার প্রস্তুত প্রণালী এবং ফটোগ্রাফি দেখে খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।।
আমসত্ত্ব খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আর নিজের তৈরি করা হলে তো কথাই নেই। আপনার আমসত্ত্ব গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ও সহজ ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। দেখে যে কেউ খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করে নিতে পারবে। সুস্বাদু ও আমার পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছো।পাকা আমের আমসত্ত্ব দেখেই তো খুব লোভ লেগে যাচ্ছে।কিছু আমাদের জন্যও রেখে দিও।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছো দেখে ভালো লাগলো।অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ এতো সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। অবশ্যই রেখে দেব এবং সবাই মিলে এক সাথে খাবো।
আমি এমনিতে আমসত্ত্ব খেতে খুবই পছন্দ করি। যদিও এই বছর আমসত্ত্ব তৈরি করা হয়নি। তবে আমি প্রতিবছর চেষ্টা করি আমসত্ত্ব তৈরি করার। আপনি অনেক মজাদার একটা আচার তৈরি করেছেন। আসলে আমে অনেক ভিটামিন গুন রয়েছে। আমের ভিটামিন এ চোখের জন্য আসলেই অনেক উপকারী। দেখে বুঝতে পারছি বেশ মজা করে খাওয়া হয়েছিল আমসত্ত্ব রেসিপি। আপনি উপস্থাপনা অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা দেখেই এই আমসত্ত্ব যে কেউ তৈরি করতে পারবে।
আপনি খুবই লোভনীয় আমসত্ত্ব রেসিপি তৈরি করেছেন। আমি আমসত্ত্ব অনেক বেশি পছন্দ করি। তাই তো একটু বেশি লোভ লেগে গিয়েছে আপনার রেসিপিটা দেখে । ইচ্ছে করছে এখান থেকে নিয়ে খেয়ে নিতে। এভাবে আমসত্ত্ব তৈরি করে, সংগ্রহ করে রেখে দিলে অনেক দিন পর্যন্ত খাওয়া যায়। আপনি কেটে কেটে বক্সের মধ্যে সংরক্ষণ করে রেখেছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। এই আমসত্ত্বও অনেকদিন পর্যন্ত খেতে পারবেন না তাহলে। নিশ্চয়ই অনেক মজাদার হয়েছিল এবং খুব মজা করে খেয়েছিলেন।