মাছ দিয়ে বুনো কচুর ডাল
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো মাছে দিয়ে বুনো কচুর ছরার ডাল রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমাদের উত্তর বঙ্গের একটি পছন্দের খাবার বুনো কচুর ছড়া দিয়ে ডাল। এই বুনো কচুর ছড়া শুধু মাত্র শীত কালেই পাওয়া যায়।এখন মাঠের ধান সব চলে এসেছে এবং পুকুরের জল শুখিয়ে গেছে আর জমির আইলেএবং পুকুর পাড়ে পাওয়া যায় এই কচুর ছড়া গুলো।খেতো ভীষণ সুস্বাদু মৌসুমি এই কচুর ছরা মাছ দিয়ে রান্না করে খেতে অসাধারণ সুন্দর লাগে।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
বুনো কচুর ছড়া |
---|
রসুন বাটা |
রসুন থেতো |
গোল মরিচ বাটা |
জিরা বাটা |
আদা বাটা |
লবন |
হলুদ |
মরিচের গুড়া |
কাঁচা মরিচ |
ভোজ্য তেল |
প্রথম ধাপ
পথমে কচুর ছড়া গুলো ধুয়ে পরিস্কার করে সিদ্ধ করে ছিলে নিতে হবে এবং ছেনে করে নিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন মাছ গুলো ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে এবং লবন হলুদ দিয়ে খুব ভালো করে মাছ গুলো মেখে নিতে হবে।এরপর চুলায় কড়াই বসিয়ে দিতে হবে এবং তেল গরম করে নিয়ে সেই তেলে মাছ গুলো ভেজে নিতে হবে।ভাজা হয়ে গেলে তুলে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
এখন মাছ ভাজার অবশিষ্ট তেলে পাঁচফোড়ন ও রসুন থেতা ফোঁড়ন দিতে হবে।এবং ছেনে রাখা কচুর ছড়া গুলো দিতে হবে এবং হলুদ, লবন দিয়ে নারাচারা করে ভেজে নিতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
খুব ভালো করে ভাজা ভাজা হয়ে গেলে কচুর ছড়া গুলোতে বাটা মসলার সব উপকরণ ও কাঁচা মরিচ,শুকনা মরিচ দিয়ে আবারও ভালো করে ভেজে নিতে হবে। এবং ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে পরিমাণ মতো জল এড করতে হবে এবং হাই হিটে তরকারি গুলো ফুটিয়ে নিতে হবে।
পঞ্চমধাপ
এখন ভেজে রাখা মাছ গুলো তরকারিতে দিয়ে দিতে হবে এবং জ্বাল করে নিতে হবে।ভালো করে মাছও কচুর ডাল গুলো ফুটিয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার রেসিপি বনো কচুর ছড়ার ডাল।এই মজাদার ডাল গুলো বাসি করে গরম ভাতের সাথেও খুব মজাদার লাগে।আমি তো অপেক্ষায় থাকি একটি বছর ধরে কবে এই শীতকাল আসবে আর কবে এই মজাদার কচুর ছড়ার ডাল খেতে পারবো।আজ এপর্যন্তই আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
! !
গ্রামে এসে সেদিন এক চাচিকে এই রেসিপি রান্না করতে দেখলাম। তারা বাড়ির পাশ থেকে এই কচুগুলো সংগ্রহ করে থাকে। শুনেছি খেতে নাকি খুবই সুস্বাদু হয় এই কচু।আপনার তৈরি বুনো কচুর ডালের রেসিপিটাও বেশ লোভনীয় লাগছে।
হ্যাঁ অনেক সুস্বাদু হয় এই ডাল।
ডাল রান্নার সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। মাছ এবং বুনো কচু দিয়ে যে এভাবে ডাল রান্না করা যায় সেটা আমার জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আজকে আমি নতুন ধরনের একটা রেসিপি সম্পর্কে অবগত হলাম।
আমি বুনো কচুর খাটা খেয়েছি তবে মাছ দিয়ে কখনো ডাল রান্না করে খায়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সত্যি বুনো কচু রান্না করলে অনেক মজা লাগে তবে এগুলো তৈরি করতে অনেক কষ্ট । প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বুনো কচু রান্না করতে কষ্ট কিন্তুু খেতে ভীষণ মজাদার।
বাহ্ দারুন তো আপু। আপনি তো দেখছি দারুন একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি দেখতে কিন্তু দারুন লোভনীয় মনে হচেছ। অবশ্য এমন করে এর আগে কখনও রান্না করে খাওয়া দেখিনি। রেসিপিটি বেশ ইউনিক মনে হচেছ। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মাছ দিয়ে বুনো কচুর ডাল অনেকে ইউনিক একটি রেসিপি। ডেকোরেশনটি অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
হ্যাঁ আপু অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
মাছ দিয়ে এভাবে বুনো কচুর ডাল কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে অনেক মজাদার। আমি অবশ্যই রেসিপিটা একদিন বাসায় ট্রাই করবো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।
এই কচুর ডাল খেতে অনেক ভালো লাগে কিন্তু মাছ দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। শীতের সকালে ভাইবোনেরা মিলে পুকুর পাড়ে গিয়ে এই কচু উঠিয়ে আনতাম আর মা খুব সুন্দর ভাবে জলপাই দিয়ে এর ডাল রান্না করতো। সেই ডাল খেতে খুবই সুস্বাদু হতো। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনাদের উত্তর বঙ্গের এদিকে এই রেসিপিটি অনেক বেশি জনপ্রিয় যদিও এ ধরনের রেসিপি এর আগে কখনোই খাওয়া হয়নি। মাছ দিয়ে বুনো কচুর ডাল রান্নার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় ছিল। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ অনেক জনপ্রিয় এই বুনো কচুর ছড়া।
অত্যন্ত সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই রেসিপি তৈরিতে কচুর ছড়া গুলো প্রস্তুত করে নেওয়াটা আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। দারুন একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্ট টি ভালো লাগার জন্য ও সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
মাছ দিয়ে বুনো কচুর ডাল এভাবে আগে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন যে কেউ খুব সহজ ভাবে তৈরি করে নিতে পারবে। আপনার রেসিপি দেখে বাসায় একদিন তৈরি করে দেখব। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি।তৈরি করে খেয়ে দেখবেন খুব ভালো লাগবে।