আমের টক তেল আচার রেসিপি❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো কাঁচা আমের তেল আচার রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আম হলো সিজনের ফল। এই সময় অনেক আম পাওয়া যায় আর সেজন্য সবাই আমের মজাদার সব আচার, আমসত্ব বানিয়ে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করে।মাঝে মাঝে যখন আম খেতে মন চায় তখন এই আমের আচার খেতে ভালো লাগে।এই আমের তেল আচার গুলো সব থেকে ভালো লাগে ভাত দিয়ে খেতে একটুকরো আমের আচার আর সাথে আচারের মসলাযুক্ত তেল দিয়ে গরম গরম ভাত খেলে মনে হয় অমৃত খাচ্ছি।
কাঁচা আম রোদে শুখিয়ে আচার করার ঝামেলা ছাড়াই এই মজাদার আমের আচারটি করেছি ভীষণ মজাদার হয়েছে এই আচারটি।প্রতি বছর এরকম ভাবে আমি আমের আচার করে রেখে দেই এবং সারা বছর ধরে তা খাই ভাতের সাথে।এই টক আমের তেল আচারের তেল দিয়ে মুড়ি মাখা ভীষণ চমৎকার লাগে খেতে।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
কাঁচা আম |
---|
জিরা গুড়া |
ধনিয়া গুড়া |
শুকনা মরিচের গুড়া |
হলুদ |
লবন |
সরিষার তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি গাছ থেকে কিছু দেশি কাঁচা আম পেড়ে নিয়েছি ও ধুয়ে মাঝখান দিয়ে সমান ভাবে দুইখণ্ড করে নিয়েছি। আমের ভীতরে যে আমের আঠি থাকে এবং আঠির ভীতরে নরম বিজ থাকে সেটি ফেলে দিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চুলায় একটি হাঁড়ি বসিয়ে তাতে জল দিয়ে কেটে রাখা আমগুলো জলে দিয়ে তাতে লবন হলুদ দিয়ে ভাপ দিয়ে নিতে হবে কিছু সময়। সিদ্ধ করে নিতে হবে তবে খুব বেশি নয়।
তৃতীয় ধাপ
এখন চুলায় একটি করায় বসিয়ে দিয়েছি এবং সরিষার তেল দিয়েছি। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে সিদ্ধ করে রাখা আম গুলো দিয়ে খুব ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
খুব ভালো করে আমগুলো ভাজা হয়ে গেছে তাই তুলে নিয়েছি একটি পাত্রে।
পঞ্চম ধাপ
এখন করাইয়ে দেড় লিটার পরিমাণ সরিষার তেল দিয়ে গরম করে একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি ঠান্ডা করার জন্য রেখে দিয়েছি। তেলগুলো গরম করে নেয়ার কারণ এগুলোই আচারে দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখবো আচার।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন জিড়া কড়াইয়ে দিয়ে টেলে দিয়েছি ও শীল পাটায় তা বেটে নিয়েছি।বাকি সব রাঁধুনী গুড়া মসলা ব্যাবহার করেছি।
সপ্তম ধাপ
এখন ভেজে রাখা আমগুলো কড়াইয়ে দিয়েছি ও তাতে একে একে সবগুল মসলার গুড়া উপকরণ দিয়েছি।
নাড়াচাড়া করে ভালোভাবে আমের সাথে মিশিয়ে নিয়েছে এবং এখানে একটু বেশি পরিমাণ তেল দিয়েছি ও আম, মসলা একসঙ্গে ভেজে নিয়েছি ভালো ভাবে।
অষ্টম ধাপ
খুব ভালোভাবে আম ও মসলা ভাজা হয়ে গেছে তাই নামিয়ে নিয়েছি ও ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি।
নবম ধাপ
আচারগুলো একদম ভালোভাবে ঠান্ডা হয়ে গেছে তাই কাঁচের বয়ামে আচার গুলো দিয়েছি ও তাতে আগে থেকে গরম করে নেওয়া ঠান্ডা করে রাখা সরিষার তেল গুলো দিয়েছি।
দশম ধাপ
কাঁচের বয়ামে তেল আচারগুলো রেখে দিয়েছি সংরক্ষণ করার জন্য।
সংরক্ষণ
এই ছিল আমার আজকের মজাদার কাঁচা আমের তেল আচার রেসিপি। রেসিপিটি কিন্তু অসম্ভব সুন্দর খেতেও দারুন মজা। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। আবারও দেখা হবে অন্য কোন প্রশ্নের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
জী আপু রোদে না শুকিয়ে এভাবে আমের আচার আমি সিলেটে গিয়ে একবার খেয়েছিলাম। এই আচারটা ভালোই লাগে। রেসিপিটা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। কাচের বক্সে রেখে মাঝে মাঝে খেলে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ।
বলেছেন ভাইয়া কাচের বয়ামে রেখে মাঝে মাঝে খেলে ভালই লাগে।
আম দিয়ে খুব সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন। আপনার চমৎকার এই রেসিপি তৈরি করতে দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার। অনেক সুন্দর ছিল আপনার রেসিপি তৈরি করা। এমন সুন্দর রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমের আচার খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। এরকমভাবে আমিও আমের সিজনে কাঁচা আম দিয়ে আমের টক তেল আচার তৈরি করে থাকি। এটা অনেক বেশি লোভনীয় এবং মজাদার হয়ে থাকে। আমার তো ইচ্ছে করছে এখনই কয়েকটা আচার তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলি। এত মজাদার আচার তৈরি করেছেন আমার জন্য বক্সে করে কয়েকটা আচার পাঠিয়ে দেন পার্সেল করে। লোভনীয় আচারের রেসিপি তৈরি করে সবার মাঝে এত সুন্দর করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
হাহাহা আপনাকে পার্সেল করলে তো বাংলা ব্লগের সব বন্ধুরা মন খারাপ করবে তাদেরও চাই আচার। তাই সবার জন্য রেসিপি দিয়েছি করে খাবেন 😀।
আমের আচারের দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।আপনার তৈরি করা আমের আচারের রেসিপি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।এইভাবে আচার তৈর করে সংরক্ষণ করে অনেক দিন পর্যন্ত খাওয়া যায়।আপনার রেসিপি দেখে সহজেই কেউ তৈরি করতে পারবে আপু। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একদমই ঠিক বলেছেন আপু এভাবে আচার করলে অনেক দিন সংরক্ষণ করে রেখে খাওয়া যায় আমি তো পুরা এক বছর খাই এই আচার। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমের টক তেল আচার রেসিপি শেয়ার দেখেই দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আচার রেসিপিটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে রেসিপিটা তৈরি করলেন। আসলে আমের আচার রেসিপি আমি খুবই পছন্দ করি।
আপনি আমের আচার খুব পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া আমিও আমের আচার ভীষন পছন্দ করি, এবং আমি সুন্দর সুন্দর আচার বানাতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।
আজ আপনি কাঁচা আমের টক তেল আচার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার আচার দেখে আমার খুব লোভ হচ্ছে। আমি আবার আচার খাওয়ার লোভ সামলাতে পারি না। আপনার তৈরি আচার গুলো দেখতে যেমন চমৎকার হয়েছে তেমনি বেশ লোভনীয় হয়েছে। আচার তৈরীর প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে আচারের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকার।
আচারের রেসিপি টা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। এইভাবে কখনো আচার তৈরি করা হয়নি। দেখে তো ইচ্ছে করছে খাওয়ার জন্য। বেশ বড় বড় টুকরো করেছেন দেখছি। পুরো রেসিপির প্রসেসটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বড় বড় টুকরো করেছি মানে একটা আম শুধু দুই খন্ড এক খণ্ড আচার খেলেই তৃপ্তি লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আহ আপু কি দেখালেন আপনি😋😋।আসলেই আপু গরম গরম ভাতের সাথে খেতে অমৃত লাগে।আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে টক আচার দিয়ে ভাত খেতে। আপনার আচার দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করছে গো আপু।এমন ভাবে কখনো আচার বানাইনি।আপনার আচার তৈরি করা আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার রেসিপিটি খুব ভালো লেগেছে জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ।
আসলে আজকে তো দেখছি আপনারা সুন্দর সুন্দর আমের আচারের রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করছেন। এর আগে এক আপু কাঁচা পাকা আমের রেসিপি শেয়ার করেছে এবং আপনি তো দেখছি কাঁচা আমের আচার শেয়ার করেছেন। আসলে এই ধরনের আচার যদি আমরা ঠিকঠাকভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারি তাহলে সারা বছর এই আচার আমরা খেতে পারবো। এছাড়াও এই আচার তৈরির প্রতিটা পদ্ধতি আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন দাদা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে এই আচার পুরা বছর জুড়ে খাওয়া সম্ভব।ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমের টক তেল আচার রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আসলে টক রেসিপিগুলো দেখলেই যেন খেতে ইচ্ছা করে। বিশেষ করে এই রেসিপিটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জন্য।