শোল মাছের রসা❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগবাসী বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো শোল মাছের রসা রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগব।
আমরা জানি শোল মাছ একটি সুস্বাদু ও পুষ্টি গুণে ভরপুর একটি মাছ।জেনে নেই এই মাছের গুষ্টি গুন গুলো।
মাংসপেশি গঠনে সাহায্য করে, রুচিও বাড়ায়। ১০০ গ্রাম শোল মাছে আছে ৯৪ ক্যালরি, ১৬ দশমিক ২ গ্রাম প্রোটিন, ১৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম আয়রন, ৯৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ১ হাজার ৮০ মাইক্রোগ্রাম জিংক। তো এই শোল মাছের রসা খেতে খুব মজালাগে।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
শোল মাছ |
---|
আলু |
গোটা জিরা |
তেজপাতা |
পেঁয়াজ বাটা |
রসুন বাটা |
জিরা বাটা |
আদা বাটা |
মরিচ বাটা |
লবন |
হলুদ |
ভোজ্য তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি শোল মাছ কেটে ধুয়ে পরিস্কার করে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি। এরপর মাছের পিস গুলোতে লবন হলুদ দিয়ে খুব ভালো করে মেখে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি এবং তেল দিয়েছি তেল গরম হয়ে গেলে লবন হলু মেখে রাখা মাছ গুলো কড়াই এর গরম তেলে একে একে দিয়েছি এবং খুব ভালো করে এপিঠ ওপিঠ করে ভেজে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
খুব ভালো করে মাছ গুলো ভাজা হয়ে গেছে তাই মাছ গুলো তুলে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন আমি গোটা জিরে ও তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়েছিও তাতে পেঁয়াজ কুচি ও আলু গুলো খুব ভালো করে ভেজে নিয়েছি।ভাজা পেঁয়াজ ও আলু গুলোতে সব গুলো বাটা মশলা গুলো কষিয়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন মশলা দিয়ে কষানো আলু গুলোতে পরিমান মতো জল এড করেছি ও একটু ফুঁটিয়ে নিয়েছি। তরকারি গুলো ফোঁটানোর পর তাতে মাছ দিয়েছিও আবার জ্বাল করে ভালো করে ফুঁটিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এই তো শোল মাছের মজাদার রসা গুলো হয়ে গেছে তাই তুলে নিয়েছেন পরিবেশনের জন্য।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি ও পরিবেশ। আশা করছি আপনার ভালো লাগবে।আবারও অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসবো। সে পর্যন্ত সব্বাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
টাটা
পোষণ | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
শোল মাছ রান্না করা হোক না কেন আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে খেতে। আপনি যেভাবে আজকে শোল মাছ রান্না করে দেখালেন এভাবে সুস্বাদু না হয়ে পারেই না। আর পোস্টের প্রথমেই আপনি শোল মাছের পুষ্টিগুণ নিয়ে চমৎকার বর্ণনা করেছেন। আপনার রেসিপি পোষ্টের উপস্থাপনা এবং সবশেষে পরিবেশনা অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
শোল মাছ আমারও খুব প্রিয়।ধন্যবাদ ভাইয়া সম্পুর্ণ পোস্ট টি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার পোস্ট পড়ে শোল মাছের অনেক পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পারলাম। আপনি শোল মাছ দিয়ে আজ খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি কিন্তু আপনার শোল মাছের রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপ গুলো সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু শোল মাছের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
অনেক ধরনের উপকরণ ব্যবহার করে আপনি শোল মাছের রসা তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।। ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
শোল মাছ খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো। আপনার রেসিপিটা দেখে তো ভীষণ সুস্বাদু মনে হচ্ছে। রান্নার প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। তবে এই ধরনের রেসিপি গুলোতে একটু ঝাল বেশি করে দিলে খেতে বেশ মজা লাগে। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঝাল বেশি করে দিলে খেতে ভালো লাগে আমিও অনেকটি ঝাল দিয়েছিলাম।
তরকারির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক ঝাল হয়েছিল ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য ।
শোল মাছ আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।আপনার রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাকেও ধন্যবাদ আমার পোস্টটিতে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য
দেশীয় জাতের মাছের মধ্যে শোল টাকি শিং মাছ আমার সব থেকে বেশি প্রিয়।
বেশ কয়েকদিন আগেও শোল মাছের একটি রেসিপি প্রস্তুত করে খেয়েছি।
আপনার প্রস্তুত করার শোল মাছের রেসিপি এবং বর্ণনা পড়ে জিভে জল চলে আসলো।
খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।
অনেক মজা হয়েছিল ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটিতে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
শোল মাছ খেতে বেশ মজা লাগে। এ ভাবে শোল মাছ রান্না করলে খেতে বেশ মজা লাগে। আমার শ্বশুর বাড়িতে এভাবে রান্না করে। তবে আমি অন্যভাবে রান্না করি। রান্নার ধাপগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
শোল মাছ আমি শুধু এভাবেই রান্না করে খাই। এভাবে রসা রান্না করে খেতে আমার খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
শীতকালে বাজারে খুব সহজেই এই মাছ পাওয়া যায়। এছাড়া গ্রামের দিকে গেলে পুকুরে এই মাছ পাওয়া যায়। শোল মাছের রসা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে আপু। আপনি এত সুন্দর করে রান্না করেছেন দেখে জিভে জল চলে এসেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন গ্রামের পুকুরে এই শোল মাছ সহ পাওয়া যায়।এই শোল মাছগুলো আমাদের পুকুরের মানে আমার বাবার বাড়ির পুকুরের। ধন্যবাদ আমার পোস্টটি ভালো লাগার জন্য এবং সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
শোল মাছের রসা রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এই রেসিপিটি আমার কাছে ইউনিক লেগেছে এবং রেসিপির পরিবেশনে অসাধারণ হয়েছে। ধাপে ধাপে শেয়ারের মাধ্যমে এই রেসিপিটি খুব সহজে আমরা তৈরি করা শিখে নিলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার রেসিপিটি ভালো লাগার জন্য।
আপু অনেক মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।শোল মাছের রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। শোল মাছ আমি খেতে অনেক পছন্দ করি। আপনার রেসিপিগুলো অনেক ইউনিক হয় আমার অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
সত্যি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য।