কচি লাউ দিয়ে মাছের মুড়ো রেসিপি
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগবাসী বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন আমিও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো লাউ দিয়ে মাছের মুড়ো মানে মাছের মাথা রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।বড়ো মাছের মাথা আমরা কম বেশি অনেকেই পছন্দ করি।বড়ো মাছ হলেই প্রথমে মাথায় আসে মুড়ি ঘন্ট বা মুগ ডাল দিয়ে মাছের মাথা রান্নার কথা।কিন্তুু আজ আমি ভাবলাম আমরা সবাই মাছের মাথা পছন্দ করি তাই যহি লাউ দিয়ে আস্ত মাছের মাথা রান্না করা যায় তবে মন্দ হবে না।যে কথা সেই কাজ একটি কচি লাউ দিয়ে মাছের মাথা রান্না করে নিলাম।তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
উপকরণ
| মাছের মাথা | ৩টি |
|---|---|
| লাউ | ১টি |
| পেঁয়াজ | পরিমাণ মতো |
| আদা বাটা | পরিমাণ মতো |
| জিরা বাটা | পরিমাণ মতো |
| লবন | স্বাদ মতো |
| হলুদ | পরিমাণ মতো |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি একটি কচি লাউ ধুয়ে স্লাইস করে কেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন আমি মাছের মুড়ো গুলো পরিস্কার করে ধুয়ে লবন হলুদ মাখিয়ে নিয়েছি,এবং চুলায় কড়াই বসিয়ে কড়াইয়ে তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে গেলে মাছের মুড়ো গুলো ভাজার জন্য দিয়েছি কড়াই এ।
তৃতীয় ধাপ
মাছের মাথা গুলো খুব ভালো ভাবে ভেজে তুলে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন আমি একটি প্রেসার কুকাড়ে লাউ গুলো সিদ্ধ করে নিয়েছি খুব ভালো করে।
পঞ্চম ধাপ
এখন আমি কড়াইয়ে পেঁয়াজ গুলো দিয়ে ভেজে নিয়েছি ও একে একে সব গুলো বেটে রাখা উপকরণ গুলো দিয়ে কষিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন আমি কষানো মশলা গুলো তে আগে থেকে সিদ্ধ করে রাখা লাউ গুলো দিয়েছি ও খুব ভালো করে মশলার সাথে লাউ নারাচারা করে নিয়েছি ও কষিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন আমি কষানো লাউ গুলোতে মাছের মুড়ো গুলো দিয়েছি ও অল্প আচে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি। মাছের মুড়ো গুলো সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
মাছের মাথা গুলো পুরাপুরি সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অল্প আচে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।মাছের মাথা গুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি পরিবেশের জন্য।
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার কচি লাউ দিয়ে মাছের মুড়ো রান্না করার রেসিপিটি।আশা করছি আপনাদের একটু হলেও ভালো লাগবে।আজ এ পর্যন্তই আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত আপনারা ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,নিরাপদে থাকবেন।
টাটা
| পোস্ট | বিবরণ |
|---|---|
| পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
| শ্রেণী | রেসিপি |
| ডিভাইস | OppoA95 |
| লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
কচি লাউ দিয়ে মাছের মাথার চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। এই ধরনের রেসিপি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। রেসিপি তৈরি প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপু।
কচি লাভ মাছের মাথা দিয়ে আমারও খুব প্রিয়।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
কচি লাউ দিয়ে মাছের মুড়ো রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে তাই খেতে ইচ্ছা করছে।এতো মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
কচি লাউ খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে কচি লাউ এবং মাছ দিয়ে খুব চমৎকার ভাবে মুড়ো রেসিপি করেছেন। এই ধরনের রেসিপি খাওয়ার মজাই আলাদা। লাউ দিয়ে মাছের মাথা দিয়ে কিছু রান্না করলে খেতে এমনি তো খুব মজা লাগে। আর আপনার রেসিপি কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজায় হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন বড় মাছ আনলে আমরা শুধু মুগ ডাল দিয়ে মুড়ি ঘন্টা করতে চাাই।আমি মাঝে মাঝে মুড়ি ঘন্ট করি। তবে আপনার মতো কখনো লাউ দিয়ে এভাবে রান্না করি নি। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মাছের মাথা দিয়ে কখনোই এভাবে লাউ রান্না করে খাওয়া হয়নি। জানিনা এটা খেতে কেমন লাগে বা এর স্বাদ কেমন। অবশ্য একদিন ট্রাই করে দেখব খেতে কেমন। এই রেসিপিটি আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি। আপনাকে ধন্যবাদ এরকম একটি শেয়ার করার জন্য।
বাহ আপনি তো অনেক সুন্দর করে কচি লাউ দিয়ে মাছের মাথা দিয়ে মুড়ো রেসিপি করেছেন। লাউ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সত্যিই আপনি যেভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছেন খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে মনে হয়। রেসিপিটি দেখে আমার নিজেরও খেতে মন চাইতেছে। খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মাছের মুড়ো এই কথাটা শুনে রীতিমত অবাক হয়ে গিয়েছিলাম মাছের মুড়ো আবার কি জিনিস হাহাহা...!! যদিও পরবর্তীতেই আপনি আপনার পোস্টে সেটা উল্লেখ করে দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। মাছের মাথা আমরা অনেকেই অনেক বেশি পছন্দ করি তবে মুগ ডাল দিয়ে যদি মাছের মাথার মুড়িঘন্ট রান্না করা হয় তাহলে খেতে সবথেকে বেশি সুস্বাদু লাগে। কচি লাউ দিয়ে মাছের মুড়ো রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল আর কচি লাউ দিয়ে মাছ রান্না করলে বরাবরি অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মাছের মুড়ো এটা ছোট বেলা থেকে শিখে এসেছি। মাছের মাথাকে আমরা মাছের মুড়ো বলে থাকি।আমরাও মুগ ডাল দিয়ে খাই মাঝে মধ্যেই।ধন্যবাদ
জি আপু বড় মাছের মাথা আমরা কম বেশি অনেকেই পছন্দ করে থাকি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বড় মাছের মাথা খেতে ভালোবাসি। যাক আপনি সবার পছন্দের মাথা ও লাউ দিয়ে মাছের সুন্দর একটি রেসিপি আপনি তৈরি করেছেন। অনেক ভালো লাগলো বিশেষ করে কচি লাউ দিয়ে মাছের মুড়ি রেসিপি টা অনেক সুন্দর ভাবে জমে উঠেছে। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
আমারও মাছের মাথা খুব পছন্দ। আমার মেয়েরও পছন্দ তবে মেয়ে ছোট মানুষ খেতে পারে না আমি খাই তখন ওকে মাছের মাথায় সুস্বাদু মগজ গুলো দেই। ধন্যবাদ সুন্দর করে গুছিয়ে কমেন্ট করার জন্য।
দিদি কচি লাউ দিয়ে কখনো এ ধরনের রেসিপি খেয়ে দেখে নিই তবে আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। কচি লাউ দিয়ে মাছের মুড়ো রেসিপি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
খেয়ে দেখবেন কখনো এভাবে রান্না করে খুব মজা লাগবে।মাছ দিয়েও লাউ রান্না করে খেতে মজা হয় অনেক।ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
লাউ আমার খুবই পছন্দের একটি সবজি।শীতকাল কচি কচি লাউ দেখতে যেমন ভালো লাগে খেতেও তেমনি সুস্বাদু লাগে।লাউ দিয়ে মাছের মাথা রেসিপি টি দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছে আশাকরি খেতেও অনেক সুস্বাদু হবে।লোভনীয় রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক বলেছেন শীতকালে কচি লাউ দেখতে যেমন ভালো খেতেও তেমনি ভালো লাগে।সত্যি সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ