পুকুরের মাছ ধরা দেখার অনুভূতি
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা
করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো পুকুরের মাছ ধরা দেখার অনুভূতি ও ফটোগ্রাফি।
মেয়ের স্কুল বন্ধ তাই মেয়ের বায়না মামা বাড়িতে আসবে তাই চলে এসেছি। আর আসার পরের দিনেই পুকুরে মাঝি এসেছে মাছ ধরার জন্ আর তাই আমি তখন কয়েক টা ফটোগ্রফি করে নিয়েছি।খুব ঠান্ডা ছিলো তাই মাঝিরা এসে পুকুর পাড়ে বসে রোদ পোহালো কিছুক্ষণ।এর পর যখন মাঝিরা রেডি হচ্ছিল এই কনকনে ঠান্ডায় পুকুরে নামার জন্য। ভাবছিলাম মানুষ পরিবারের জন্য জীবিকার তাগিদে কতো কষ্টই না করে।এর মধ্যে আবার দশ, বারো বছরের মাঝি ছেলেও ছিলো । ওদেরকে দেখা খারাপ লাগছিলো এই বয়সে তাদের লেখাপড়া ও খেলাধুলার বয়স।অথচো এই বয়সে তারা জীবিকার পথ বেছে নিয়েছে। বেছে নিয়েছে মানে হয়তো বাধ্য হয়েছে। এসব ভাবতে ভাবতে লক্ষ্য করলাম তারা বের জাল নিয়ো জলে নেমে পড়লো হাসিমুখেই এবং মাছ ধরার জন্য পুরা পুকুর ঘিরে নিলো বিশেষ কায়দায় জাল টেনে টেনে এক কোনে নিয়ে আসলো এবং সবাই জটলা বেঁধে বিক্রির উপযোগিতায় মাছ গুলো বেছে বেছে একটি বস্তায় ও বড়ো সাইজের একটও হাড়িতে ভরিয়ে নিলো।
বস্তাটি দুজন মাঝি ধরে আটোতে নিয়ে গেলো।অটো আগে থেকেই এসেছে কারণ মাছ গুলো অটোতে করে মাছের আড়োতে নিয়ে যাবে।অটোতে আবার মাছ রাখার জন্য বড়ো দুটো ড্রাম বসিয়ে রেখেছিলো। এরপর বস্তারও হাড়ির মাছ গুলো ড্রামে ভরালো জল দিয়ে যাতে করে মাছ গুলো বেঁচে থাকে।
অনেক প্রকারের মাছ ধরা পড়েছিলো যেমন রুই,কাতলা,মৃগেল,সরপুঁটি, মুসা,সিভার কাপ,কার্ফু,গ্রাস কাপ,শোল ইত্যাদি।বোলায় মাছও মা কি আছে পুকুরে বেশ কিছু কিন্তুু ওঠেনি আজকে।মাছ গুলো অটোতে এনে রেখে নিয়ে গেলো আলোতের উদ্দেশ্যে।বাড়ির জন্য অনেক মাছ রাখলো।মাছগুলো কেটে ফ্রিজে রেখে দিলো।
এর পর অনেক বড়ো বড়ো সাইজের সরপুঁটি মাছ ভেজে খাওয়ার জন্য কেটে নিয়েছিল এবং সুন্দর মচমচে করে ভেজে দিলো খাওয়ার জন্য। অনেক বড়ো সাইজের ছিলো পুটিমাছ গুলো ফটোগ্রাফিতে তত বড়ো উঠছে না।
মাছ ভাজার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আবার ভেবে নিয়েন না যে সব গুলো মাছ ভাজা একাই খেয়েছি।আসলে পরিবারের সদস্য এতো গুলো।কাকা,ছোটমা,কাকাত ভাই,কাকাত বোন,মা,বাবা আমি,মেয়ে।তবে আমি দুখানা মাছ ভাজা খেয়েছিলাম। মেয়ে এতো বড়ো মাছ খেতে পারছিলো না তাই ওর মাছ ভাজাটিও আমাকেই খেতে হয়েছিলো।তবে দুটো মাছ খেয়েছি মুড়োও লেজা বাদ দিয়ে শুরু মাত্র মাছের পিঠের অংশ।তবে অনেক সুস্বাদু ওমজাদার ছিলো মাছ গুলো খেয়ে খুব ভালো লেগেছিলো। এই ছিলো আমার মাছ মারা দেখার সুন্দর মূহুর্ত। আজ এ পর্যন্তই। আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্ট নিয়ে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোষণ | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
পুকুরে মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে সব থেকে বেশি ভালো লাগে পুকুরে ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে। আপু আজকে পুকুরে মাছ ধরা দেখার চমৎকার একটি অনুভূতি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
একদমই ঠিক বলেছেন ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে আমারও খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পুকুরে বেড় দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে আমারও ভালো লাগে। আমাদের পুকুরেও এভাবে মাছ ধরা হয়েছিল কিছুদিন আগে। পুকুরের মাছগুলো তাজা তাজা খেতে খুব বেশি ভালো লাগে। ভাজা মাছ গুলো দেখে কিন্তু লোভ লেগে গেল।
হ্যাঁ আপু সুন্দর তাজা মাছ গুলো।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
আপু বাস্তবতা চরম কঠিন যে ছেলেটা পড়ালেখা এবং খেলাধুলার বয়স এই ছেলেটা জীবিকার পথ বেছে নিয়েছে কারণ বাস্তবতা তাকে এই পথ বাধ্য করেছে। অনেক সুন্দর নিজের অনুভূতি শেয়ার করেছেন আমারও ভীষণ ভালো লাগে এই মাছ ধরা দেখতে এবং আপনি মাছের রান্নার রেসিপি ফটোগ্রাফি দিয়েছেন। ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল এবং ফটোগ্রাফি গুলো দুর্দান্ত ছিল।
হ্যাঁ ভাইয়া আসলেই বাস্তবতা অনেক কঠিন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।