ছরা কচু ভর্তা রেসিপি❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লক বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি, ভালো আছেন আমিও সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আজ আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেবো কচুর ছরা ভর্তা রেসিপি আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
যেকোনো ভাতার প্রতি আমার অনেক দুর্বলতা। মাছ মাংস আমাকে দুর্বল করতে পারে না কিন্তু যে কোন প্রকারের ভর্তা হলে আমি মাছ মাংস বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ভর্তা দিয়ে এক প্লেট ভাত খেয়ে ফেলতে পারি। আমি মাঝে মাঝে নানা রকমের ভর্তা বানিয়ে খেয়ে থাকি। প্রতি রাতে আমার কোন না কোন ভর্তা চাই চাই। যত ভালো তরকারি থাকুক না কেন ভর্তা আমার লাগবেই। আমার শ্বশুর বাড়িতে ভর্তা সবাই পছন্দ করে বিশেষ করে আলু ভর্তা। আমি কখনো আলু, কখনো বেগুন, কখনো পটল, কখনো কচুর মুখী, কখনো মান কচু কখনো লাউ পাতা, কখনো সজনে পাতা, কখনো বা মরিচ ভর্তা করে খেয়ে থাকি।এসব ভর্তা হলে আর কিছু চাইনা আমার তবে অনেকটা ঝাল ঝাল করে ভর্তা করি আমি। কালোজিরা ভর্তা ও মাঝে মাঝে খেয়ে থাকি কালোজিরা অনেক উপকারী একটি ভর্তা।
তো চলুন দেখা যাক ভর্তা কিভাবে তৈরি করেছি আমি
কচুরমুখী |
---|
শুকনা মরিচ |
পেঁয়াজ কুচি |
রসুন ঘেতানো |
লবন |
সরিষার তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে কচুর ছরা গুলো ছিলে ধুয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার আমি কচুর ছরা গুলো ভাবতে মধ্যে সিদ্ধ করতে দিয়েছি ও ম্যাস করে নিয়েছি । আপনারা চাইলে অন্যভাবে সিদ্ধ করে নিতে পারেন তবে ভাতে সিদ্ধ করা কচুর ছরা ভর্তা সুন্দর হয় বেশি খেতেও সুস্বাদু হয় অনেক।
তৃতীয় ধাপ
এখন শুকনা মরিচ ভাজা কাঁচা পেঁয়াজ কুচি,থেতানো কয়েক কোয়া রসুন ও সরিষার তেল,লবন একত্রে নিয়ে হাত দিয়ে খুব ভালে করে মেখে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন আগে থেকে ম্যাস করে রাখা কচুর ছরা গুলোতে মেখে নেয়া সব গুলো উপকরণ দিয়েছি ও আমারও সুন্দর করে কচুর ছরার সাথে সব উপকরণ দিয়ে মেখে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
কচুর ছরা ভর্তা পুরাপুরি ভাবে তৈরি হয়ে গেছে।
ষষ্ঠ ধাপ
ভর্তা গুলো হয়ে গেছে তৈরি তাই পরিবেশের জন্য সাজিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিল আমার মজাদার কচুর ছারা ভর্তা রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে আমার এই রেসিপিটি। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্য কোন কষ্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন ।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আজকে অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।। খুবই ভিন্ন ধর্মীয় একটি রেসিপি, অসাধারণ ছিল আজকের রেসিপিটি। কচু ভর্তা এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। ভালো লেগেছে আপনার ভর্তাটি দেখে। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এভাবে খেয়ে দেখবেন একদিন অনেক ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
রাতের বেলায় সেভাবে ভর্তা খাওয়া হয় না। তবে সকালবেলায় ভর্তা ভাত খেতে অনেক ভালো লাগে। কচু ভর্তা রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। আপনি অনেক সুন্দর করে এই ভর্তা করেছেন আর আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
সকালে ভাত খাই না আপু এজন্য রাতে খাই ভর্তা ভাত।আগে যখন সকালে ভাত খেতাম তখন প্রতিদিন ডিম ভাজা ও ভর্তা দিয়ে খেতাম।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন ভর্তা দিয়ে পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়।আপনার ভর্তা দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার ছিল। আসলে আপু ভর্তা একটু ঝাল হলে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক ধরনের ভর্তা করেন জেনে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আজ আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি ভর্তার রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই ছড়া কচু টাকে আমরা মুখী বলে থাকি। আসলে একটা জিনিসের নাম সব জায়গায় একরকম হয় না। আর এই কচুর ভর্তা খুব মজার একটি ভর্তা। আপনি ভর্তার প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি ভর্তা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন একই জিনিসের জায়গা ভেদে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কচুর ছড়া আমার বেশ পছন্দের একটা খাবার। তবে এভাবে কখনো ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। অনেকের কাছেই শুনেছি এটা নাকি অনেক মজার একটা খাবার। তবে আমি কখনো ট্রাই করিনি। আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে সত্যিই জিভে জল চলে এসেছে। যেকোনো ধরনের ভর্তা আমার বেশ পছন্দ। এটা নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে।
এভাবে ভর্তা করলে অনেক মজা হয় আপু একদিন বানিয়ে খেয়ে দেখবেন খুব ভালো লাগবে।
দারুন একটি রেসিপি দেখতে পারলাম আপনার আজকের এই পোস্টে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি রেসিপি তৈরি করে আমাদের দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে। আশা করি খেতে খুবই ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ খুবই ভালো লেগেছিল এই ভর্তা গুলো ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
ছরা কচু আমাদের শরিরের জন্য অনেক উপকারী। এর ভর্তা খেতে খুবই দারুন লাগে।আপনি আজ খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমার খুবই পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপু। কচুর মুখী ভর্তা খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আপনি দারুন ভাবে ভর্তা রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি ভিজিট করে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই আপু ভর্তা দিয়ে পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়। খাবারে অনেকটা তিপ্তি আসে। আপনার ভর্তার রেসিপি টা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভর্তা খাবারের তৃপ্তি আনে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এই রেসিপিটা আমি কয়েক জায়গায় দেখেছি। কচুর ছরা সিদ্ধ করে ভর্তা করা হয়। আবার দু একবার খেয়েছিলাম। খেতে দারুন লেগেছিলো। আপনার রেসিপিটি তৈরি করার প্রক্রিয়া আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। পরিবেশন টা অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনি কচুর ছরা ভর্তা খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।