লাউ এর বিচি ভর্তা রেসিপি
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লকবাসী বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন, আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি মজাদার লাউ এর বিচি ভর্তা রেসিপি।
আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। লাউ এর বিচির কিছু উপকারিতা ও রয়েছে। লাউ এর বীজে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড,জিংক এবং ম্যাগনেসিয়াম সহ মস্তিষ্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পুষ্টির একটি ভালো উৎস। আর বলতে গেলে লাইয়ের সবকিছুই খাওয়া যায়। লাউ এর আগা ডগা পাতা। লাউ, কচি লাউ এর খোসা ভাজি,এমনকি লাউ এর বিচির মজাদার ভর্তা । বাজার থেকে বড়ো সাইজের লাউ কিনে এনেছিলো। আমার এতো বড়ো লাউ দেখেই মেজাজটা গরম হয়ে গিয়েছিলো কারণ একদম বড়ো লাউ আমার পছন্দ নয়।আমার পছন্দ একদম ছোট এবং কচি লাউ।তো কিনে এনেই ফেলেছে তাই কাটতে বসেছি। কেটে দেখি ওমা এতো বিচিতে ভরপুর।বিচি গুলো দেখে মনে পড়ে গেলো শ্বশুরি ও আমার মায়ের কথা ওনারাতো এই লাউ এর বিচি দিয়ে ভর্তা করতেন। বেশ মজাদার হতো ভর্তা।আমার তো যে কোন ভর্তার প্রতি দূর্বলতা বরাবর। তাই দেরি না করে বসে বসে লাউ থেকে বিচি গুলো আলাদা করলাম আর ভাবলাম আজ এই লাউ এর বিচির ভর্তা রেসিপি করবো।যে কথা সেই কাজ।
তো চলুন দেখা যাক মজাদার ভর্তা রেসিপিটি কেমন
উপকরণ
লাউ এর বিচি |
---|
কালো জিরে |
রসুন |
শুকনা মরিচ |
লবন |
হলুদ |
ভোজ্য তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি লাউ থেকে বিচি গুলো একটা একটা করে বের করে নিয়েছি একটি পাত্রে। এবং পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়েছি ও জল ঝড়িয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে নিয়েছি ও তাতে আগে কালো জিরে,শুকনো মরিচ ভেজে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন আমি লাউ এর বিচি গুলো কড়াই এ দিয়েছি এবং তাতে লবন হলুদ দিয়ে খুব ভালো করে নারাচারা করে খুব ভালো করে ভেজে নিয়েছি ভর্তা বানানোর জন্য।
চতুর্থ ধাপ
এখন আমি কালো জিরে,শুকনো মরিচ,লাউ এর বিচি ভাজা গুলো ও কয়েক কোয়া কাচা রসুন নিয়েছি শীল, নোড়ায় বেটে নেয়ার জন্য। আর কাচা রসুন নিয়েছি কারণ রসুনের গন্ধটা ভালো লাগে যেহেতু ভাজার সময়েও রসুন ব্যাবহার করেছি তাই বাটার সময় বেশি কাঁচা রসুন ব্যাবহার করার দরকার নাই।
পঞ্চম ধাপ
এখন আমি সব উপকরণ গুলো এক সাথে খুব মিহি করে বেটে নিয়েছি ও বাটা হয়ে গেলে একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন আমি পরিবেশের জন্য রেডি করে নিয়েছি।
পরিবেশনা
পোষ্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণী | রেসিপি |
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
লাউয়ের খোসাভাজি খেয়েছি,কিন্তু কখনো লাউয়ের বীজ ভর্তা খাওয়া হয়নি।আর এটা যে খাওয়া যায় তাই জানতাম না। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। অনেক সুস্বাদু হয়েছে মনে হচ্ছে।ধন্যবাদ মামি ইউনিক ও পুষ্টিকর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলে লাউ এর বীজও খাওয়া যায় জেনে খুব ভালো লাগছে।হ্যাঁ অনেক লোভনীয় হয়েছিল রেসিপিটি।ধন্যবাদ
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন লাউয়ের বিচি ভর্তা রেসিপি। আসলে আপু লাউ অনেক খেয়েছি। তবে এর বিচি ভর্তা করে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার এই লাউয়ের বিচি ভর্তা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই স্বাদ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া খুব সুস্বাদু একটি ভর্তা লাউ এর বিচি ভর্তা।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
লাউয়ের রেসিপি যে এভাবে রান্না করে বা ভাজি করে খাওয়া যায় এটা কিন্তু আমার মোটেও জানা ছিল না আজকের আপনার সুন্দর এই পোস্টের মধ্য দিয়ে কিন্তু নতুন একটা রেসিপি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারলাম। বেশ ভালো লাগলো সুন্দর এই রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে। নতুন নতুন রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করতে দেখলে বেশ ভালো লাগে আমার।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ভাইয়া।
একদম ঠিক বলেছেন আপু লাউ আগা থেকে গোরা সবই খাওয়া যায়। কিন্তু আমার কখনো ভেতরের অংশ ছাড়া আর কিছু খাওয়া হয়নি। এরকম লাউ বাজার থেকে কিনে আনলে মেজাজ গরম হওয়ারই কথা। আপনি অবশ্য ভালো বুদ্ধি করেছেন বিচিগুলোকে ভর্তা করে ফেলেছেন। লাউয়ের বিচি ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। দেখে তো বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে।
আমার পোস্টের মাধ্যমে আপনি রেসিপিটি শিখলেন জেনে খুব ভালো লাগছে।ধন্যবাদ আপু
লাউ দিয়ে প্রস্তুত করা অনেক ধরনের রেসিপি খেয়েছি।
তবে লাউ এর বিচি দিয়ে প্রস্তুত করা রেসিপি প্রথমবারের মতো আপনার মাধ্যমে দেখতে পেলাম।
আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি এবং রন্ধন প্রস্তুত প্রণালী লেখাগুলো পড়েই বুঝতে পারছি খেতে সত্যি অনেক মজা হবে।
সত্যি অনেক মজাদার ভর্তা এটি।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
কচি লাউ আমার বেশ পছন্দের তবে বড় লাউ গুলোর ভিতরে বিচি বেশি থাকে। এই লাউর বিচিকে কাজে লাগিয়ে মজাদার একটি ভর্তার রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। লাউয়ের বিচির ভর্তা আমিও একবার তৈরি করেছিলাম খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে তবে আমি কালো জিরা ব্যবহার করিনি। আপনার রেসিপিটি দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
লাউয়ের বিচি ভর্তা এখনো খাইনি। আমার বাসায় এগুলো ভর্তা করে কিন্তু কোনদিন টেস্ট করে দেখিনি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে ভর্তাটি অনেক টেস্ট হয়েছে। এবার বাসায় ভর্তা করলে অবশ্যই টেস্ট করবো।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
লাউয়ের বিচি দিয়ে যে এত সুন্দর ভর্তা তৈরি করা যায় সেটা আপনার পোস্ট না দেখলে হয়তো জানতাম না দিদি। লাউয়ের বিচি ভর্তা রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। অনেক সুন্দর ভাবে এ রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
জেনে ভালো লাগছে যে আমার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলেন এই মজাদার ভর্তা রেসিপিটি সম্পর্কে। ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
লাউয়ের বিচিতে যে এতো কিছু থাকে আপনার পোস্ট টা না পড়লে জানতেই পারতাম না। সত্যি বেশ দারুণ। লাউ আমার অনেক পছন্দের। তবে লাউয়ের বিচি কখনো খাইনি। লাউয়ের বিচি ভর্তা রেসিপি টা দারুণ ছিল। একেবারে ইউনিক একটা রেসিপি। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
ইউনিক একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যদিও এর আগে জানতাম না লাউ এর বিচি ভর্তা করা যায়। এর স্বাদ কেমন তাও জানা নেই। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে খেতে খুব মজা হয়েছে মনে হচ্ছে। আপনার কাছ থেকে নতুন একটা রেসিপি শিখে নিতে পারলাম।
অনেক সুস্বাদু রেসিপি এটি।ধন্যবাদ