কাউনের চালের পোলাও রেসিপি
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো মজাদার কাউনের চালের পোলাও রেসিপি।আশা করছি আপনাদেরকে ভালো লাগবে।
বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলাম আমি এখনো পুরাপুরি ঠিক হইনি শরীর খুব দূর্বল তার মাঝে আমার মেয়েও বার বার অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। শুধু আমিও আমার মেয়ে যে অসুস্থ তা নয় আমার বাড়ির সব সদস্যই একে একে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আসলে ভাইরাস জ্বর ঢুকেছে এলাকায়। প্রতিটি বাড়িতেই ছোট বড়ো সবাই জ্বরে আক্রান্ত।ভাইরাস জ্বর গুলো ভীষণ ভয়ংকর। যার হয়েছে সে অনেক দিন এই জ্বরে ভুগছে।
অনেক দিন হলো রেসিপি করি না তবে দিদির অসুস্থতার জন্য রান্না আমাকেই করতে হচ্ছে। শরীর ভালো নয় এবং প্রচন্ড গরমের কারণে রেসিপি করার মুড আসে না ও তাই রেসিপি করা হয় না।
মাসখানেক আগে গাইবান্ধা থেকে কাউনের চাল এসেছিলাম পোলাও করবো বলে।আজ করি কাল করি করতে করতে করা হয়ে ওঠেনি।হঠাৎ গতকাল রাতে করেই ফেল্লাম কাউনের চালের মজাদার পোলাও।
কাউনের চালে অনেক পুষ্টিগুণও আছে।
ছোট বেলায় অনেক খেয়েছি আর আমি ছোট বেলায় কাউনের চালের পোলাও কে মাছের ডিম ভাবতাম।সত্যি কিন্তুু মাছের ডিমের মতোই দেখতে হয় রান্না করার পর।
তো চলুন দেখি সহজ পদ্ধতিতে মজাদার কাউনের চালের মজাদার রেসিপিটি কেমন।
প্রথম ধাপ
প্রথমে কাউনের চাল ধুয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে বাদাম ভেজে তুলে নিয়েছি।বাদাম ভাজা তেলেই গোটা জিরে ও পেঁয়াজ কুচি,কাঁচা মরিচ ফোঁড়ন দিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
ফোঁড়ন দেয়া উপকরণ একটু ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
ভাঁজা উপকরণ গুলোতে কাউনের চাল দিয়েছি ও তাতে লবন হলুদ দিয়ে নারাচারা করে নিয়েছি। বাদম দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
খুব ভালো করে কাউনের চাল গুলো ভেজে নেয়ার পর তাতে পরিমাণ মতো জল দিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি সিদ্ধ হয়ে আসলে তাতে কাজু বাদাম দিয়েছি ও দমে রেখেছি।
অষ্টম ধাপ
পরিবেশ করে দিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার সুস্বাদু ও সহজ পদ্ধতিতে কাউনের চালের পোলাও রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে রেসিপিটি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আজকে আপনার শেয়ার করা কাউনের চালের মজাদার পোলাও রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। কখনো এই চাউলের পোলাও খাওয়া হয়নি আমার।কিন্তু আজ দেখে খুব খেতে ইচ্ছা করছে। বিশেষ করে আপনার খাবারের ডেকোরেশনটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Hi, @shapladatta,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
- Explore Steem using our Steem Blockchain Explorer
- Easily create accounts on Steem using JoinSteem
- Delegate to @ecosynthesizer and wtiness vote @symbionts to support us.
কাউনের চালের পোলাও রান্নার ভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই জিনিসটা ব্যবহার করেও যে রান্না করা যায় সেটা আমার জানা ছিল না। আপনার পোস্ট দেখেই বিষয়টা সম্পর্কে প্রথম ধারণা লাভ করলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আপু এখন প্রতিটা ঘরে ঘরে অসুস্থ্য। আগে এত অসুস্থতা শোনা যায়নি। আল্লাহ সবাইকে ভাল রাখুক। আপু যে গরম পড়েছে এই গরমের মধ্যে অনেক অস্থির লাগে। আজ কি সুন্দর করে কাউনের চালের পোলাও রান্না করে শেয়ার করলেন। সেই ছোটবেলায় কাউনের চাল দিয়ে পায়েস রান্না খেয়েছি পোলাও কখনো খাইনি। আজ আপনার কাউনের চালের পোলাও রেসিপিটি দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক ভালো হয়েছে। পরিবেশনটিও খুব সুন্দর করে করেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু প্রতিটি ঘরে ঘরে অসুস্থতা আর জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে এমন অসুস্থতা বেড়ে গেছে। কাউনের চালের পায়েস আমার ও পছন্দের। এভাবে পোলাও খেতেও ভীষণ ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কপি সোর্স
কাউনের চালের পায়েস খেয়েছিলাম একবার। পোলাও কখনো খাওয়া হয়নি। আপু আপনার রেসিপি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সব সময় নতুন কিছু শিখার চেষ্টা করি। দারুন হয়েছে আপু।
কাউনের চালের পায়েস যেমন সুস্বাদু পোলাও আরো বেশি সুস্বাদু আপু খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
কাউনচাল কি? এদিকে পাওয়া যায় না মনে হয়৷ পোলাওটি তো দেখতে দারুণ হয়েছে৷ খেতেও ভালোই নিশ্চই৷ ছবিতে যদি স্বাদ নেওয়া যেত তবে এক চামচ তুলে খেয়ে নিতাম।
আপনার মেয়ে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করি।
কাউন চাল এক প্রকারের শস্য। গুগলে সার্চ দিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এই কাউনের পায়েস খেয়েছি অনেক।কখনও এইভাবে পোলাও তৈরি করে খাওয়া হয়নি।তবে আপনার সুন্দর রেসিপি টি দেখে শিখে নিলাম।খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।যা দেখে বেশ মুগ্ধ হলাম।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
কাউনের পায়েস খেতে অনেক মজার। এভাবে পোলাও আরে মজাদার রেসিপি করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ আপনি তো খুব মজার রেসিপি করেছেন। কাউনের চালের পোলাও তৈরি করেছেন। যদিও এই চাউলের বিরিয়ানি খুব কম খাওয়া হয়। আর কাউন চালের পোলাও মাছ এবং মাংস যেকোনো জিনিস দিয়ে খেতে বেশ মজা। সত্যি আপনার রেসিপিটি দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করতেছে। মজার রেসিপি করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আজ আপনি অনেক মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কাউনের চালের মজাদার পোলাও রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।যদিও আমি রেসিপিটি কখনো খাইনি তবে আপনার তৈরি করার রেসিপিটি দেখে অনেক খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি রেসিপির প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।