ভোগান্তি
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
গত মাসের কারেন্ট বিল দেয়া হয়নি ভুলে।ব্যাগে রেখেও ছিলাম কারেন্ট বিলের কাগজ মনে ভুলে দেয়া হয়নি।আসলে মনে না থাকার কারণ আমার পিসাতো দিদির বিয়েতে গিয়েছিলাম এবং আসার পর পূজার ব্যাস্ততার কারণে দেয়া হয়নি।মেয়েকে নিয়ে স্কুলে আসছি কয়েকদিন হচ্ছে।
স্কুলে বসে ছিলাম হঠাৎ লিপজেল বের করতে গিয়ে ব্যাগে দেখতে পেলাম কারেন্ট বিলের কাগজ টি।স্কুলের সামনেই ইসলামি ব্যাংকের শাখা।একবার এক ভাবির সাথে গিয়েছিলাম ব্যাংকে ভাবি বিল দিয়েছিলো তখম ভেবেছিলাম যে আমিও তো সহজেই এখানে দিতে পারি।
উঠে ব্যাংকে গেছি এবং বিল দিয়ে এসেছি বেশ সুন্দর নিরবিলি পরিবেশ ব্যাংকের।বিদুৎবিল দিয়ে বাড়িতে গেছি একটু পর এই মাসের বিলের কাগজ এসে হাজির। বিদুৎ বিল দেখে চোখ ছানাবড়া এতো কেন।
আমাদের বাড়িতে দুটো মিটার । ভাবছিলাম এতো বিল আসে একটা মিটার কেটে দিয়ে তে হবে আরো ভাবলাম খাল কেটে কুমির এনেছি আমরা নিজেই।খাল কেটে কুমির এনেছি বলছি কারণ আমাদের বিদুৎ বিল একদমই কম আসতো মানে শুধুই মিনিমাম বিলটুকু আসতো।
আমরা ভাবলাম যে এতো কিছু চালানোর পর এতো কম বিল এটা ঠিক করা দরকার। কাগজপত্র নিয়ে বর বিদুৎ অফিসে গেলো এবং অভিযোগ দিয়ে আসলেন এবং তখন বিদুৎ অফিস থেকে এসে মিটার পাল্টিয়ে দিয়ে গেলেন আর তখন থেকে এক গাদা টাকা আসে।
সেজন্য এখন শুধু ভাবি খাল কেটে কুমির এনেছি হাহা তবে সরকারি টাকা মেরে খাওয়া ঠিক নয় জন্যই মিটার সংশোধন করে নেয়া।অনেকেই বলে সরকারি মাল দরিয়ামে ঢাল কিন্তুু আমার ও সচেতন মানুষের মনে হয় সরকারি কিছু মানে দেশের মানুষের আপনার আমার, আমাদের সম্পদ।
অটোতে উঠে যাচ্ছি আর এসব ভাবছি। অটো গিয়ে থামলো পল্লি বিদুৎ অফিসের সামনে সেখা গিয়ে জেনে নিলাম কোথায় বিদুৎ বিল নতুন করে বানিয়ে নিতে পারো কারণ দুই বিল এক সাথে এসেছে। অফিসে গিয়ে বলতেই বেশ আন্তরিকতার সাথে বিল বানিয়ে দিলেন। যিনি আমাকে বিল বানিয়ে দিলেন ওনাকে দেখে একটু খারাপ লাগলো কারণ আমি লক্ষ করলাম ওনার এক হাতের কব্জি নেই।এক হাতের কব্জি ছারাই কতো সুন্দর ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।ওনার এই চাকুরীটি ওনার জন্য বেশ ভালো। এতো সুন্দর পরিবেশে ওনি কাজ করছে দেখে মনটা ভরে গেলো।
বিদুৎ অফিসের কাজ শেষে একটি অটোতে করে গেলাম সাদুল্যাপুরের নাম করা একটি মিষ্টির দোকানে।সকালে না খেয়ে গেছি তাই কিছু খেতে গেলাম এবং গিয়ে সিংগাড়া ও একটি সন্দেশ অর্ডার করলাম ও মেয়ের জন্য গরম গরম সিংঙ্গারাও মোগলাই নিলাম।
সাদুল্যাপুরে কাঁচা বাজারের আরত আর আমার কাঁচা বাজার কিনতে খুব ভালো লাগে।কাঁচা বাজারে ঢুকে দেখলাম সব তরতাজা সবজি।ভারতীয় কাঁচামরিচ গুলো ভীষণ চমৎকার কিন্তু মরিচ বাড়িতে আছে তাই নিলাম না তবে মেয়ের পছন্দের ফুলকপি নিলাম এবং ঝিঙ্গেও কলমি শাক নিয়ে পাশে একটি মজাদার নারিকেল দেয়া মিষ্টি পান নিয়ে চলে আসলাম মেয়ের স্কুলে।
মেয়েকে স্কুলে রেখে গিয়েছিলাম তাই মেয়ের স্কুলে গপলাম এবং বিশ মিনিট পর মেয়ের ছুটি হলো তাকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হলো ভুলে বিদুৎবিল না দেয়ার কারণে। আর কখনো এমন ভুল করা যাবে না তবে যেহেতু বিল দেইনি একবারে এই মাস অবদি অপেক্ষা করলে আর সমস্যা হতো না তখন দু-মাসের বিল একসাথেই দেয়া যেত।একটু ভুলের জন্য আজকে এই ভোগান্তি। ভোগান্তি বলবো কারণ যেতে হয়েছে সাদুল্যাপুর।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
এখন আবার বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপার টা নিয়ে বেশ কড়াকড়ি হয়ে থাকে। অনেক সময় বিল না দিলে বাড়িতে পযর্ন্ত চলে আসে। তবে এইরকম ভুল তারা প্রায়ই করে থাকে। ভুল করে তারা আর এরজন্য ভোগান্তি হয় আমাদের।
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আসলে বিদ্যুৎ বিলটা দেওয়া এখন বিরাট বড় ভোগান্তির কারণ হয়ে গেছে। আসলে সত্যি বলতে আমাদের সিস্টেমটা এখনো সেভাবে তৈরি করা হয় নাই যাতে সাধারণ পাবলিকের সুবিধা হয় তবে যাই হোক আপনার বিদ্যুৎ বিলের এক্সপেরিয়েন্সটা আরো বেশি ভালো হোক এটাই আমি কামনা করি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।