কাঁচা আমের মোরব্বা আচার রেসিপি 🥰
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো কাঁচা আমের মোরব্বা রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো
লাগবে।
যখন খাগড়াছড়িতে কোয়ার্টারে ছিলাম তখন এই কাঁচা আমের পেঁয়াজ দিয়ে মোরব্বা আচারটি শিখেছি এক ভাবীর কাছে। একদিন ভাবির বাসায় গিয়ে গল্প করছিলাম হঠাৎ ভাবি এই মোরব্বা আচারটি আমাকে খেতে দিয়েছিলেন। ভীষণ ভালো লেগেছিল আমার এই মোরব্বা আচার তাই ভাবির কাছে রেসিপি টা শিখে নিলাম ঝটপট। তখন থেকে প্রতি বছর এইরকম করে আমি আমের মোরব্বা আচার টি বানাই। এই মোরব্বা আচার ভীষণ ভালো লাগে আমার বরের অনেক পছন্দ এই মোরব্বা আচার গুলো।
এই কাঁচা আমের পেঁয়াজ দিয়ে মোরব্বা আচারটি বানিয়ে কাঁচের জারে রেখে ছয়মাস এবং ফ্রিজের নরমাল টেম্পারেচারে ররেখে এক বছর খাওয়া খাওয়া সম্ভব। বেশ কিছু দিন থেকে ভাবছিলাম আমের মোরব্বা করবো কিন্তু আমাদের গাছে এবার তেমন আম ধরেনি। আমের গাছ সব বিদেশি জাতের মিষ্টি আম।তাই ইচ্ছে হয় না আম গুলো ছিড়তে।প্রতি বছর অনেক আম ধরে এবার তেমন ধরেনি।যেহেতু আমাদের নতুন বাড়ি তাই দেশি বড়ো আমের গাছ নেই প্রতিবার অবশ্য বাবার বাড়ি থেকে আম পাঠায় আচারের জন্য। বাবার বাড়ির পুকুর পাড়ে বিদেশি নানা প্রজাতির আম গাছ আছে সেগুলো বিশাল বড়ো বড়ো সাইজের হয়।এবার নাকি গাছসহ বিক্রি করেছে আম গুলো কারণ বাড়িতে অনেক দেশি আম গাছ রয়েছে সেগুলো খেয়ে থাকেন।
মাকে ফোন করে আম চেয়েছিলাম আচারের জন্য আর সেদিনেই কিছু কাঁচা পাকা আম পাঠিয়েছেন।আর সেই কাঁচা আম গুলো দিয়ে আমি আজ আমের মোরব্বা রেসিপি করেছি এবং তা আপনাদেরকে সাথে ভাগ করে নিয়েছি।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
১.কাঁচা আম | বড়ো সাইজের আম সাতটি |
---|---|
২.পেঁয়াজ | দের কেজি পেয়াজ |
৩.লবন | স্বাদ মতো |
৪.হলুদ | পরিমাণ মতো |
৫.জিড়া গুড়া | ৫০ গ্রাম |
৬.ধনিয়া গুড়া | ৫০গ্রাম |
৭.মরিচের গুড়া | ২৫ গ্রাম |
৮.গরম মসলা গোটা | পরিমাণ মতো |
৯.সরিষার তেল | এক লিটার |
১০.চিনি | এক কেজি |
১১.শুকনা মরিচ | ১৫ টি |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি কাঁচা আম গুলো ছিলে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন বেশ কিছু পেঁয়াজ ছিলে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে নিয়েছি এবং তাতে সরিষার তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি। গরম তেলে গরম মসলা ও শুকনো মরিচ গুলো দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
পেঁয়াজ কুচি গুলো হালকা করে ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন গরম মসলাও শুকনা মরিচ গুলোতে ছোট ছোর টুকরে করে রাখা আম গুলো দিয়েছি ও তাতে লবন হলুদ দিয়ে নারাচারা করে মিশিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন আগে থেকে ভেজে রাখা পেঁয়াজ কুচি গুলো দিয়েছি ও নারাচারা করে আমের সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন আমও পেঁয়াজ কুচি গুলো মিশিয়ে নেয়ার পর তাতে চিনি দিয়েছি ও নারাচারা করে নিয়েছি। চিনি দেয়ার সাথে সাথে জল কেটে দিয়েছে। এই আচারে একদমই জল ব্যাবহার করা যাবে না।সরিষার তেল ওচিনির জলেই আম গুলো সিদ্ধ হয়ে যাবে। এখানে কিন্তুু এক ফোঁটাও জল ব্যাবহার করি নি।
অষ্টম ধাপ
দেখুন চিনি দেয়ার পর সব গুলো মসলা উপকর দিয়েছি ও নারাচারা করে নিয়েছি।একদমই ঝোল হয়ে গেছে আমের এই ঝোল গুলো এখন শুখাতে হবে জ্বাল করে।
নবম ধাপ
জ্বাল করে নিতে হবে যতোক্ষণ না পর্যন্ত আম গুলো সিদ্ধ না হয় এবংঝোল গুলো না শুখায়। অনবরত নারাচারা করতে হবে যাতে করে নিচে না লেগে যায়।ঝোল গুলো শুখিয়ে গেছে দেখুন তেল আমের মোরব্বার উপরে চলে এসেছে। তেল আমের মোরব্বার উপরে চলে আসলে বুঝতে হবে হয়ে গেছে মজাদার আমের মোরব্বা গুলো।
দশম ধাপ
এইতো একদমই পুরাপুরি ভাবে হয়ে গেছে মজাদার আমের মোরব্বা।কি দারুণ কালার এসেছে এবং মিষ্টি ঘ্রাণ বেরিয়েছে। তাই নামিয়ে নিয়েছি একটি পাঠে ঠান্ডা করে নেয়ার জন্য।
পরিবেশন
সংরক্ষণ
এই আমের আচার গুলো সারা বছর খাওয়ার জন্য কাঁচের জারে সংরক্ষণ করেছি।
এই ছিলো আমার আমের মোরব্বা রেসিপিটি।এই আমের মোরব্বা ভাতের সাথে খেতে ভীষণ ভালো লাগে।কেমন লাগলো আমার আমের মোরব্বা রেসিপিটি তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তুু।
এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ও নিরাপদে থাকবেন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আপু আপনার এক ভাবীর কাছে এই আচার রেসিপি শিখেছেন জেনে ভালো লাগলো। কাঁচা আমের মোরব্বা আচার দুর্দান্ত হয়েছে। দেখতেই খুব লোভনীয় মনে হচ্ছে। আমি তো আর এসব তৈরি করতে পারব না তবে মনে হচ্ছে আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে তৈরি করতে পারবো।
আপনি তৈরি করতে পারবেন না তাতে কি ভাবিকে দিয়ে তৈরি করিয়ে খাবেন হাহাহা।
আপু আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। আসলে আপু কাঁচা আমের মোরব্বা অনেক খেয়েছি তবে আপনার মতো কখনো তৈরি করা হয়নি। আপনি দেখছি বেশি করে পিঁয়াজ দিয়ে তৈরি করেছেন। আসলে আপু এই আচার কাচের জিনিস রাখলে অনেক দিন খাওয়া যায়।প্রত্যেকটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু এই রেসিপিটি পেঁয়াজ দিয়েই করতে হয়। অনেক সুস্বাদু হয় খেতে।কাঁচের জারে রাখলে অনেক দিন ভালো থাকে আচার এজন্য আমি কাঁচের জার ব্যবহার করি আচার সংরক্ষণের জন্য।
কাঁচা আম দিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন আপু। আপনার এই আমের রেসিপি টা আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। বেশ দারুন ভাবে আপনি আমের এই মোরব্বা তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। এক কথায় অসাধারণ হয়েছে আপনার এ রেসিপি।
এই আমের মোরব্বা আচার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জন্য খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি আপু। এভাবে কখনো আমের মোরব্বা তৈরি করা হয়নি। আমার জানা ছিল না ।এভাবেও মোরব্বা তৈরি করা যায়। আমরা সাধারনত চিনি এবং কিছুটা মসলা ব্যবহার করার মাধ্যমে মোরব্বা তৈরি করি। পেঁয়াজ ব্যবহার করাটা ভিন্ন ধরনের লেগেছে আমার কাছে। তবে রেসিপিটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
পেঁয়াজ দিয়েই মোরব্বাটি তৈরি করার ফলে সাত দ্বিগুণ বেড়ে গেছে আপু ভাত দিয়ে খেতে এই আচার মোরব্বা অসাধারণ লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জন্য।
আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। এই গরমের দিনে তাছাড়া কাঁচা আমের সিজনে আচার খেতে খুব ভালো লাগে। যেহেতু আপনি কাঁচা আমের মোরব্বা আচার করলেন অসাধারণ লাগবে খেতে। যদি জারে ছয় মাস থাকে আর নরমাল ফ্রিজে এক বছর থাকে তাহলে তো বেশ সময় ধরে খাওয়া যাবে এই আচার। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো।
আপু এই মজাদার সুস্বাদু মুরব্বা আচারটি ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে খাওয়া সম্ভব। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
লোভনীয় কাঁচা আমের মোরব্বা আচার রেসিপি শেয়ার করে লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু। এই ধরনের রেসিপি দেখলে টেস্ট না করে বসে থাকা খুবই মুশকিল হয়ে পড়ে। এই রেসিপিটি আপনি কোয়ার্টারের এক ভাবির থেকে শিখে নিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আর আজ আমরা আপনার মাধ্যমে খুব সহজে শিখে নিলাম রেসিপিটি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। পাশাপাশি থাকলে আমিও আপনাকে অবশ্যই আচার বাসায় নিয়ে গিয়ে খাওয়ায় আসতাম।
এক ভাবির কাছে থেকে রেসিপি শিখেছিলেন। এর পরে আজকে বেশ চমৎকার ভাবে কাঁচা আমের মোরব্বা আচার রেসিপি শেয়ার করেছেন। মোরব্বা খাওয়া হয়েছে। তবে বাসায় তৈরি করে কখনো খাইনি। আজকে আপু আপনার মাধ্যমে রেসিপি শিখতে পেয়ে ভীষণ খুশি হলাম। লোভনীয় লাগতেছে বেশ সুন্দর করে পরিবেশন করেছেন। ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ডাউল ভাত আর এরকম যদি আমের আচার থাকে তাহলে খাওয়াতো একদম জমে যাবে। আপনার তৈরি করা কাঁচা আমের মোরব্বা আচার দেখে মনে হচ্ছে আপনার বাসা থেকে যেয়ে একটু নিয়ে আসি হি হি। অনেক বেশি লোভনীয় হয়েছে আপু আপনার আমের আচারের রেসিপি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি আমের মোরব্বা আচারের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হাহা বেশ ভালো বলেছেন ভাইয়া। চুরি করতে হতো না আপনি আমার বাসার আশেপাশে থাকলে আপনাকে খাওয়াতাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার কাঁচা আমের মোরব্বা দেখেতো জিভে জল চলে আসলো। ভালোই হয়েছে আপনাকে নাস্তা দেওয়ার কারণে রেসিপিটাও শিখে নিলেন। তাছাড়া আমি কখনো আমের আচারের মধ্যে পেঁয়াজ দিয়ে তৈরি করিনি। তাই জন্য মনে হচ্ছে আপনার সাথে অনেক বেশি স্পেশাল। আমি কিন্তু পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করি। নিশ্চয়ই এজন্য বেশি মজাদার হয়েছে।
হ্যাঁ আপু দেয়ার কারণে এই আমের মোরব্বার স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
কাঁচা আমের মোরব্বা আচার এটা বেশ ইউনিক ছিল। এমন রেসিপি আগে কখনও দেখিনি। আপনি তাহলে খাগড়াছড়ি থাকার সময় এটা শিখেছিলেন। সত্যি বলতে দারুণ তৈরি করেছেন কাঁচা আমের মোরব্বা আচার টা। দেখেই লোভনীয় লাগছে। এবং আপনার উপস্থাপনা পরিবেশনা খুবই ভালো ছিল। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।