কাতলা মাছের মুড়ো দিয়ে বাঁধাকপির ঘন্ট
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লকবাসি বন্ধুরা কেমন আছেন আশা করছি ভালো আছেন আমিও সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাধাকপির ঘন্ট। কাতলা মাছের মুড়োদিয়ে বাঁধাকপির ঘন্টে রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। বাঁধাকপি শীতকালীন সবজি। আর এই সবজিটি পুষ্টিতে ভরপুর।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হার্ট ভালো রাখে। আর এই মজাদার সবজিতে যদি মাছের মুড়ো এড করা যায় তাহলে তো এর সাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। বাঁধাকপি রান্না করতে যদিও বা একটু সময় বেশি লাগে কিন্তু খেতে দুর্দান্ত হয়। আসলে যে কোন ভালো জিনিস খেতে গেলে বা পেতে গেলে সহজে হয় না। কষ্ট তো একটু করতেই হয়। তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
উপকরণ
১.বাঁধাকপি |
---|
২.কাতলা মাছের মুড়ো |
৩.পেঁয়াজ কুচি |
৪.গোটা জিরে |
৫.পেয়াজ বাটা |
৬.জিরে বাটা |
৭.আদা বাটা |
৮.লব |
৯.হলুদ |
১০.আলু |
১১.কাঁচা মরিচ |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি একটি বাঁধাকপি কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি ও মাছের মুড়োটি ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছিও আলু খোসা ছড়িয়ে গোটা গোটা করে কেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন কাতলা মাছের মুড়োটিতে লবন হলুদ
মেখে নিয়েছি এবং
চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি এবং কাতলা মাছের মুড়োটা খুব ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন কড়াই এ গোটা জিরে ও তেজপাতা দিয়ে ফোড়ন দিয়েছি এবং তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিয়েছি এবং কুচানো বাঁধাকপি গুলোও কেটে রাখা আলু গুলো কড়াই এ দিয়ে দিয়েছি।লবন হলুদ কাঁচামরিচ দিয়ে একটু হালকা করে ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন হালকা ভাজা বাঁধাকপি গুলোতে বাটা মশলা গুলো দিয়েছি। এখন বাঁধাকপি গুলো মশলাসহ কষিয়ে নিয়েছি ও কষানো হয়ে গেলে বাঁধাকপি গুলো ও মাছের মুড়োটি সিদ্ধ হওয়ার জন্য ঢাকা দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন আমি বাঁধাকপি ও মাছের মুড়োটি সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত হাই হিটে জ্বাল করে নিয়েছি। সিদ্ধ হয়ে গেলে মাছের মুড়োটি ভেঙ্গে বাঁধাকপির সাথে মিশিয়ে নিয়ে নিয়েই এবং গরম মশলা দিয়ে নারাচারা করে।নামানোর আগে ঘি দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি একটি পাত্রে।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার রেসিপি কাতলা মাছের মুড়ো দিয়ে বাঁধাকপির ঘন্টা রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজ এ পর্যন্তই আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোষ্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ও নিরাপদে থাকবেন।
কাতলা মাছের মুড়ো দিয়ে বাঁধাকপির ঘন্ট রেসিপি দেখেই অনেক বেশি লোভনীয় লেগেছে আমার কাছে। বাঁধাকপি কিন্তু আসলেই অনেক পুষ্টি সম্পন্ন। শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি তো আমার খুবই পছন্দের। এটি রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়ায় এটা ঠিক বলেছেন। আসলে কষ্ট করে যে কোন কিছু করলে, তা আমরা পাবো এবং ভালোভাবে খেতে পারব। আর কোন কিছু করার জন্য অবশ্যই কষ্ট করা লাগে। নিশ্চয়ই খুব ভালো করে খাওয়া হয়েছিল মজাদার এই রেসিপিটা।
মুড়ি ঘন্ট নাম শুনেছি। কিন্তু কাতলা মাছের মুড়ো দিয়ে যে মুড়ি ঘন্ট করা যায় সেটা কিন্তু জানা ছিল না। আজ আপনার এত সুন্দর একটি রেসিপি দেখে তো লোভ হচেছ দারুন। খুব সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। তাও আবার বেশ সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ আপু মুড়ি ঘন্ট ঝেতে অনেক মজাদার হয়।আমি বাঁধাকপির ঘন্ট করেছি কাতলা মাছের মুড়ো দিয়ে।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
কাতলা মাছের মুড়ো দিয়ে বাঁধাকপির ঘন্ট দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপির পরিবেশন খুবই ভালো লেগেছে। এত সুস্বাদু রেসিপি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য।
ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
মুড়িঘন্ট খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাতলা মাছের মুড়িঘন্টা ভালো হয়। কারণ কাতলা মাছের মাথা অন্য মাছের মাথা থেকে অনেক বেশি মোটা হয়। আপনি বাঁধাকপি দিয়ে কাতলা মাছের মুড়ি ঘন্ট রেধেছেন। রান্নার ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন কাতলা মাছের মুড়ো বড়ো জন্য এর স্বাদও অনেক বেশি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কাতলা মাছের মুড়ো দিয়ে বাঁধাকপির ঘন্ট রেসিপি তৈরি করে। আসলে এই রেসিপি সাথে আমি বেশ পরিচিত। কিছুদিন আগে আমাদের পুকুর থেকে অনেক বড় একটি মাছ ধরেছিলাম সেই মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্টা তৈরি করে খেয়েছিলাম আমরা। গরম ভাত দিয়ে গরম গরম মাছের মাথা ঘন্টা খেতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বড়ো কাতলা ধরেছিলেন পুকুরের নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু ছিলো মাছ টি।ধন্যবাদ আপনাকেও আমার রেসিপিটি ধৈর্য ধরে পড়ে মূল্যবান কমেন্ট করার জন্য।
ওয়াও বাঁধাকপি ঘন্ট এর একটি দুর্দান্ত রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি আপু রেসিপিটি দেখতে লোভনীয় লাগছে খেতেও নিশ্চয় ভালো ছিল অনেক।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থাপনা চমৎকার লাগছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর করে কমেন্ট করার জন্য।