মাছ ও কচুমুখী রেসিপি❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
অনেক দিন থেকে কোথায় বের হওয়া হয় না।আসলে এখন কোথাও যাওয়ার কথা ভাবাও যায় না।কদিন থেকে ভাবছি কোথাও ঘুরে আসি।ঘরে থেকে শুধু টিভিতে নিউজ, ফেসবুকে দেখে দেখে পাগল হয়ে যাচ্ছি মনে হচ্ছে। সকালে উঠে বৃষ্টি দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো কারণ বেরুতে পারবো না হয় তো বা।পরে মেয়ের জিদ ধরে বসে রইলো বেরুতেই হবে।কি আর করা আকাশ মেঘলা থাকলেও রেডি হয়ে বের হলাম ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির উদেশ্যে।
রাস্তায় আসার পর শুরু হলো টিপটিপ বৃষ্টি। ভাগ্যিস রেইন কোট নিয়ে এসেছি মেয়েকে রেইন কোট পড়িয়ে আমিও পড়লাম। বাইকে চেপে শহরে এসে ফল,মিষ্টি কিনে নিয়ে চলে আসলাম নতুন আত্নীয়ের বাড়িতে।
চা মিষ্টি খেয়ে ভাবলাম ব্লগে গিয়ে আড্ডা দেই।আড্ডা দিতে এসে দেখি নেটওয়ার্ক এতোটাই খারাপ যে না পারছি কমেন্ট করতে না পারছি আড্ডা দিতে।অবশেষে ওয়াইফাই কানেক্ট করে দিলো নতুন আত্নীয়। মনে মনে খুশি হলাম এবং ফোনের গ্যালারিতে দেখলাম কচুর মুখী রেসিপি তাই কচুর মুখী রেসিপিটি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো ভাবলাম।
কচুর মুখী মাছ দিয়ে রেসিপি করে খেতে অনেক মজাদার হয়।কচুর মুখী আমার ভীষণ পছন্দের। কচুর মুখী ভর্তা ও মাছ দিয়ে খেতেই বেশি ভালো লাগে।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
কচুর মুখী |
---|
মাছ |
জিরা বাটা |
আদা বাটা |
আদা বাটা |
পেঁয়াজ কুচি |
লবন |
হলুদ |
গোটা জিরা |
গরম মসলা |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি কচুর মুখী গুলো ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছি ভাপ দিয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন মাছে লবন হলুদ দিয়ে মেখে নিয়েছি ও চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে লবন হলুদ মাখা মাছ গুলো ভেজে তুলে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এরপর মাছ ভাজা তেলেই পেঁয়াজ কুচি ও গোটা জিরে ফোঁড়ন দিয়েছি। পেঁয়াজ কুচি গুলো একটু ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন ভাজা পেঁয়াজে কচুরমুখী গুলো দিয়েছি ও তাতে লবন হলুদ দিয়ে নারাচারা করে মিশিয়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন কচুরমুখী গুলো কিছু সময় ভেজে নেয়ার পর তাতে বাটা মসলা উপকরণ গুলো দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন কষানো হয়ে গেলে তাতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে ফুটিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম
মাছ দেয়ার পর কিছু কচুরমুখী গুলো ফুঁটিয়ে নিয়ে সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি ও সিদ্ধ হয়ে গেলে গরম মসলা দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশের জন্য তৈরি
এই ছিলো আজকের মজাদার রেসিপি কচুরমুখী দিয়ে মাছের রেসিপি। আশা করছি আপনাদেরই এই রেসিপিটি ভালো লাগে।আমার তো অনেক পছন্দের এই রেসিপিটি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
কচুমুখী দিয়ে মাছের রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি রেসিপি খেতে না জানি কতই মজার ছিল। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
ধন্যবাদ আপু।
কচু দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আর এভাবে যদি একটু ঝাল ঝাল হয় তাহলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন আপু। দারুন লোভনীয় লাগছে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কচুর মুখি দিয়ে মাছ রান্না করলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।আপনি দারুণ ভাবে কচুর মুখি দিয়ে মাছ রান্না করছেন। আপনার রেসিপির কালার এবং পরিবেশন টা দেখে বোঝা যাচ্ছে রান্নাটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কচুরমুখীর যেকোনো রেসিপি আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি কচুরমুখী মাছ দিয়ে ঝোল রান্না করেছেন যা দেখকে খুবই লোভনীয় লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু কচুরমুখী এবং মাছের মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।