কাতলা কালিয়া রেসিপি❤️
হ্যালো"
আমার বাংলা ব্লগবাসী বন্ধুরা,
নমস্কার আদাব ,কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কাতলা মাছের কালিয়া রেসিপি।প্রচলিত একটি কথা আছে কাতলা মাছের মুড়ো বড়ো হ্যাঁ বন্ধুরা সত্যি কাতলা মাছের মুড়ো বড়ো।কিন্তু এই কাতলা মাছ স্বাদে,গুনে সেরা।কাতলা মাছ যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে খুবই উপযোগি। আরো নানান পুষ্টিগুণে ভরপুর এই কাতলা মাছ। আর আমি এই কাতলা মাছের কালিয়া রেসিপি শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
তো চলুন দেখে নেই রেসিপিটি কেমন।
উপকরণ
কাতলামাছ | ১টি বড়ো সাইজের পিস করে নেয়া |
---|---|
পেঁয়াজ বাটা | পরিমাণ মতো |
রসুন বাটা | অল্প পরিমাণে |
আদা বাটা | পরিমাণ মতো |
গোটা জিরে | অল্প পরিমাণ |
তেজপাতা | দুই টি |
পেঁয়াজ কুঁচি | পরিমাণ মতো |
হলুদ গুড়া | পরিমাণ মতো |
মরিচ গুড়া | পরিমাণ মতো |
লবন | স্বাদ মতো |
গরম মশলা | পরিমাণ মতো |
রসুন বাটা |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি কাতলা মাছের পিস গুলো সুন্দর করে লবন হলুদ দিয়ে মেখে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি এবং মাছের পিস গুলে কড়াইয়ের গরম তেলে দিয়েছি ভাজার জন্য।
তৃতীয় ধাপ
মাছ গুলো সুন্দর করে ভেজে একটি পাত্রে তুলে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন আমি মাছ ভাজার অবশিষ্ট যে তেল ছিলো কড়াইয়ে সে গুলোতে গোটা জির ও পেঁয়াজ কুচি গুলো দিয়ে খুব ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন আমি পেঁয়াজ ভাজা গুলোতে একে একে সব গুলো বাটা উপকরণ গুলো দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে দিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
খুব ভালো করে কষিয়ে এখন কষা মশলা গুলোতে মাছের পিস গুলো দিয়েছি ও পরিমাণ মতো জল দিয়েছি এবং জ্বাল করে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন পুরাপুরি ভাবে তরকারি তৈরি হয়ে গেছে তাই একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি।
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
পোস্ট | রেসিপি |
ফটোগ্রাফি | @shapladatta |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, সাদুল্যাপুর |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
কাতলা মাছের কালিয়ার কথা অনেক শুনেছি। কিন্তু কখনও দেখা হয়নি। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যেমে কাতলা মাছের কালিয়া রেসিপিটি দেখে বেশ ভালোই লাগলো। দেখে তো মনে হচ্ছে যে রেসিপিটি বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভালো লাগলো এটা জেনে যে কাতলা মাছের কালিয়া দেখেছেন আমার পোস্টে।কাতলা মাছ এমনিতেই সুস্বাদু একটি মাছ আর এভাবে কাতলা কালিয়া করলে আরো সুস্বাদ হয়।
বেশ চমৎকার একটি রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই রেসিপি তৈরি করা দেখে যেখানে আপনি কাতলা মাছের রেসিপি সুন্দর ভাবে তৈরি করার ফটোগ্রাফি গুলো বর্ণনার সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এই পোস্টে।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট টি ভালো লাগার জন্য।আপনাদের ভালো লাগলে ভালো লাগে পোস্ট তৈরি করতে।উৎসাহ পাই।
ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। কাতলা কালিয়া রেসিপি আগে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। তৈরি করার ধাপগুলো দেখে শিখে নিলাম এভাবে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখব। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট থেকে ধাপ গুলো শিখে রাখলেন জেনে।এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন বেশ ভালো লাগবে।
আপনি অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে আপু কাতলা কালিয়া মাছের সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। তবে আপনি মাছের ভিতরে গরম মসলা ও তেজপাতা দিয়েছেন। এগুলো সাধারণত আমি দেয় না। যাইহোক আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে মজার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু অনেক মজার হয়েছিল। গরম,মশলাও তেজপাতা দিয়ে রান্না করে দেখবন কালার সুন্দর আসবে ও মাছের স্বাদ বেড়ে যাবে অনেকটা।
আপনি খুবই সুন্দর করে কাতলা কালিয়া রেসিপি করেছেন।দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো, কেননা কাতলা মাছ অনেক প্রিয় একটি মাছ। আপনার রেসিপি দেখে আমার খাইতে ইচ্ছা করছে।
কম বেশি কাতলা মাছ সবার কাছেই লোভনীয়। ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
কি দিদি, কাতলা কালিয়া রেসিপি একা একাই খেয়ে ফেললেন। এত মজার রেসিপি বুঝি একা একাই খেতে হয়। খাওয়ার আগে আমাদেরকে একটু ডেকে নিতে পারতেন। সত্যিই দিদি, আপনার তৈরি কাতলা কালিয়া রেসিপি দেখে খুবই লোভে পড়ে গেলাম। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে, গরম গরম ভাতের সাথে এই রেসিপিটি খেলে খাওয়াটা বেশ জমে উঠবে। উফফ!! রেসিপির কালারটা যা এসেছে, মনে হচ্ছে পরিবেশনের প্লেট থেকে এক পিস মাছের টুকরো তুলে খেয়ে ফেলি। যাইহোক দিদি কাতলা কালিয়া রেসিপি খেতে না দিলে কি হবে, রেসিপির রন্ধন প্রণালী তো দিয়েছেন, তাতেই চলবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি, মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
সম্ভব হলে আপনাকেও খাওয়াতাম এখান থেকে এক পিস। সত্যি লোভনীয় একটি রেসিপি ভাইয়া। প্রণালী ভাবিকে দিলেই ঠিক রান্না করে খাওয়াবে কাতলা কালিয়া।