বাংলা ছোট গল্প । অনুভব
ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত গ্রাম। একটু দূরের কিছুই দেখা যায় না। এই শীতে হাঁসও পানিতে নামে না। এমন ঠান্ডার মধ্যে রোহানা অবিরাম কাজ করছে পুকুরে নেমে। সারা শরীর শীতে ঠক ঠক করে কাঁপছে তার। মাতাপিতার আদরের অতি রূপবতী মেয়েটার চেহেরা যেন ভাবলেশহীন প্রস্তর নির্মিত ভাস্কর। একহারা গড়নের দেহ। গ্রামের মাতব্বর রহিম শেখের তৃতীয় বউ সে। বয়স তার খুব বেশি না ১৯/২০ হবে যা মাতব্বরের অর্ধেকেরও কম। যখন সে গ্রামের স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তো তখনই বিয়ে হয়। আর এরপর থেকেই শুরু হয় নির্যাতিত নিপীড়িত জীবন।
পুকুরের কাজ কিছুক্ষন স্থগিত রেখে রোহানা বাড়ি গিয়ে স্বামীকে খাবার বেড়ে দিয়ে আবার কাজে নেমে পড়ল। আর ঠিক তখনই শোনা গেল মাতব্বরের বড় গলার চিৎকার চেঁচামেচি, সাথে অকথ্থ ভাষায় গালাগালি।
মাতব্বর - 'ওই ছুটো, কই গেলি তুই আইজ তোর খবর আছে। মাগী তোরে অনেকবার কইচি না ? আমারে ঠান্ডা কিছু দিবি না। ঠান্ডা পানি আমি খাবার পারি না। ঠান্ডা আমার সহ্য হয় না।'
তারপরেই শুরু হয় সেই চির পরিচিত পাশবিক নির্যাতন।
পরেরদিন সন্ধ্যাবেলা।...
কালেমা পড়তে পড়তে মৃতের খাটিয়া নিয়ে যাচ্ছে একদল মানুষ। মাতব্বরের ঘৃণ্য ঠাণ্ডাটাই তার তৃতীয় বউটার জীবন কেড়ে নিলো। কিন্তু তাতে তার কোনো বিকার নেই। পাশের গ্রামের মতি মাস্টারের ছোট মেয়েকে তার চোঁখে ধরেছে । বিয়ের বয়স বুঝি হয়েই এল। এমন গুমোট পরিবেশে দুজন মানুষ কাঁদতেছে কবরস্তানের অতি নিকটে দাঁড়িয়ে, কি করারই বা আছে রোহানার দুর্ভাগা মাতাপিতার।
ছবিটির উৎস উন্সপ্লাশ
অসংখ ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য।🙏🙏 ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার অনুভব জানাবেন। আবারো অসংখ ধন্যবাদ 💖💖
আবহমান গ্রাম বাংলার সমাজ ব্যবস্থার নির্মম বাস্তব রূপটি ধরা পড়েছে উপরের ছোট গল্পে, ধন্যবাদ তোমাকে ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য💖
আপনার গল্পটি খুবই সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ
আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া