বিদায় ও ক্লাস পার্টিতে কাটানো কিছু সময়।। ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।
আপনাদের দোয়া ও আল্লাহ তায়ালা অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি।
হাজারো ব্যবস্থতার মাঝে নিয়ে আসলাম সুন্দর সময়ের কথা। যেটা ছিল আমার জীবনের হাসিময় সময় এবং এই হাসির মাঝে লুকিয়ে ছিল অনেক ধরনের কষ্ট। তাহলে চলুন বন্ধুরা সেই সময়ের কথা জেনে নেওয়া যাকঃ
ঠিক যখন সকাল ১০ টা বাজে। তখন গোসল করে রেডি হয়ে নিলাম। একটু খাওয়া করে কলেজ এর উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। কারণ আমার কলেজে আজকে আমাদের বিদায় দিয়ে দিবে। তবে বিদায় এর পাশাপাশি আমরা সবাই মিলে একটি আলাদাভাবে ক্লাস পাটির আয়োজন করেছিল। প্রায় ২০ মিনিট পর কলেজ এ পৌছে গেলাম সেখানে গিয়ে দেখি সবাই চলে এসেছে। তাই আমি যাওয়ার পর আগে একটি গেঞ্জি নিয়ে নিলাম।
এরপর সেটা দিয়ে কিছু ছবি তুলে নিলাম.।এরপর সবাই তাদের ইচ্ছা মতো করে লেখতে থাকলাম লেখতে লেখতে অনেকগুলো মার্কার পেন শেষ হয়ে গেল। তাই আমি আবারো কলেজ এর সামনে একটি বাজার গিয়ে কয়েকটি কলম নিয়ে আসলাম এরপর আবারো তাদের শুরু হয়ে গেল লেখালেখি পর্ব। আমরা এইদিকে এইরকম মজা করতেছি আর অন্য দিকে আমাদের কলেজের সকল শিক্ষক তাদের বক্তব্য দিতেছে। সেগুলোর প্রতি আমাদের কোনোখবর এ ছিল না। তবে তখন ষোঘণা করলো আমাদের ক্লাস রুমে যেতে তখন সবাই মিলে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে মনটা অনেক ফ্রেশ হয়ে গেল। কারণ আমাদের রুমটা অনেক ভালো করেই সাজিয়েছিলাম। সেটা দেখে সবাই ছবি তুলতে লাগলো।*
- তাই তাদের সাথে আমিও একটু যোগ দিতে লাগলাম । কিছুটা সময় সবাই ছবি তুলা নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম। একসময় ছবি তুলতে তুলতে আমরা আমাদের সাজানো রুমটা সবাই মিলে শেষ করে দিলাম। শেষ করার পর এ অবশেষে মনে পড়লো এখনো কেক কাটা হয় নেই। বন্ধুদের বললাম তখন তারা বললো কেকটা আমাদের স্যার কাটবে। তাই কিছু না বলে কেকটা কাছে চলে গেলাম।
সেখানে গিয়ে আমি একটি ছবি তুলে নিলাম সব বিভাগের চেয়ে আমাদের সাইন্স বিভাগের কেকটা সব থেকে বড় কারণ আমাদের সাইন্স বিভাগের কেকটা হইতেছে তিন পাউন্ড। ছবি তলতে তুলতে হঠাৎ করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বললো আমাদের কে সামনে উপস্থিত হতে। তাই ওইখান থেকে সবাই চলে আসলাম। আসার পর এখানে আমাদের কিছু জিনিস প্রদান করলো। সেগুলো উপস্থাপন করার পর আবার কলেজ মাঠের ফাকা স্থানে সবাই আমরা চলে আসলাম। সেখানে আসার পর সবাই মিলে আবারো ছবি তুলতে লাগলাম।
কিছুটা মডেল দিয়ে ছবি তুলতে থাকলাম। আমাদের ছবি তোলা শেষ হতে না হতেই ওইদিকে নাচ গানের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল। তাই সবাই মিলে সেখানে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে আমরা সবাই একখানে নাচতে থাকলাম। প্রায় ১ ঘন্টার মতো নাচতে থাকলাম। এরপর নামাজের সময় হয়ে গেল তাই একটু বিরতি দেওয়া হলো। আমাদের স্যার নামাজ পড়ে আসার পর চলে গেল আমাদের রুমে। সেখানে গিয়ে আমাদের বললো কেকটা কাটা যাক এখন তাই আমরা সবাই একসঙ্গে হয়ে কেকটা কেটে ফেললাম। এরপর স্যার যখন বাইরে চলে গেল তখন সবাই মিলে কেকটার উপর ঝাপিয়ে পড়লো । কেকটা নিয়ে খাওয়া বাদ দিয়ে সেটা মাখামাখি শুরু করলো। অনেক সময় ধরে সেখানেই মাখামাখি করলাম।
- মাখামাখি করতেছি সেটা আবার সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেললাম। এরপর সবাই মিলে মাঠে চলে গেলাম। কারণ সময়টা আমাদের ফুরিয়ে আসলো। সেখানে গিয়ে সবাই মিলে আরো একটিু মজা করলাম।
একটু খানি শয়তানি ও মজা করে চলে গেলাম স্যারদের কাছে। সেখানে গিয়ে সবাই মিলে শিক্ষকদের কাছ থেকে দোয়া ও বিদায় নিলাম। শেষ সময় সবাই একসঙ্গে হয়ে মন খারাপ এবং চোখের কোনো কিছুটা পানি নিয়ে সবাইকে বিদায় দিয়ে দিলাম।
আসলে সত্যি বলতে এই দিনটিতে খুব আনন্দ যদি আমরা করি কিন্তু খুব কষ্টদায়ক একটি দিন। এতদিন যে বন্ধুবান্ধবের সাথে ছিলাম তাদের থেকে বিদায় নেওয়াটা সত্যিই অনেক কষ্টের। আপনার বিদায় অনুষ্ঠানের কেকটি খুব সুন্দর ছিল। আপনাদের সবার ছবি ও অসাধারণ হয়েছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
ভাই এই দিনটি যে কতোটা বেদনা দায়ক সেটা বুঝেছিলাম ২০২০ সালে। জীবনের সব থেকে মেমোরেবল সময় ছিল। আপনার জন্য দোয়া এবং শুভ কামনা ভাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া,,
এই সময়টা একবারে আসে
দিনটি আপনি অনেক সুন্দর কেটেছে আপনার বক্তব্যের মধ্যে উঠে এসেছে। আপনারা বহুখন ধরে নাচানাচি করেছেন এবং অনেক ইনজয় করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে