//জুম্মার দিনে কাটানো কিছু সময়//...১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য
"প্রসঙ্গঃ পায়েস দান"
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন । আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি । আবারো আজকে নিয়ে আসলাম আমাদের সবার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ এ ব্যস্তময় কিছু সময় । আমরা সকলেই জানি আজকে আমাদের মুসলমান জাতি দের জন্য একটি বিশেষ দিন । এই জুম্মার দিনে আমরা সবাই নামাজ পড়ে থাকি । এই জুম্মার দিনে সবাই দান করে থাকে । যদি কারো কোন কিছু মনের আশা বা মসজিদে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করে তাহলে এই দিনে সেটা মর্জিতে দিতে হয় । তাহলে চলুন বন্ধুরা সেইরকম সময়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি ।
কয়েকদিন আগেই নানীর বাসা থেকে ছোট মামার ফোন দিয়ে বলেছিল মসজিদে পায়েস দিবে । সেটা নাকি তাদের আশা ছিল । তাই আজকে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাসার সব কাজ শেষ করে নানির বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । এই গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম নানির বাসায় যেতে বেশি সময় লাগল না । তবে সেখানে যেতে আমার অনেক লেট হয়ে গেছিল । তাই সেখানে গিয়ে দেখলাম তারা পায়েস রান্না করে ঠান্ডা করার জন্য কিছু পরিষ্কার করে রেখে দিয়েছে ।
আমি যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মামা বলল পরিমাণমতো পায়েস পলিথিনের মধ্যে দিয়ে দিতে । তাই মামার কথা শুনে ধীরে ধীরে সেগুলো দিতে থাকলাম । ওই সময় আমার আরেকটি মামাতো ভাই কে ডাক দিয়ে নিলাম । কারণে একাই দিতে অনেক সমস্যা হইতেছে । সে এসে আমার কাছে অনেক সাহায্য করল । তাই দুই ভাই মিলে সবকিছু প্যাকেট করে নিলাম । তার কিছুক্ষণ পরেই আমাদের কাছে মামা চলে আসলো । মামা এসেই বলল সবগুলোকে একটি বস্তার মধ্যে ভরতে । কারণ যদি সে গুলোকে বস্তার মধ্যে না নেই তাহলে মসজিদে নিয়ে যেতে অনেক সমস্যা হবে ।
তাই কথা মতো কাজ করে নিলাম । কিছুক্ষণ পর সবগুলোকে বস্তুর মধ্যে ভরে নিলাম । এখন দেখলাম সেগুলো মসজিদে নেওয়ার মতো কোন অবস্থা নেই । তাই একটি ভ্যান নিলাম । ঠিক একটার দিকে ভ্যান এর উপর বস্তা উঠে মসজিদের দিকে রওনা দিলাম ।
একটু পরে সেখানে চলে গেলাম । সেখানে গিয়ে সে গুলোকে ভালোভাবে একটি পরিষ্কার স্থানে রাখলাম । সেগুলো রাখার পর মসজিদের ইমামের সাথে কিছু কথা বলে সেখানে থেকে মসজিদের বাইরে আসলাম । বাইরে এসে মসজিদের কিছু ছবি তুললাম ।
এই মসজিদটি হলো অনেক পুরনো । এরকম মসজিদ এখন আমাদের দেশে প্রায় বিলুপ্তির পথে । মসজিদটি কিন্তু ছোট্ট । ছোট্ট মসজিদের মধ্যে রয়েছে অনেক ছোট ছোট জিনিস । আগের সেই পুরনো মসজিদের প্রতিটি অংশে বিভিন্ন ধরনের খাদ করা রয়েছে । মসজিদ টা একটু দেখার পর ওযু করে মসজিদের ভিতরে চলে গেলাম । এরপর সবাই মিলে নামাজ পড়া শেষে দোয়া করে নিলাম । দোয়া শেষ হতেই আমরা সবাই বাইরে চলে আসলাম । এরপর পায়েশের পলিথিন গুলো সবাইকে দিতে থাকলাম ।
দেওয়ার সময় অনেক জন এ চাপাচাপি করছিল । তাদেরকে শান্ত করে সবাইকে দিয়ে সেখান থেকে আমরা বাসায় চলে আসলাম । বাসায় এসে কিছুটা সময় একটু দম নিয়ে মামনি বলল খেয়ে নিতে । তাই কথা শুনে একটু খেয়ে নিলাম ।
এরপর মামাতো ছোট্ট ভাইটির সাথে কিছু সময় কাটিয়ে বাসা আসার পথে রওনা দিলাম । কিছুক্ষণ পর বাসায় চলে আসলাম ।
আজকের মত এখানেই শেষ করলাম ।
আশা করি আমার কাটানো সময়টুকু আপনাদের সবার ভালো লাগবে । তাই সবার সুস্থতা দান করে এখানেই শেষ করলাম । লেখার মাঝে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।
❤️ সবাইকে ধন্যবাদ ❤️ |
---|
জুম্মার দিন মানে স্পেশাল একটি দিন। শুক্রবার এই দিনটি আপনি খুব সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন। আমাদের এলাকাতেও প্রায় সময় এই দিনে মিলাদ পড়ানো হয় এবং তবারক প্রদান করা হয়। আপনার পোস্টটি দেখে গ্রামে কাটানো সময়ের কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ছোটবেলা মসজিদে অনেক পায়েস কিংবা শিন্নি খেতাম। যদিও সেই সময় প্লেটে কিংবা কলাপাতায় দেয়া হতো। আপনার নানীর বাড়ি গিয়ে মসজিদে যে পায়েস বিতরণ করার দৃশ্যটি শেয়ার করেছেন সেটি দেখে ছোটবেলার দিনগুলো মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ
অসংখ্য ধন্যবাদ
ভাইয়া জুম্মান দিন টা আপনি সত্যি অনেক সুন্দর কাটিয়েছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। ভাইয়া ছোট বেলায় অনেক খেয়েছি মসজিদ থেকে। এখনো মাঝে মাঝে খাই ছোট ভাই নিয়ে আসে। ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার জন্য অনেক দুআ ও শুভকামনা রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু
আমার কাছে মসজিদ থেকে আনা খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। আগে আমাদের দিকে মসজিদে বাতাসা দিত সেগুলো খেতে খুবই মজার ছিল। আপনার নানির বাড়ি গিয়ে মসজিদে পায়েস বিতরন করছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার সুন্দর মন্তব্য দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
জুম্মা মোবারক খুব ভালো একটা দিন। আপনি মসজিদে কাটানো মুহূর্তের কিছু বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। বিশেষ করে নামাজ শেষে সিন্নি যে পায়েস যা সুন্দরভাবে খেয়ে উপভোগ করলেন। খুবই ভালো লাগলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আমিও ছোটবেলায় জুম্মার দিনের শিন্নির জন্য মসজিদে বসে অপেক্ষা করতাম। সিন্নি দেওয়া শেষ হলে তা বাসায় নিয়ে আসতাম। আর এখন আমার ছেলে বাসায় বসে এই শিন্নির অপেক্ষা করে। কিন্তু আগের দিনের মতো এখন আর এই প্রচলন গুলো খুব বেশি একটা নেই। অনেকটাই বিলীন হয়ে গেছে। ভাই, আপনি নানির বাড়ি গিয়ে জুম্মার দিনে খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। এবং তা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ধর্মের কাজে নিজেকে নিয়জিত রাখতে ভালই লাগে। সুন্দর বর্ননা ও ফটোতে সব পরিস্কার করে বলে দিলেন। ভাল ছিল।
সুন্দর মন্তব্য দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
প্রথমে জানায় জুম্মা মোবারক ভাই।জুম্মার দিনে আপনি সত্যি দারুন একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। এবং নিজের সময়টা আমাদের সাথে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা।
ধন্যবাদ ভাইয়া
হ্যাঁ ভাইয়া, আমি ও শুনেছি আপনাদের শুক্রবার একটি বিশেষ দিন।দান করা মহৎ কাজ,আমি এই কাজকে সম্মান জানাই।এছাড়া এই কাজগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।শুভকামনা রইলো আপনাদের জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু