সকালবেলা কাটানো কিছু সময়,,,,১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য
খুব ভোরে মা আমার রুমে এসে ডাক দিল। আমি ডাক শোনার পর বললাম যে এত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার উদ্দেশ্যটা কি। মা আমাকে বলল আজকে নাকি জমিতে পট ল তুলবে। তাই মায়ের কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়লাম। উঠার পরে মাকে বললাম বাবা কই গেছে। মা আমাকে বলল তোমার বাবা নামাজ পড়ে ওই দিক দিয়ে জমিতে চলে গেছে । তাই আমি আর মা তাড়াহুড়া করে চলে গেলাম জমিতে।
সেখানে গিয়ে আমরা বাবার সাথে জমি থেকে পটল তুলতে থাকলাম। সেখানে তুলতে তুলতে প্রায় অনেক সময় হয়ে গেল।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমি কিছু ছবি তুলে নিলাম। এরপর যখন পটল সম্পূর্ণ তোলা হলো তখন বাবা আমাকে বাসায় যেতে বলল। কারণ বাসায় আসার পর আমাকে বলল কাপড় ঠিক করে নিতে। কারণ আজকে আমাকে বিক্রি করতে যাইতে হবে। আর সকাল বেলা পটল তুললে শরীর সম্পন্ন ভিজে যায় শীতের কারণে। এজন্য আমি তাড়াহুড়া করে রেডি হয়ে ভ্যানের কাছে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম সবকিছু রেডি করেছে। বাবা আমাকে বলল এখানে ভ্যানের সাথে গিয়ে পটল বিক্রি করে আয় । তাই বাবার কথামতো চলে গেলাম।
সেখানে যেতে প্রায় 20 মিনিটের মতো সময় লাগলো। সেখানে গিয়ে দেখিয়ে আমার মত অনেক মানুষ তাদের বিভিন্ন ধরনের সবজি ফল নিয়ে এসেছে । তবে সেখানে আমরা পাইকারি হিসেবে সবকিছু বিক্রি করে দেই। তাই আমরা সেখানে যাওয়ার পর যারা দোকানে খুচরা বিক্রি করে তারা অনেকজনে আমাদের কাছে চলে আসলো। এরপর সবাই দামাদামি করে অবশেষে পটল ২২ টাকা করে বিক্রি করে দিলাম। পটল বিক্রি করে দেওয়ার পর সেখান থেকে একটি সিলিপ ক্রয় করলাম ।
এরপর স্লিপটি চিত্রের জায়গাটিতে দিয়ে দিলাম। কারণ ওখানে নাম অনুসারে ডেকে ডেকে জিনিসের পরিমাণ মতো টাকা দিতেছে। তাই সেখানে দিয়ে আমি হালকা চারদিকে একটু ঘুরতে লাগলাম।
চারদিকে ঘুরে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তবে এই জায়গাটিকে সবাই আড়ৎ বলে। কারণ এখানে শুধু পাইকারি মালে বিক্রি হয়। তবে কাঁচামালের মধ্যে। তাছাড়া হালকা টুকিটাকি কয়েকটা দোকান। সেখানে কিছুক্ষণ ঘুরার পর আমার নাম ডাক দিল। তারপর সেখান থেকে টাকা নিয়ে ভ্যানে চড়ে একটি হোটেলে হোটেল গেলাম। সেখানে গিয়ে আমরা ডাল পরোটা নাস্তা করে নিলাম।
সকালবেলা ডাল পরোটা খেতে মজা লাগে। তাই সেখানে খেয়ে বিল দিয়ে বাইরে চলে আসলাম। বাইরে এসে দেখলাম আবহাওয়া অনেকটাই খারাপ। তাই বেশি দেরি না করে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
আইটেল | ভিশন ১ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @shahin05 |
লোকেশন | W3W |
আশা করি আমার কাটানো সময়টুকু আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মনে এখানে শেষ করলাম। তবে লেখার মাঝে ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ |
---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সত্যি বলতে ভাই আপনার মা আপনাকে সকাল সকাল ঘুম থেকে ডেকে পটল তুলতে নিয়ে গিয়েছিল এ বিষয়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। পটল তোলা শেষ করে আপনি পটল বিক্রয় করতে গিয়েছিলেন পাইকারি বিক্রয় করার পরে টাকা নিয়েছিলেন। তারপরে আপনি একটি হোটেলে গিয়ে ডাল পরোটা খেয়েছিলেন এই বিষয়টি সত্যি অনেক ভালো বাবার কাজে সাহায্য করা।
বেশ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে মা-বাবার সঙ্গে জমিতে পটল তুলেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। নিজেদের জমিতে নিজেদের কাজ করা সত্যিই অনেক আনন্দের বিষয়। তারপর সেই পটলগুলো আপনি বাজারে বিক্রি করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আজকে সকালটা আপনার বেশ কাজের মধ্য দিয়ে কেটেছে। অবশেষে নাস্তা করে বাড়ি ফিরেছেন। ভালো ছিল , ধন্যবাদ।
সবাই মিলে নিজের জমিতে পটল তুলতে গিয়েছেন ভালই লাগছে জিনিসটা আমার কাছে। জানিনা এটার অনুভূতিটা কেমন তবে আপনার গল্পটা শুনে ভালো লাগলো। নিজেদের পটল তুলে আবার বাজারে বিক্রি করেছেন। স্লিপ দিয়ে নাম অনুসারে ডাকলে তারপর পটলের দাম দেয় এটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। বাজারে টাটকা সবজির কিছু ছবি আপনি তুলেছেন। সবশেষে ডাল আর পরোটা খেয়ে বাড়িতে আপনি চলে এসেছেন। ডাল পরোটা সকাল সকাল নাস্তা হিসেবে খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে।
বাহ সকালবেলা বাবার সঙ্গে মাঠের মধ্যে অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাইয়া। আপনার এই পোস্ট দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল যখন বাসায় থাকতাম তখন আমিও আব্বুর সঙ্গে মাঝেমাঝে এরকম ভাবে মাঠে কাজ করতাম। বাবার সঙ্গে মাঠে কাজ করতে খুবই ভালো লাগে তবে মাঝে মাঝে অনেক বেশি বিরক্ত লাগতো। নিজের পটল তুলে এসে পটল বাজারে বিক্রি করেছেন এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক পরিশ্রমী একজন মানুষ। আর পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রস্তুতি আশা করি সামনের দিনে অনেক ভালো কিছু হবে শুভকামনা রইল।
নিজের কাজ নিজে করার মতো আনন্দের আর কিছুই হতে পারে না। তাছাড়া আমি মনে করি বাবাকে সাহায্য করা প্রতিটি ছেলের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে,দিনদিন এই জিনিসটা অনেকাংশে কমে যাচ্ছে। আপনি আপনার বাবার সাথে পটল তোলার পর সেগুলো আবার বিক্রি করেছেন ব্যাপারটি ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। এতে করে আপনার বাবার অনেক হেল্প হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর করে সবকিছু শেয়ার করার জন্য।