ভ্রমণ পোস্ট।। রংপুর রাজবাড়ী।। পর্ব-২
হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘোরার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। চলুন শুরু করা যাক:-
তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘুরার অভিজ্ঞতা:
গত পর্বে রংপুর রাজবাড়ি নিয়ে সূচনা পর্ব করেছিলাম এবং শুরুর দিকের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এই রাস্তাটি পাবেন হচ্ছে মেনগেট দিয়ে ঢুকেই হাতের ডানদিকে পড়বে। আমি এদিকে ঢোকার অনিচ্ছা সত্বেও ঢুকে গেলাম। কারণটা হচ্ছে চতুর দিকে সবুজ আর সবুজ একটু বেশি ভালো লাগা কাজ করছিল এজন্যই এ রাস্তা দিয়েই ঢুকে গেলাম। আমি আবার একটু প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ ও বটে। তো একটি বিষয় লক্ষ্য করে দেখেন এখানে এই রাস্তাটির দু-ধার দিয়ে সুন্দর করে ছোট ছোট গাছগুলোকে কেটে অনন্য রকমের সৌন্দর্য দিয়েছে। আবার মাঝে মাঝে প্রথম পর্বে দেখানো গাছ দিয়ে তৈরি করা গ্রেট এর মত করে বেশ কয়েক জায়গায় গেট বানিয়েছে তারা।
রাজবাড়ীর ভেতরের প্রায় প্রত্যেকটা বিষয়ের মধ্যে নতুন একটা সৌন্দর্য বিদ্যমান। এখানে রাজবাড়ী ব্যতীত ঢুকেই হাতের বাম দিকে যে অংশটি দেখতে পারবেন এখানে যতগুলো কারুকার্য এবং সৌন্দর্যপূর্ণ জিনিস তৈরি করা হয়েছে সবগুলোই প্রায় বৃক্ষের তৈরি। যেমন উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন আপনারা ঠিক এরকমভাবে প্রায় সব জিনিসই বৃক্ষ দিয়ে তৈরি করা। বসার মত পালঙ্ক, ইমোজি ,মানুষ, পিরামিড, লাভ এবং বিভিন্ন পশু পাখির অবয়ব তারা কেবলমাত্র বৃক্ষ কেটে কেটে দারুন রকমের সৌন্দর্য দিয়ে ভরিয়ে তুলেছে। যাইহোক সে বিষয়গুলো এবং সেই জিনিসগুলো আমি আপনাদের মাঝে অন্য একটি পর্ব আকারে তুলে ধরব।
তারপরেই ওই রাস্তা দিয়ে একটু সামনের দিকে এগিয়ে আসলে দেখতে পারবেন হরেক রকম ফুলের সমাহার। একেকটা গাছে একেক রকমের ফুল ফুটে চতুর্দিকে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে। বুঝতেই পারছেন সবুজের মধ্যে সবুজ তার মধ্যে আবার বাড়তি ফুলের সৌন্দর্য। সব মিলিয়ে পুরো জায়গাটাকে আনন্দের আড্ডাখানা করে তুলেছে তারা। এখানে গোলাপ, গাধা,রজনীগন্ধা, বেলী, অলকানন্দা, টগর ফুলসহ এখানে জবা ফুলের একটি বিস্তর বাগান রয়েছে। বিকেলের দিক জবা ফুলের বাগানে বেশ অনেক মানুষের আড্ডা জমে যায় চতুর্দিকে ফুলের ঘ্রাণ এবং ফুল গাছ আর মাঝখানে বসে আড্ডা দিতে ভালই লাগে। নাম না জানা এখানে আরো অনেক ফুল রয়েছে। যেগুলোর দেখা তো দূরের কথা নামটাও আমি আজ পর্যন্ত শুনিনি। এখানে গেলে মনে হবে আপনি কোন এক ফুলের রাজ্যে চলে এসেছেন। এ যেন এক ফুলের স্বর্গ।
এরপরে একটু দক্ষিণ দিকে আসলে দেখতে পারবেন একটি বিশাল আকৃতির পুকুর। যেখানে নানান রকমের পদ্ম ফুলের কলি এবং পদ্ম ফুল ফুটেছে। এই সময় যদিওবা পুকুরে পানি অনেক কম কিন্তু বর্ষার সময় পুরো পুকুর ভর্তি থাকে। ধারণা করা হয় সেসময়ের মহারাজের মেয়েরা এবং পত্নীরা এই পুকুরে গোসল করত। এই পুকুরের মতো আরও একটি পুকুর এখানে রয়েছে। চতুর দিক দিয়ে সুপারি গাছ লাগানো যা পুকুরের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। পুকুরটির পশ্চিম দিকে দেখতে পারবেন একটি মসজিদ রয়েছে। এই বিষয়টা আমার সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। কেননা অনেক সময় দেখা যায় মানুষ এখানে ঘুরতে এসে জোহরের আযান দিয়ে দেয় সেই ক্ষেত্রে তাদের জন্য এখানে নামাজ পড়ার জন্য সুব্যবস্থা রয়েছে। আর মসজিদটি পুকুরের উপরেই পাড়েই রয়েছে ,বেশ ভালোই একটি দৃশ্য। যাই হোক বন্ধুরা বলতে বলতে আমার আজকের লেখার একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি, আজকে অনেক কিছু বলে ফেললাম দেখা হবে আবার নেক্সট এপিসোডে।
আশা করছি আমার আজকের এই লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের। আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
রংপুরের রাজবাড়ী ভ্রমন করেছেন এবং সেই জায়গার সৌন্দর্য আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। মাঝেমধ্যে এমন সুন্দর সুদর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করার মধ্য দিয়ে নিজের মন মানসিকতা অনেক উপরে রাখার যায়। বিভিন্ন ব্যস্ততার একঘেয়েমিতা দূর করতে এমন পরিবেশে ঘোরাঘুরি করার দরকার আছে। এ থেকে অনেক কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন হয়।
সত্য বলেছেন আপু যখন সবকিছুতে একঘেয়েমি চলে আসে তখন আমাদের উচিত যে এরকম কোথাও ঘুরতে যাওয়া। তাহলে মন মানসিকতার আসলেই পরিবর্তন ঘটে। দেখ সুন্দর করে গুছিয়ে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রংপুর রাজবাড়ি ভ্রমণের প্রথম পর্বটা সম্ভবত দেখেছিলাম। আজকে দ্বিতীয় পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। সেখানকার পরিবেশ বেশ সুন্দর এবং নিরিবিলি। হলুদ রঙের রঙ্গন ফুল দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু সেখানকার ফুলের সৌন্দর্য একটু বেশি আর বিভিন্ন রকমের ফুল রয়েছে এটাও সত্য যে এটি একটি নিরিবিলি জায়গার মধ্যে অন্যতম। হাতে সময় করে ঘুরে আসবেন।
ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টগুলো সব সময় আমার কাছে ভালো লাগে। কারণ এরই মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু দেখা ও জানা যায়। ঠিক তেমনি আজকে আপনি রংপুরের সুন্দর একটি স্থানে ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং সেই সম্পর্কে বিস্তারিত শেয়ার করেছেন ভালো লাগলো।
ভ্রমণ পোস্টগুলো থেকে আসলেই নিত্যনতুন কিছু জানা যায় সম্ভব হলে সে জায়গাটিতে যাওয়াও যায়। আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
রংপুর রাজবাড়ীর আজকে দ্বিতীয় পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাই। আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব চমৎকারভাবে উপভোগ করেছেন। রংপুর রাজবাড়ীর সৌন্দর্য আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এটা সত্য যে আসলেই প্রকৃতির মাঝে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছি আমি। সম্ভব হলে অবশ্যই আপনিও এসে ঘুরে যাবেন ভাইয়া।
রংপুর রাজবাড়ী বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছিল। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে রংপুর রাজবাড়ী ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করেছেন। রাজবাড়ীর বেশ কিছু জনপ্রিয় জায়গা আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো। ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন হয়েছে।
যেহেতু আপনি বেশ কয়েকবার রংপুর রাজবাড়ীতে গিয়েছিলেন সেক্ষেত্রে আপনি খুব ভালোভাবেই এখানকার বিষয় জানেন, আর গুছিয়ে সুন্দর করে মন্তব্যটি করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।