লাইফস্টাইল পোস্ট:-) ধান মাড়াই এর গল্প।।
হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি বিষয় নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
বন্ধুরা আপনাদের মাঝে আবারো চলে আসলাম ভিন্ন রকম একটি পোস্ট নিয়ে।সপ্তাহে চেষ্টা করি সর্বদা পোষ্টের মধ্যে ভিন্নতা আনার জন্যে।আজকে তাই দেখলাম এবং ভাবলাম কি পোস্ট করা যায়।গ্যালারির পিকচার দেখতে দেখতে সামনে আসলো 2,3 মাস আগের করে রাখা কিছু ফটোগ্রাফি।2 থেকে 3 মাস আগে চলছিল কৃষকদের ধান মাড়াই এর ধুম। নতুন ধান ,ক্ষেত থেকে তুলে এনে মাড়াই করে আটা বানিয়ে পিঠা খাওয়ার সুন্দর একটি দৃশ্য ছিল সেই সময়। সেই সময়ই আমি ধান মাড়াই করার কিছু ফটোগ্রাফি করে রাখি। সেগুলোই আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব এবং কিছু অনুভূতি বর্ণনা করার চেষ্টা করব।
একটা সময় ছিল যখন কৃষকরা কাঠ কেটে পীড়া তৈরি করে তার উপর ধান যাতাই করে মাড়াই করত। প্রযুক্তির উন্নয়নে ধীরে ধীরে মানুষ আধুনিকতার দিকে পা বাড়ায়। সেই আগের ধান মাড়াই এর দৃশ্যগুলো এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে এখন চলছে আধুনিক পদ্ধতিতে ধান মাড়াই কাজ। কৃষকরা আগে যেভাবে ধান মাড়াই করতো তাতে প্রচুর পরিমাণ সময় ব্যয় হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে স্যালো মেশিন এবং ধান মাড়াই এর মেশিনের সাহায্যে খুবই অল্প সময়ে অধিক বেশি ধান মাড়াই করা যায়।
কৃষকরা ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে যায়। এটা যেন তাদের নিত্য দিনের অভ্যাস। জ্ঞানীরাও বলেন প্রভাতে ঘুম থেকে উঠলে নানাবিধ রোগ থেকে মুক্তি মিলে। তাইতো কৃষকদের শরীরে ছোটখাটো রোগ তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারে না। যাই হোক খুব ভোরবেলায় কৃষকরা ঘুম থেকে উঠে স্যালো মেশিন এবং ধান মাড়াই মেশিন সেট করে নেয়। বা যাতে ধান মাড়াই করা যায় সেভাবেই তারা মেশিন সেট করে নেয়।
তারপর একদিকে স্যালো মেশিন চলতে থাকে এবং অন্যদিকে সেই স্যালো মেশিন এর সাহায্যে ধান মাড়াই মেশিন ঘুন্নন গতিতে ঘুরতে থাকে। আর ধান মাড়াই মেশিনের মধ্যে মানুষ ধানের গিটু গুলোকে ধরে। এখানে গিটু বলতে বোঝানো হয়েছে কাড়িকে। এতে করে একসাথে দুজন ধান মাড়াই করতে পারে যার কারণে খুব তাড়াতাড়ি অল্প সময়ের মধ্যেই অধিক ধান মাড়াই করা সম্ভব হয়। এই সবকিছুই আসলে বর্তমান সময়ের প্রযুক্তির মাধ্যমেই সম্ভব। প্রযুক্তি আমাদের দেশকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গেছে। আশা করছি আগামীতে প্রযুক্তির আরো নতুন সব আবিষ্কার আমরা দেখতে পারব।
তো বন্ধুরা এভাবেই মূলত গ্রামীণ সমাজে বর্তমান ধান মাড়াই করা হয়ে থাকে। বিষয়টা সামনাসামনি দেখতে কিন্তু দারুন ভালো লাগে। এভাবেই ধান মাড়াই করতে করতে বেলা যখন দশটা বেজে গেল ঠিক সে সময় দেখলাম ধান মাড়াই করা শেষ হয়ে গিয়েছে ধানের কি সুন্দর সোনালী রং দেখলেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। সব মিলিয়ে আমি সেই দিনটি অনেক আনন্দের মধ্য দিয়ে শুরু করেছিলাম। যদিও বা আমি ভিডিওগ্রাফি করতে পারিনি বা করার মনে ছিল না ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদেরকে গ্রামীণ সমাজের ধান মাড়াই এর কিছু চিত্র দেখানোর চেষ্টা করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
খুবই সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। কৃষকেরা আসলেই অনেক কষ্ট করে ফসল উৎপাদন করে এবং সেগুলোকে ঘরে তোলে। এই ধরনের মুহূর্ত গুলো শুধুমাত্র গ্রাম অঞ্চলে দেখা সম্ভব।
জি আপু গ্রামে অবস্থান করা সেই দিনটি আমার অনেক আনন্দের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছিল। কেননা এরকম আরো বেশ কিছু মুহূর্ত কে উপভোগ করেছিলাম।
গল্প আর লাইফ স্টাইল দুটা আলাদা বিষয়। তবে যাই হোক লাইফস্টাইলটার ঘটনা সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ধান মাড়াই বিষয়ে। আর এরই মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো। এখন কৃষক পরিবারে নতুন ধান উঠছে। আর এই কার্যক্রম চলছে সারা দেশব্যাপী,নতুন ধান ঘরে তোলার আনন্দ অন্যরকম।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে বর্তমান প্রযুক্তি উন্নতির কারণে আমাদের কাজ অনেক সহজ হয়ে গেছে। আগের মুভি গুলোতে দেখতাম যে ধান অনেক ধরনের ছোট , ছোট যন্ত্র দিয়ে কুটত, মূলত যেটা অনেক খাটনি এবং দীর্ঘ সময়ের একটি কাজ ছিল। কিন্তু বর্তমানে কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এগুলো অনেক সোজা হয়ে গেছে। যাই হোক আপনার গল্পটা শুনে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি ভাই বর্তমান সমাজ আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক এগিয়ে গেছে যেটা কেবলমাত্র বিজ্ঞানের অবদান।
শহরে থাকার কারণে আমরা এই জিনিসগুলো সেভাবে দেখতে পারি না। খুব ছোটবেলায় একবার দেখেছিলাম। আজকে অনেক বছর পর আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখে ভালো লাগলো। ধান মাড়াই সম্পর্কে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। বেশ কিছু তথ্য জানতে পারলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে।
জি আপু যারা শহরে অবস্থান করে তারা এইরকম দৃশ্যগুলো উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত হয়। সত্যি বলতে এরকম দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে বেশ ভালো লাগে।