ভাড়াদহ বিল ভ্রমণ।। শেষ পর্ব।।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, সোমবার
আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।
বর্তমান সমাজ হয়েছে আধুনিক চিকিৎসা নির্ভর। তবুও এমন একটা সময় ছিল যখন এরকম অত্যাধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। মানুষ ঠিক তখন ভেষজ ঔষধ তথা গাছগাছালির বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন ব্যবহার করে নিজেদের রোগ নিরাময় করত। যা বর্তমান সময়ে বিলুপ্তি প্রায়। তবে এটা আমাদের অবশ্যই মানতে হবে আমাদের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে ঔষধ আমরা ব্যবহার করে থাকি, তা সব সময় কার্যকরী হয় না। আবার এমন কিছু বিশেষ ঔষধি বৃক্ষ রয়েছে যে বৃক্ষের গুনাগুনে রোগ খুব তাড়াতাড়ি নিরাময় হয়। আর সত্যিকার অর্থেই বৃক্ষ আমাদের পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখে এবং একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ উপহার দেয় কিন্তু প্রতিনিয়ত আমরা সেই বৃক্ষকে নিধন করে চলেছি। আসলে আদৌ কি আমাদের জন্য এটা ভবিষ্যতে ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসতে পারে?
আমি যদিওবা ভাড়া দহ বিলের সব বৃক্ষের নাম জানিনা, কিন্তু এখানে হতে করা কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আসলে এখানের অধিকাংশ গাছগুলি হচ্ছে ঔষধি গুনাগুন সম্পূর্ণ। গত পর্বের যে ব্যানারটা আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম সে ব্যানার মধ্যে লেখা ছিল এই বিষয় নিয়ে। এখানে রয়েছে ঔষুধি গাছগুলোর মধ্যে, তুলসী, হারকলি, বৃন্দামতি, শিমুল বক্সী, কাটাক্ষ জাতীয় কিছু ফল সহ ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের ঔষধি গুণাগুন সম্পন্ন বৃক্ষের সমাহার রয়েছে। এখানকার স্থানীয় এক বাসিন্দার কাছ থেকে কথা বলে জানতে পারলাম এই বিলটি সরকারি আওতাভুক্ত। পৌরসভা কর্তৃক মেয়র এই বিলটিকে একটি দর্শনীয় বিল হিসেবে উদ্ভাবন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর এখানে আরো নতুন ধরনের বৃক্ষ রোপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন যা ২০২৪ সাল থেকে শুরু হওয়ার কথা। আশা করা যায় ভাড়াদহ বিল একটি নতুন রূপে সাজ নিবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান কর্তৃক বিলটিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়া হয়েছে। যেহেতু পাড় গুলো অনেক উঁচু এবং মজবুত করে বানানো হয়েছে সেহেতু এখানে বন্যা হলেও পানি ভিতরে ঢোকার এবং মা সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই সেহেতু আমি মনে করি মাছ চাষ করার এই সিদ্ধান্তটি সঠিক। বিলের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিকে দেখতে পাওয়া যায়। বিলটির চতুর্দিক দিয়ে সুন্দর রাস্তা রয়েছে যে রাস্তা গুলো দিয়ে দর্শনার্থীরা বিলের চতুর্দিকে ঘুরে ঘুরে মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারে। সব মিলিয়ে আমি বলব বিলটির অপরূপ সৌন্দর্য মনমুগ্ধকর যা আপনারা না আসলে বুঝতে পারবেন না।
প্রায় দু'ঘণ্টা ঘোরার পর আমরা বিলটিকে সম্পূর্ণ পরিদর্শন করতে সক্ষম হই। আর এর মাঝে আমরা একটু গাছের নিচে বসে বিশ্রাম করি সাথে আমার বই পড়ুয়া বন্ধুরা বই নিয়ে আসছিল, বিশ্রাম নেওয়ার সময় শান্ত পরিবেশে বইয়ের কয়েকটা পৃষ্ঠাও পড়ে নেয়। এত এত ঘোরাঘুরি করার পর বন্ধুদের নিয়ে বসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। আর পৌরসভার ভেতরে এসে একটু খাওয়া করে নিলাম শরীরকে সতেজ করার জন্য। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তী পর্বে। আপনাদের সমুজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
vote@bangla.witness as a witness
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
বাহ ভাড়াদহ বিল দেখতে তো খুব সুন্দর। এখানে দেখছি ঔষধি গাছে ভরপুর। যতগুলো ফটোগ্রাফি দেখেছি শুধু ঔষধি গাছই দেখতে পেলাম। এমন সুন্দর মনোরম পরিবেশে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে গেলে খুব ভালো লাগে। আপনার বন্ধুরা দেখছি আবার এত সুন্দর পরিবেশ পেয়ে বই পড়া শুরু করেছে। তবে গরমের সময় এমন জায়গায় গাছের ছায়ায় বসে বই পড়তে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।