পরিবার সহ রংপুর বাণিজ্য মেলায় ঘোরা এবং কেনাকাটা।(পর্ব-দুই)
ছোট বোনের জন্য মাথার ব্যান কেনা হলে , সামনে একটু এগোলেই চোখে পড়ে একটি কৃত্রিম ফুলের দোকান। মানে এই ফলের দোকানে কাগজ এবং প্লাস্টিকের মাধ্যমে ডাটা বানিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ফুলসহ গাছ তৈরি করা হয়। আসলে ফুলগুলো দেখতে অনেকটাই ভালো লাগছিল , কারণ বিভিন্ন কালারের ফুল ছিল সেখানে এবং আরো কিছু টব ও ছিল সেখানে। বাসার বিভিন্ন খানে ঝুলিয়ে রাখার জন্য ভাবি বেশ কিছু গোলাপ ফুল, রজনীগন্ধা ফুল এবং গাধা ফুল সহ আরো বেশ কিছু ফুল টব সহ কিনে নেয়। ফুলের দোকান থেকে বের হওয়া মাত্রই চোখে পড়ে একটি ফটো জোন। তো সেখানে সবাই মিলে আমরা একে একে সবার সবার নিজের ছবি তুললাম। আমিই বা কেন বাদ পড়বো আমিও বেশ কিছু ছবি তুলে নিই সেই ফটো জোন থেকে।
আমরা আসলে সবাই জানি যে,কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা যে কোন অনুষ্ঠান শুরু করতে গেলে কিংবা চলমান রাখতে গেলে বিভিন্ন রকমের সমস্যার সৃষ্টি হয়। চাঁদাবাজি, ডাঙ্গা হাঙ্গামা, চুরি করা সহ নানা রকম অপকর্ম বা বিভিন্ন দুষ্ট প্রকৃতির লোক লক্ষ্য করা যায়। সেই অনুষ্ঠান কিংবা প্রতিষ্ঠানকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য দরকার হয় একটি সুষ্ঠু ও শান্তি শৃঙ্খলা পরিবেশ। এমনকি প্রশাসন কর্তৃক এমন কিছু অনুষ্ঠান আছে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। যেহেতু রংপুরের বাণিজ্য মেলা রংপুরের এটি একটি অন্যতম মেলা হিসেবে পরিচিত। ঠিক সে কারণেই এই মেলাকে সুষ্ঠ এবং কোন ঝামেলা ছাড়াই পরিচালনা করার জন্য এখানে আছে প্রশাসন কর্তৃক মেলা পরিচালনার কমিটি এবং সদস্যবৃন্দ। আর তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে এখানে একটি মেলা কার্যালয় ভবন। যেখানে থেকে তারা পুরো মেলাকে মেইনটেইন করে থাকে।
মেলা কার্যালয় ভবন পার হয়ে একটু পূর্ব দিকে আসতেই চোখে পড়ে একটি মনিহারি পণ্যের দোকান। এখানেই পড়ে যাই এক বিড়ম্বনায়। কারণ আমাদের সাথে ছিল দুটো ছোট বাচ্চা। মনিহারি পণ্যের সপ দেখে তারা সোজা গিয়ে ওই দোকানে প্রবেশ করে এবং একে একে সবগুলো জিনিস নাড়াচাড়া করতে শুরু করে যা দেখে দোকানদার অনেকটা বিরক্ত হয়েছিল। সে যাই হোক ছোট বাচ্চারা, তারা তো বুঝতে পারে না। তাদের জন্য টেডি, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি সহ বেশ কিছু মনিহারি পণ্য কিনে দিই। মনিহারি পণ্যের দোকানের সামনেই ছিল একটি খেলা জোন। এখানে বড় দের জন্য সাময়িক সময়ের খেলার ব্যবস্থা ছিল। এবারের বাণিজ্য মেলায় এটা একটি নতুন উদ্যোগ দেখলাম। গতবার এটা ছিল না।
গেট দিয়ে ঢোকার পর একটু সামনেই ছিল ভিডিও জোন। বর্তমান সময়ে যে বিষয়টি সব থেকে বেশি ভাইরাল আছে নেট দুনিয়ায়। ভিডিও করার সিস্টেম টি ছিল একজন মানুষ মাঝখানে একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে আর চতুর দিক দিয়ে একটি স্টিক ঘুরতেছে যেটার উপর ফোন সেট করে দেওয়া আছে।যেটা সে দাঁড়ানোর লোকটার চতুর্দিকে ঘুরতেছে। ভিডিও করার সেই স্টিক টির নাম আমি অবশ্য জানিনা, ভিডিও করার সময় একটু হাস্যকর লাগছিল কিন্তু যখন গান সহ ওটার ফাইনাল আউটপুট দেখছিলাম তখন আসলে ভালোই লাগছিল। কিন্তু মজার বিষয় হলো এখানে নাচ করার সময় একটি মেয়ে হঠাৎ করে তা হতে পড়ে যায়, যে বিষয়টি আসলে একটি হাস্যকর ছিল হি হি। এজন্যই আমি মনে করি, যেকোন বিষয় অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি না করে সাবধানতা অবলম্বন করাই শ্রেয় ।আপনারা কি বলেন?
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
রংপুর বাণিজ্য মেলায় আমি গিয়েছিলাম অনেক আগে। তবে আজকে আপনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। পরিবার নিয়ে কোথাও গেলে এমনিতেই ভালো লাগে। এধরনের মেলায় গেলে বিভিন্ন ধরণের জিনিস পাওয়া যায়। বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন দেখতেই পাচ্ছি। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া উৎসবমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
বাহ আপনি দেখছি আপনার পরিবারের সাথে রংপুর শিল্প ও বানিজ্য মেলার মধ্যে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় সব জেলার মধ্যে বাণিজ্য মেলার ধুম পড়েছে। তবে এই বাণিজ্য মেলা আর বেশি দিন থাকবে না, এখন একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। আপনি রাতের বেলা মেলার মধ্যে বেশ ভালোই ইনজয় করেছেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বাণিজ্য মেলা প্রায় একদম শেষের দিকে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
রংপুর বানিজ্য মেলাতে আমার কখনও যাওয়া হয়নি।তবে মেলায় যেতে বেশ ভালোই লাগে যদিও অনেক মানুষ থাকে।ছোটবোনের জন্য চুলের জন্য ব্যান্ড কিনেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
রংপুর বাণিজ্য মেলায় গিয়ে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন আর এটার প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়েছিল। আর আপনি আজকে দ্বিতীয় পর্ব সবার মাঝে শেয়ার করেছেন থেকে সত্যি খুব ভালো লাগলো। নাচানাচি করার সময় একটা মেয়ে পড়ে গিয়েছিল শুনে আসলেই হাস্যকর লেগেছে বিষয়টা। তবে মেয়েটার উচিত ছিল সাবধানে নাচানাচি করা। যদি মেয়েটা সাবধানতা অবলম্বন করতো শুরু থেকেই তাহলে হয়তো মেয়েটা পড়ে যেত না। যাই হোক বেশ ভালোই উপভোগ করেছি দ্বিতীয় পর্ব টাও। ফ্যামিলিকে নিয়ে যাওয়ার কারণে বেশি ভালো লেগেছিল বুঝতেই পারতেছি।
পরিবারসহ রংপুরের বাণিজ্য মেলায় ঘুরাঘুরির প্রথম পর্ব টা আমি দেখেছিলাম দ্বিতীয় পর্ব টা দেখে খুবই ভালো লাগলো। বোঝাই যাচ্ছে পরিবারের সঙ্গে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বাণিজ্যমেলায়। আসলেই বর্তমান সময়ের নেট দুনিয়ায় স্টিক ঘোরানো ভিডিও জোন টা অনেক বেশি ভাইরাল হয়েছে। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো ভাইয়া, আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।