লাইফ স্টাইল পোস্ট:-) ভোট প্রদানের অনুভূতি।।
হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি বিষয় নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
চলছে আজ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।আমাদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এইবার দুই দলের মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।এমপির পক্ষ থেকে এক দল করছেন ইলেকশন,আর একদল হচ্ছে স্বতন্ত্র।তবে দুই দলের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে কঠিন প্রতিযোগিতা।সবার মাঝেই একটা ভোটের নেশার কঠিন আমেজ চলছে।আজ থেকেই বিদায় হবে জনগণের এক কষ্ট ,ভোগান্তির কারণ।কষ্ট এবং ভোগান্তি বলছি কেনো অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে,স্বাভাবিক।কিন্তু আপনারা নিজের এলাকা থেকেই ভাবুনতো নির্বাচন প্রচারণা নিয়ে কতটা কষ্টে আছেন।বিকেলে একটু ঘুমিয়েও শান্তি নেই।শুধু শব্দ দূষণ।এই শব্দদূষণ এর কারণে বাচ্চারাও একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারিনা।সব দিক থেকেই বিরক্তিকর।তবে আজকে থেকে আমাদের মুক্তি মিলল।আজকে এই ভোটের বিষয় নিয়েই আলোচনা করব।
আজকে ভোটের বিষয়টা আমার সকাল সকাল খেয়াল এ ছিলনা।তাই গিয়েছিলাম বাবার একটা কাজে বাইরে।যে জায়গায় গিয়েছিলাম সেখানেও দেখতেছি 10 টা বাজতে বাজতে সবাই ভোট দিতে যাচ্ছে।ঠিক তখনই আমার ও মনে হলো আমাদের এলাকায় আমার উপজেলাতেও তো আজকে নির্বাচন চলছে।তাই তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।বাসায় পৌছতে পৌছতে প্রায় 12 টা বেজে গেছে।খাওয়া করে একটু রেস্ট নিয়েই বেরিয়ে পড়লাম ভোট কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে।আমার বাসা থেকে ভোট কেন্দ্রের দুরত্ব হচ্ছে হাফ কিলোমিটার হবে।তো বাসা থেকে বের হয়ে শুরু করলাম হাটা।কি করবো ভাই আমি অতটাও বড়লোক পরিবারের সন্তান না যে এই হাফ কিলোমিটারের রাস্তা অটো তে যাবো।তবে দুরত্ব টা হাফ কিলোমিটারের ও কম এজন্যে হাঁটতে শুরু করলাম।ভোট কেন্দ্রে পৌছাতে পৌছাতে 1 টার কাছাকাছি চলে গেছে।
কেন্দ্রে পৌঁছে তো একদম হতবম্ব হয়ে গেলাম,একদম লোকে লোকারন।তার ওপর চলছে কঠিন রোদ।চলার গতি হচ্ছে বাধাগ্রস্ত।তারমাঝেও কষ্ট করে হলেও নিয়ে নিলাম আমার ভোটের সিরিয়াল।সিরিয়াল নিয়ে বিন্দু মাত্র দেরি না করে তাৎক্ষণিক চলে গেলাম ভোট দিতে।নামাজের সময় হওয়ার কারণে লাইনে তেমন একটা জ্যাম দেখলাম না।এজন্যেই চিন্তা করলাম ভোট দিয়ে তারপর নামাজে যাবো।দাড়ালাম লাইনে।6 জনের পর আসলো আমার সিরিয়াল।মহানন্দে ঢুকলামরুমে।পছন্দের তিনজন প্রার্থীকে সিল মেরে ব্যালট বক্সে দিলাম ফেলে।তাড়াতাড়ি করে বের হলাম।কারণ নামাজ পড়া তখনো বাকী ছিল।বের হয়ে সোজা চলে গেলাম মসজিদে।নামাজ শেষে করে পুনরায় চলে আসলাম ভোট কেন্দ্রে। এসে কয়েকজন বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেলো।তারপর তাদের নিয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম।আড্ডা দিতে দিতেই একজন বললো তার নাকি খুদা পেয়েছে অনেক।আর দেরি না করে চলে গেলাম নাস্তা করার জন্যে।যদিওবা নাস্তা গুলো মানসম্মত ছিলনা তাও সবার জন্যে নাস্তা অর্ডার করে দিলাম।নাস্তা করা হলে তাদের সবাইকে বিদায় জানিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।কারণ ভোটের রেজাল্ট দিতে তখনো অনেক সময় বাকি ছিল।বাসায় এসে দিলাম একটা জম্পেশ ঘুম।
ঘুম থেকে উঠে দেখতেছি 5 টা বেজে গেছে।ফ্রেশ হয়ে ভোট কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে আবার বের হলাম।কেন্দ্রে এসে দেখি কেন্দ্রের বাইরে তেমন একটা মানুষ নেই।সবাই ভিতরে জ্যাম লাগিয়ে উৎসুক হয়ে আছে ভোটের রেজাল্ট সোনার জন্যে।আমিও তাদের সাথেই যোগ দিলাম।আমাদের কেন্দ্রে হেলিকাপ্টার মার্কার অনেক বেশি আমেজ ছিল।তাই দেখলাম এক লোক হেলিকাপ্টার কিনে এনে মাঠে ওড়াচ্ছে।আর তার পিছনে সব বাচ্চারা ঘুরছে।যাইহোক কথা বলতে বলতে শুনলাম ফলাফল দিতে আরো 20 মিনিট লেট হবে।তাই মাঠের এক কোণে বসে পড়লাম।আর এই পোস্ট লিখা শুরু করলাম।লিখতে লিখতে দেখলাম 20 মিনিটের আগেই সবাইকে ডাকছেন ভোট গণনা কারীরা।সব জনতা দ্রুত এগিয়ে গেলো ফলাফল সোনার জন্যে।আমিও লেখা বাদ দিয়ে এগিয়ে গেলাম।অবশেষে ফলাফল প্রকাশ হলো।আমিতো পুরাই খুশি কারণ আমি যে প্রার্থীদের ভোট দিয়েছি তারা সবাই জয়ী হয়েছেন।সবাই একদম আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেছে কারণ যে মার্কার জিতার কথা ছিল সেই মার্কার প্রার্থী জিতে গেছে আমাদের কেন্দ্রে।সবাই পটকা ফোটাচ্ছে।এখন দেখার বাকি থাকলো পুরো উপজেলায় কোন প্রার্থী বিজয়ী হয়।
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
ভাই আমাদের এলাকাতেও একই অবস্থা ছিল মানে কোন কিছু করেই শান্তি ছিল না, প্রচারণার মাইকের শব্দে জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল। আপনি ভোট দিয়েছেন তবে আপনাদের এলাকায় ভোটকেন্দ্রে অনেক লোক ছিল জেনে ভালো লাগলো এখন তো ভোটকেন্দ্রে তেমন লোকই হয় না।
জি ভাই নির্বাচনী প্রচারণার কারণে একদম অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল জনগণ আজকে থেকে সেটা বিদায় হলো। ভোট দেওয়ার পর সবার মাঝে একটা উত্তেজনা ছিল যে কে জিতবে আর কে হারবে এজন্যই হয়তো সবাই ফলাফল জানার জন্য ভিড় জমিয়ে ছিল কেন্দ্রে।
আপনার ভোট দেবার অনুভূতি ভালো লাগলো।দুঃখ একটাই বয়স হলে ও এখনো ভোটার হতে পারলাম না। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
খুবই দুঃখজনক কথা বললেন ভাইয়া। বয়স হয়েছে অথচ ভোট এখনো লেখার নি। সময় এবং সুযোগ বুঝে ভোটারের তালিকায় আপনিও যুক্ত হয়ে যান ভাইয়া কেননা এটা জরুরী।
আজকে আমি ও আমার জীবনের প্রথম ভোট প্রদান করলাম। জীবনের প্রথম ভোট দিতে পেরে আজকে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি আজকে আপনার ভোট দেয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার অনুভূতি দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভোট দেওয়া সার্থক হয়েছে, জাকিরের পার্টি হেলিকপ্টার মার্কা, কামরুজ্জামান জিতেছে।
ভোট দেওয়ার অনুভূতিটা অন্যরকমের। আমাদের উপজেলাতেও আজকে নির্বাচন ছিল কিন্তু ভোট দিতে যায়নি। কারণ অনেক বেশি গরম বাচ্চাদেরকে নিয়ে আর ঝামেলা করিনি। যেহেতু এক মাস আগে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হলো। সেখানে যেয়ে বেশ কষ্ট পেয়েছি। আপনি অনেক দূর হেটে যেয়ে ভোট দিতে পারলেন ভালো লাগলো দেখে। ইদানিং ইলেকশন গুলো বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলতেছে। গ্রামের পরিবেশে গেলে বোঝা যায় ভোট কত উৎসব মুখর হয়ে গেছে ইদানিং।
আপনি ভোট দিতে পারেননি শুনে খারাপ লাগলো। তবে হ্যাঁ বর্তমান সময়ের ইলেকশনগুলোতে খুবই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়ে থাকে। আসলে বর্তমান সময়ে গ্রামীন পরিবেশে ইলেকশন নিয়ে বেশ আমেজ তৈরি হয়ে গেছে।
আমাদের এখানে এই মাসের ৮ তারিখ নির্বাচন হয়েছে। আমার বাসা একেবারে রাস্তার পাশে হওয়ায়, মাইকের শব্দে একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলাম। যাইহোক আপনার পছন্দের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। আমিও যে তিনজনকে ভোট দিয়েছিলাম,তারা সবাই আমাদের কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই আমার বাসাও রাস্তার পাশেই কি যে যন্ত্রণার মধ্যে ছিলাম সেটা বলে প্রকাশ করতে পারবো না কিন্তু ভোট হওয়ার মধ্য দিয়ে সব ঝামেলা চলে গেছে। খুশি হলাম এটা জেনে যে আপনার ভোট দেওয়া তিনজন প্রার্থী আপনার কেন্দ্রে বিজয়ী হয়েছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া ভোটের সময় এলাকায় থাকা বড় মুশকিল। এখনো আমাদের এখানে ভোট হয়নি তাই সব সময় মাইকের শব্দ হচ্ছে। আপনি ভোট দেওয়ার দারুণ একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভোটের প্রচারণার জন্য শব্দ দূষণে মানুষ একদম অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। ভোট হওয়ার মধ্য দিয়ে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে গুছিয়ে সুন্দরভাবে একটি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন। ভোটের সময় যেভাবে প্রচার-প্রচারণা হয় তখন এলাকায় থাকা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে যায়৷ একই সাথে কিছু ভিন্ন ধরনের সমস্যাও থাকে৷ যাইহোক আপনি আজকে ভোট প্রদানের এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷