একজন খেলনা ওয়ালা।
আসসালামু আলাইকুম, সবার প্রতি রইলো সালাম ও আদাপ,সবাই নিশ্চয়ই ভালো ও সুস্থ আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সব সদস্য গন।
বাবা, মার প্রিয় যদি কিছু পৃথিবীতে থেকে থাকে বা মূল্যবান সম্পদ মনে করে তাহলে তাদের আদরের সন্তান, প্রতিটা বাবা-মা'র জন্য এক অমূল্য সম্পদ। এই আদরের সন্তানদের জন্য বাবা-মা কত কিছু ই না করে,শুধু মাত্র তাদের একটু সুখের জন্য, তাতেই যেন সব শান্তি। আমার মা আছে, বাবা নেই। অনেক বছর হয়েছে বাবার মারা গেছে। তাই সন্তান কি জিনিস এখন একটু হলেও বুঝি।আজ যখন খেলনে ওয়ালা ভ্যানটি আমার বাসার সামনে আসলো তখন খেলনা বিক্রি জন্য ভ্যান ওয়ালা ডাকাডাকি করতে ছিল,শুধু কিছু খেলনা বিক্রি করে দ্রুত বাসায় ফিরবে বলে কারণ উনার বউ অসুস্থ। তো যথারীতি মানুষ তাদের সন্তানদের নিয়ে আসতেছে ভ্যানের সামনে,আমি ও এগিয়ে আমার সন্তানদের নিয়ে গেলাম।
তো সবাই দেখছে আর খেলনা গুলো নিজেদের ইচ্ছমতো নেড়েচেড়ে দেখতেছে কিন্তু কেহ কিনছে না,আমি তো দেখতেছি ভ্যান ওয়ালার রাগান্বিত মুখ।
এভাবে অনেক লোকজন দেখে চলে ও যাচ্ছে, এর ফাঁকে একজন ১৫০টাকা দিয়ে একটি খেলনা কিনলো।আমি ও কিনে আমার বাচ্চাদের হাতে দিয়ে দিছি, ওরা ওদের মতো দেখতেছে আর খেলতেছে।এদিকে বাসা থেকে কল আসছে ঔষধ নিয়ে যেতে হবে।
কিন্তু ঐ তুলনায় ভ্যান ওয়ালার বিক্রি নেই কি যে করবে মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো,ঢাকা শহরে কে কার উপকার করবে,সবাই তো ইয়া নফসি,এর ভিতর এক বাচ্চা বলে দিলো এখান থেকে দুটো খেলনা দুটো মেয়ে নিয়ে গেছে পাশের ঐ বিল্ডিং এ,,এখন মানুষ টি বড় বিপদে পরে গেল,,,কাকে ধরবে?কোন মেয়ে গুলো নিছে তার প্রমান তো নেই। তখন মানুষ টি আমার দিকে তাকিয়ে বললো,আল্লাহ গরীব মানুষ কে কেন পৃথিবীতে পাঠাইছে?এদিকে বাসায় বউ অসুস্থ, নাই কোন বিক্রি তার উপর আবার মাল খুয়ালাম।কিভাবে কি করবো আল্লাহ তুমি বলে দেও😢।
তখন আমার খুব মায়া হলো,আমি বললাম আপনি ঐ বিল্ডিং এ যান আর গিয়ে জিজ্ঞেস করুন যে, কারা খেলনা নিছে,কারা আনছে খেলনা,তো উনি জিজ্ঞেস করতেছেন যাদের কে ই পাচ্ছেন, কেহ স্বীকার করতেছেনা খেলনা কারা আনছেন। খেলনা দুটোর দাম নাকি ৫০০টাকা।কি এক দুর্ভিসহ যন্ত্রণা,, যেন মরার উপর খাড়া ঘা।যা ই বিক্রি করতে পেরেছেন তা দিয়ে তো আর ঔষধ কিনা হবে না আরো লাগবে।
আমি উনার এই দৃশ্য দেখে কি করবো বুঝতে পারছি না,টাকা দিলেও নিবেনা কারণ এভাবে টাকা কি কেহ নিবে। ততক্ষণাৎআমি জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে কি ঐ খেলনা গুলো কিনে এনে দেওয়া যাবে,আমি আমার ভাগিনা, ভাগ্নিদের দিবো এবং এ জন্য এডভান্স করবো, এতে আপনার কিছু টা হলেও সমস্যা মিটবে যদি আরো কিছু বিক্রি করতে পারেন মনে হয়, হয়ে যাবে,,,উনি নিতে রাজি হলেন আর সস্তির নিঃষাস ফেললেন।আর আমি মনে মনে একটু তৃপ্তি বোধ করলাম এভাবে কোন মানুষের উপকারে এসে।
আসলেমানুষ যখন বিপদে পরে তখন তার চেহারায় তার চিহ্ন ফুটে উঠে।তখন চোখ মুখে পদ হারিয়ে দেখে না,কেমন যেন হতাশার মুখ ভারির চিহ্ন ভেসে উঠে।আল্লাহ সব মানুষের বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং সর্বদা তাদের হায়াত রিজিক বাড়িয়ে দিবেন।আল্লাহ আমাদের সহায় হোন, আমিন।
**এতোক্ষণ **যারা সময় নিয়ে এই ঘটনা নিয়ে পরেছেন এবং সময় ব্যায় করেছেন তাদের জন্য কৃতজ্ঞতা ও অফুরন্ত ভালবাসা। দোয়া রইলো আপনাদের জন্য।
আপনার উপস্থাপনা খুবই ভালো
আসলেই রাগান্বিত হওয়ারই কথা। ব্যাপার টা এমন বিয়ে করে গিয়ে, বিয়ে না করে মেয়ে দেখেই ফিরে আসা
জি ভাই,
খেলনা ওয়ালার জীবনটা কত সুন্দর। কোনো হতাশা নেই,দুঃখ নেই। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
সত্যি অসাধারণ ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনা কে আমাকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
এটাই হচ্ছে মানবতা, এটাই হচ্ছে মনুষ্যত্ব। এই কারণেই মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বলা হয় সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষ যদি মানুষের বিপদে পাশে না দাঁড়ায় তাহলে সে কেমন মানুষ? আপনি খুব ভালো একটি কাজ করেছেন বিপদে তার পাশে দাঁড়িয়ে। ছবিতে what3words লোকেশন কোড ব্যবহার করবেন অবশ্যই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে লিখতে সাহস ও উৎসাহ দেওয়ার জন্য,,