||হঠাৎ এক বিকালে কুসুম ফুলের খোঁজে ঘুরতে বের হওয়া।|| ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য।
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সকলে মহান রাব্বুল আলামিনের মেহেরবানীতে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান রাব্বুল আলামিনের রহমতে ভালো আছি।
হঠাৎ করে ফেসবুকে দেখতে পেলাম আমাদের এলাকার একটু পাশে হঠাৎ বাজার নামক গ্রামে একটু ভিন্নধর্মী ফুলের চাষ হচ্ছে যেটির নাম জানতে পারলাম কুসুম ফুল। অনেকেই হয়তো এই ফুলটিকে চিনেন আবার অনেকেই চিনেন না। তবে আমার এই ফুল সম্পর্কে আগে কোন ধারণা না থাকলেও আমি মাঝেমধ্যে হঠাৎ বাজার ঘুরতে যাওয়ার দরুন এই ফুল বাগান দেখতে পেতাম। আর এই ফুল বাগানটিতে যখন ফুল হয় তখন দেখতে খুবই অপরূপ দেখা যায় এবং এর একটি মিষ্টি সুঘ্রাণু ছড়ায় বিধায় ফুলটি আমার বেশ পছন্দের। তো এবার যখন ফেসবুকে আবারো দেখলাম ফুলবাগান সেখানে হয়েছে তো আর দেরি না করে সেখানে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা কষে ফেললাম।
তো আর দেরি না করে কুসুম ফুলের বাগানের ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা করে দিলাম। আমি আগেই বলেছি সেটি আমাদের এলাকার একটু দূরের একটি গ্রামে অবস্থিত। আর ওই গ্রামের রাস্তাগুলি খুবই অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এর কারণে আমি মাঝেমধ্যেই সেখানে ঘুরতে যেয়ে থাকি। আর তাই ভাবলাম সেখানে যেতে যেতে আমার দেখা আরো কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাদের সাথে তুলে ধরি। যে রাস্তা ধরে সেখানে যেতে হয় রাস্তার বিয়ের সারি সারি গাছে রাস্তাটিকে পুরো আচ্ছন্ন করে রেখেছে।গাছের পাতার ভেতর দিয়ে সূর্যের আলো এক প্রকার লুকোচুরি খেলে।
রাস্তার পাশ দিয়ে কুল ঘেঁষে বয়ে গেছে নদীর একটি শাখা যেটি দেখতে রাস্তা থেকে খুবই মনোমুগ্ধকর লাগে। আর নদীর ওই পাড়ে গ্রামীণ মানুষজন তাদের জমিতে বিভিন্ন রকম ফসলের চাষাবাদ করেছে। দেখে যেন মনে হয় সবুজের সমারোহে ভরপুর এক অনন্য গ্রাম। শহরের কোন ঘেষে এমন এক গ্রামের অবস্থান এটি যেন আমাদের কাছে আল্লাহর এক অশেষ রহমতের মতো। হঠাৎ বাজারে এই গ্রামটি আমার এক অনন্য ভালো লাগার জায়গা বলে মনে হয় এবং মনে করি যদি কারো আসার সৌভাগ্য হয়ে থাকে সকলে এই জায়গাটি খুবই মনোমুগ্ধকর ভাবে উপভোগ করবেন।
যেতে যেতে দেখলাম নদীর ওই পারেও কুসুম ফুলের বাগান করেছে। আসলে এই ফুলের সৌন্দর্যেও যেমন মনোমুগ্ধকর তেমনি এর কিছু উপকারী দিক রয়েছে। এটি দিয়ে তেল বানানো হয় এবং এটি কে বিভিন্ন ভাবে রান্না করেও খাওয়া যায় যদিও আমার এটি খাওয়ার কোন অভিজ্ঞতা হয়নি।
এই দৃশ্যটি আমার কাছে সেখানকার দেখা সব থেকে সুন্দরতম দৃশ্যের মধ্যে একটি মনে হয়েছে। আর এটি তোলার সময় আমি ভেবে রেখেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এখানে দেখতে পারছেন গ্রামের এক অপরূপ সৌন্দর্য মাঠের ভিতরে গ্রামের পুরুষ মহিলা কিশোর কিশোর সকলে সংঘবদ্ধভাবে তাদের ফসলী জমিতে কাজ করছে। হয়তো এখানে বাবা ছেলে মা মেয়ে চাচা চাচি সহ পরিবারের অনেকেই একসঙ্গে সঙ্গবদ্ধভাবেই কাজ করছে। আসলে এটি আমাদের বাঙালির মূল খুশির স্থান বলে আমার মনে হয় যেটি কিনা একটি পরিবার। এটি দেখে আমারও মনে হচ্ছিল আমিও সেখানে চলে যাই তাদের সাথে কিছুটা সময় কাটাই। তবে তা আর হলো না কারণ আমি সেখানকার কোন স্থানীয় লোক নই বরং তাদের এলাকার একটি আগন্তুক। এই শান্তি হয়তো অনেক ধনী লোগো কখনো উপভোগ করতে পারেনি বা পারবে না।
এ পর্যায়ে আমি পৌঁছে গিয়েছি আমার কাঙ্ক্ষিত কুসুম ফুলের বাগানে যেটি দেখে আমার মন ও চোখ জুড়ে গিয়েছিল। এই ফুলটি সময়ের পরিক্রমায় বিভিন্ন রং ধারণ করে থাকে। এবং বাগানে একটি গাছে লাল কমলা ও হলুদ তিনটি রং ফুল দেখা যায়। বাগানে বেশ কিছু সময় ছবি তুলেছি এবং চারিপাশটা ঘুরে দেখেছি। বেশ কিছু ভালো সময় সেখানে কাটিয়েছিলাম।
আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝেও তুলে ধরলাম আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে।
এই ছিল আমার কুসুম ফুলের খোঁজে হঠাৎ ঘুরতে বের হওয়ার মুহূর্তটি। তবে আজ এ পর্যন্ত দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে নতুন কিছু নিয়ে ততদিন সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এটাই কামনা করছি।
ফটোগ্রাফার: | @shabab7 |
---|---|
ডিভাইস: | Iphone X |
লোকেশন: | Hotath Bazar |
https://maps.app.goo.gl/TR9vKsQD9NQju6CT8
আসলে ভাইয়া গ্রামের প্রকৃতির সৌন্দর্যের মতো সুন্দর পৃথিবীর আর কোথাও নেই। আপনি এই ফুলগুলোর সন্ধানে পাশের গ্রামে যাওয়ার পথে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। গ্রামের আঁকাবাঁকা পথ এবং সবমিলিয়ে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি বর্ণনা সহ শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
গ্রামের সৌন্দর্য তার মধ্যে সব কিছু হার মানে। গ্রামের পরিবেশটা সত্যি একেবারে অন্যরকম হয়। কুসুম ফুল মনে হয় আমি আজকে প্রথম দেখলাম তাও আপনার পোষ্টের মাধ্যমে।আপনার কুসুম ফুলের খোঁজে হঠাৎ ঘুরতে বের হওয়ার মুহূর্তের পোস্ট পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। ফুলগুলোর ফটোগ্রাফি এবং আপনার পুরো পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার মুহূর্তটি বেশ ভালো কেটেছে।
ধন্যবাদ।
কুসুম ফুলের সম্পর্কে আমারও তেমন ধারণা নেই ৷ তবে ফুলটি দেখতে কিন্তু ভালোই সুন্দর ৷ আপনি পাশের গ্রামের কুসুম ফুল বাগান ভ্রমণ করেতে গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷যেতে যেতে চারপাশের প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য গুলো চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে , আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
ধন্যবাদ।
কুসুম ফুল সম্পর্কে আগে কখনোই শুনিনি। তবে আজকে বেশ অবাক হলাম একই গাছে তিন রঙের ফুল ফুটে। আবার এই ফুল থেকে তেল সংগ্রহ করা যায় তার পাশাপাশি খাওয়াও যায়। বিশাল আকারে ক্ষেতের মধ্যে এই কুসুম ফুল চাষ করেছে এবং পরিবারের সকলে মিলে কাজ করছে সেটা সত্যিই একদম মনমুগ্ধকর দৃশ্য। তাছাড়া আরও বেশি অবাক হলাম একই গাছে তিন রঙের ফুল ফোটে সেটা জেনে। সত্যি বলতে এমন ফুল যেটা থেকে তেল সংগ্রহ করা যায় তা চাষ করলে সব দিক দিয়েই উপকার হবে। ভালো লাগলো আজকের ব্লগটি।
ধন্যবাদ।
গ্রামের রাস্তা যেমন আমাদেরকে মুগ্ধ করে তেমনি রাস্তার দুই পাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে আরও বেশি মুগ্ধ হয়ে যাই। গ্রামের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কখনো ভুলার মত নয় ।আপনার কাছ থেকে কুসুম ফুলের নাম জানতে পারলাম, শুধু নাম জানলাম তা নয় ফুল দেখেও অবাক হলাম আর মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম। আমার কাছে কুসুম ফুল অনেক ইউনিক লেগেছে। ফুলগুলো দেখতে সত্যি খুবই সুন্দর। কুসুম ফুল দেখার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে খুব ভালো কাজ করেছেন। এর সাথে আপনি খুব সুন্দর কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি সেখানে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আর আপনার সুন্দর মুহূর্তের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
নার্সারিতে কুসুম ফুলের দু একটি গাছ দেখেছি দুই এক রকমের কালারের।।
কিন্তু একসাথে এত কুসুম ফুল এত রংবেরঙের কালার পূর্বে কখনো দেখিনি সত্যি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই খুবই ভালো লাগলো।। ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে আপনিও দেখলেন আমাদেরকেও দেখার সুযোগ করে দিলেন।।
আমি যতদূর জানি এই কুসুম ফুল থেকে পরবর্তীতে ফল সংগ্রহ করে তেল উৎপাদন করা হয়।।
যা হোক আপনার ভ্রমণ কাহিনীটি অনেক সুন্দর ছিল নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন।।
ধন্যবাদ।
অতি মনোমুগ্ধকর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এর ফুল হয়তো আমি কখনো দেখিনি অথবা দেখে থাকলে তত একটা মনে পড়ছে না কিন্তু আপনি ফসলের মাঠ থেকে এ ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থাপন করেছেন দেখি আমার খুবই ভালো লেগেছে। অসাধারণ ছিল প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি।
ধন্যবাদ।