|| ফ্যামিলি পিকনিকে গাজীপুর সাফারি পার্ক ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা পর্ব- ১ ||
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সকলে মহান রাব্বুল আলামিনের মেহেরবানীতে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান রাব্বুল আলামিনের রহমতে ভালো আছি।
পরিবারের সঙ্গে যেকোনো জায়গায় ঘুরতে যাওয়াটাই আনন্দের আর সেটা যদি হয় কোন পিকনিক তাহলে তো আরো বেশি আনন্দের হয়ে থাকে সবার ক্ষেত্রে। আমার ক্ষেত্রেও তেমনটির ব্যতিক্রম হয়নি। এটি ছিল আমার বাবার অফিসের ফ্যামিলি পিকনিক। পরিবারের সকলে মিলে একসাথে বেশ ভালো একটি সময় কাটিয়েছি যেটি আপনাদের সাথে তুলে ধরবো আশা করি সকলের পুষ্টি ভালো লাগবে।
আমরা যে পার্কটিতে গিয়েছিলাম এটির পুরো নাম ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক এটি গাজীপুর জেলায় অবস্থিত। আর তারই ধারাবাহিকতায় বন্ধুর নাম অনুসারে পার্কে ঢুকতেই দেখা মিলল তার একটি বিশাল বড় ক্যানভাসের। এরপর আমরা হেঁটে হেঁটে ভেতরের দিকে ঢুকলাম।
এবার পার্কের ভেতরে ঢুকতেই দেখা মিলল একটি কৃত্রিম ঝর্ণার যেটির চারপাশ ঘিরে অনেক মানুষ ছবি তুলছিল। আমরাও এখানে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম।এমন আরো কয়েকটি স্থান ছিল যেখানে মানুষ ছবি তোলার জন্য ভিড় করছিল। পরিবেশ ছিল খুবই সাজানো গোছানো ও সবুজে ঘেরা। যেটি দেখে প্রথমেই যে কারো ভালো লেগে যাওয়ার কথা।
ঘুরতে ঘুরতে দেখা মিলল একটি টমটম ঘোরার যেটি করে চাইলে আপনারা পরিবার নিয়ে পার্কটি চারিপাশ ঘুরে দেখতে পারবেন। তবে আমরা লোক বেশি থাকা এটিতে চড়ার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি। এই ধরনের টমটম গাড়ি গুলো বর্তমানে বেশি একটা দেখা যায় না তবে বিভিন্ন বড় বড় পার্কে এগুলোর দেখা মিলে।
আমার সব থেকে ভালো লেগেছিল পার্কের ডাস্টবিন ব্যবস্থাগুলি। এগুলি প্রতিটি কোন না কোন এক প্রাণীর আকৃতি দিয়ে তৈরি করা যাতে করে পর্যটকরা আকর্ষিত হয়। এটি একটি শিক্ষনীয় জিনিস বলে আমার মনে হয়েছে এটির মাধ্যমে ছোট বড় সকলে নৈতিক শিক্ষা কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে যাতে করে পার্কের পরিবেশ নষ্ট না করে তারা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলতে পারে বিনোদনের সাথে। তবে অনেকেই রয়েছে যারা এগুলো দেখা সত্ত্বেও বাইরে ময়লা ফেলে পার্কের পরিবেশ নষ্ট করে। আসলে সকলের মাথায় রাখতে হবে পার্ক আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ এগুলো সংরক্ষণ ও পরিষ্কার দায়িত্ব আমাদের নৈতিক শিক্ষার মধ্যে পড়ে।
আজ এখান থেকেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে নতুন কিছু নিয়ে। ততদিন সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এটাই কামনা।
Device : Iphone X
Location : https://maps.app.goo.gl/urwBcCBjQNbadPwZ7
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ভ্রমণের প্রথম পর্ব আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন পরে খুবই ভালো লাগলো।। আসলে ফ্যামিলির সাথে যে কোন জায়গায় গেলে অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করা যায়। অনেকগুলো ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা শেয়ার করেছেন। পরবর্তী পর্ব দেখার আশায় রইলাম।।
আসলেই পরিবারের সাথে সময়টি অনেক ভালো কেটে ছিল ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মতামত দেয়ার জন্য।
মাঝে মাঝে ফ্যামিলি পিকনিক গুলো বেশ ভালোই লাগে সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আনন্দই অন্যরকমের। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের নাম অনেক শুনেছি কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারলাম দেখে ভালো লাগলো। সুন্দর ফটোগ্রাফি ও মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আশা করি যে দেখবেন খুব সুন্দর একটি জায়গা না গেলে বোঝা যায় না।
আসলেই পরিবারের সাথে যে কোন জায়গায় ঘুরতে বেশ ভালো লাগে।আগে আমাদেরও যাওয়া হতো বাবার অফিস থেকে পিকনিকে বিভিন্ন জায়গায়।গাজীপুর সাফারি পার্কে অনেক আগে যাওয়া হয়েছিল। অনেক বড় জায়গা নিয়ে তৈরি বেশ ভালোই লেগেছে। টমটম গাড়িগুলো সদরঘাট থেকে গুলিস্তানে দেখা যায়।যাই হোক ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
মাঝেমধ্যে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে ভালোই লাগে। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আমিও দুইবার গিয়েছিলাম। জায়গাটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। পার্কের ফটোগ্রাফি গুলো এবং সাথে খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পার্কে যাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পরিবারের সাথে পিকনিক করা বা ঘোরাঘুরির মজাই আসলে আলাদা। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
আসলে আমারও তাই মনে হয়, ডাস্টবিনটাকে যদি আকর্ষণীয় করা যায় তাহলে লোকজন আর এখানে সেখানে ময়লা ফেলবে না। ডাস্টবিনের সৌন্দর্যের আকর্ষণে সেখানে গিয়ে হয়তো ফেলবে।
পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মতাম দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।