|| পল্লী কবি জসিম মেলায় ঘুরতে যাওয়া ৩য় ও শেষ পর্ব। ||
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। এর আগে আমি আপনাদের সাথে পল্লী কবি জসিমেলা ঘুরতে যাওয়া ১ম এবং ২য় পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজ আপনাদের সাথে পল্লী কবি যেসব মেলা ঘুরতে যাওয়ার ৩য় ও শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে পোস্টটি ভালো লাগবে।
কিছুক্ষণ মেলায় ঘোরাঘুরির পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মেলার খাবারগুলো খেয়ে দেখার। তো আমরা মেলায় পাওয়া যাচ্ছিল এমন প্রায় সব ধরনের খাবারই খেয়ে দেখেছিলাম। যেহেতু আমি আমার পরিবার এবং আমার ছোট বোন দের নিয়ে গিয়েছিলাম তো তাদের কথা মতো প্রথমে ফুচকা দিয়েই শুরু করেছিলাম। ফুচকা স্টল টির নাম ছিল টকের হাড়ি এখানে হাড়িগুলোতে বিভিন্ন রকমের টক ছিল এবং সেখান থেকে ফুচকায় টক নিয়ে নিয়ে খেতে হচ্ছিল ব্যাপারটা বেশ মজাদারই ছিল এবং ফুচকার স্বাদ খুবই ভালো ছিল।
এরপরে ফুচকার স্টল টির পাশেই ছিল একটি আইসক্রিম রোলের দোকান। এটি একটি ভিন্নধর্মী খাবার ছিল আমাদের জন্য। এখানে গ্রামটিকে ঘুরিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফল দিয়ে আইসক্রিম বানানো হচ্ছিল যেটি খেতে খুবই ফ্রেশ এবং রিফ্রেসিং ছিল। এইডিতে একটি মিক্সড টেস্ট পাওয়া যাচ্ছিল যেটা খেতে মোটেও খারাপ লাগছিল না। এটা আবার টি আমাদের কাছে নতুন একটি খাবার হিসেবে ভালোই লেগেছিল।
যেহেতু আমাদের পল্লীকবি জসিম মেলা জানুয়ারি মাসে হয়ে থাকে সেহেতু আমরা শীতের একটি আমেজ থেকেই যায় আর তাই মেলায় শীতের পিঠা ভাবা পিঠা পাওয়া যায়। আরেকটি খাবার পাওয়া যায় সেটি হচ্ছে পাপড় আমাদের জসিম মেলার দুইটি ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে একটি হচ্ছে পাপড় এবং আরেকটি হচ্ছে ভাপা পিঠা। আমরা গরম গরম ভাবা পিঠা এবং এক প্যাকেট পাপড় কিনেছিলাম দুটিই ছিল অসাধারণ খেতে। পুরো ছোটবেলার কথা মনে হচ্ছিল।
মেলায় আরো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর আমরা ছোলা ঝালমুড়ি এবং বোরই ভর্তা খেয়েছিলাম। ছোলা এবং ঝাল মুড়িটা তেমন ব্যাতিক্রম কিছু ছিল না। সাধারণত যে ধরনের ছোলা ঝাল মুড়ি মাখা খেয়ে থাকি এটি বলতে গেলে তেমনি ছিল তবে বরই মাথাটা ছিল একটু ভিন্ন ধরনের যেটি খেতে খুবই ভালো লেগেছিল।
মেলায় আরো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর যখন সিদ্ধান্ত নিলাম বাসায় যাওয়ার তখনই হঠাৎ করে চোখ পরল এক ভিন্ন ধরনের চায়ের আয়োজনের দিকে।দেখতে পেলাম একটি মাটির ছোট পাত্রে করে চা পরিবেশন করা হচ্ছিল এই চা কে মটকা চা বলা হয়।এই চায়ের স্বাদটি ছিল একটু ভিন্ন ধরনের যেখানে কয়েক ধরনের বাদামের সমিশ্রণ পাওয়া যাচ্ছিল। চা টি খেতে আমাদের সকলের কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
বাসায় ফেরার সময় খেয়াল করলাম মেলার একটি দোকানে কিছু শুকনো খাবার বিক্রি করছে। সেখান থেকে আমরা আমাদের পছন্দমত খাবার কিনেছিলাম যেগুলো ছিল কটকটি,মরিচ ভাজা,দানাদার,নারিকেল, নাড়ু সহ আরো বিভিন্ন রকমের খাবার। এরপরে আমরা আমাদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা আমি বলবো করেছিলাম।
| এই ছিল আমার পল্লী কবি জসিম মেলায় ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়ার এক অনন্য অভিজ্ঞতা যেটি আমি ধারাবাহিক ভাবে আপনাদের মাঝে পর্ব আকারে তুলে ধরেছি। আশা করি আপনাদের কাছে আমার পল্লীকবি জসিম মেলা নিয়ে করা প্রত্যেকটি পর্ব ভালো লেগেছে। আজ বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে নতুন কিছু নিয়ে। ততদিন ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এটাই কামনা। |
|---|
Device : iphone x
সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনারা জসিম মেলায় গিয়ে বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন,যেটা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারলাম।ঘুরাঘুরি খাওয়াদাওয়া সব মিলিয়ে বেশ উপভোগ করেছেন।তারপর শেষে মাটির পাত্রের চা খেয়ে শুকনো কিছু খাবার কিনে বাড়ি ফিরেছেন।ধন্যবাদ আপনার জসিম মেলায় ঘুরতে যাওয়ার ৩য় পর্ব টি বেশ ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।
ভাই এত খাবার দেখেই তো ক্ষুধা লেগে গেল।দারুন দারুন সব লোভনীয় খাবার।ফুচকা আর আইসক্রিমটা আমার কাছে ইউনিক লেগেছে।বোঝা যাচ্ছে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি বেশ ভাল খাওয়াদাওয়া করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর খাওয়াদাওয়ার মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
আসলে মেলায় বেশ কিছু আর্কষনীয় এবং লোভনীয় খাবার দেখা যায় ৷ যেগুলো দেখলেই ক্ষুধা লেগে যায় ৷ আপনারা মেলায় ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু লোভনীয় খাবার উপভোগ করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ৷