|| হঠাৎ এক বিকালে বরই বাগানে ঘুরতে যাওয়া। || ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য।
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সকলে মহান রাব্বুল আলামিনের মেহেরবানীতে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান রাব্বুল আলামিনের রহমতে ভালো আছি।
কিছুদিন আগে চাচাতো ভাই এসেছিল ঢাকা থেকে তো চাচাতো ভাই আসলেই আমার আর তার বিভিন্ন জায়গায় মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়া হয়ে। এবারও ঠিক তেমনি ভাবে হুট করেই বিকালের দিকে দুই ভাই বের হয়ে গিয়েছিলাম ঘোড়ার উদ্দেশ্যে। আর আমরা বেশিরভাগ সময় ঘুরতে কোন না কোন গ্রামের দিকেই যাই। শহরের এই কোলাহল থেকে মাঝেমধ্যে গ্রামে ঘুরতে গেলে মনটা বেশ চাঙ্গা হয়ে যায়। তো ঘুরতে ঘুরতে হুট করে প্ল্যান করা হলো ভাইয়ের বড় ভাইয়ের বড়ই বাগানে ঘুরতে যাওয়ার। তো আর দেরি না করে আমিও রাজি হয়ে গেলাম এমন একটি সুযোগ মিস না করার।
তো সেখানে যাওয়ার পথে আমরা হঠাৎই দেখতে পেলাম একটি তামাক ক্ষেতের। তামাককে সাধারণত খুব একটা আমাদের এই দিকে চোখে পড়ে না । তবে এই তামার ক্ষেত্রে দেখে বেশ ভালো লাগছিল তামাক পাতা গুলি বেশ বড় তাইজুল হয় এবং গারো সবুজ বর্ণের হয় যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে।
তো এরপরে আমরা চলে এলাম কাঙ্ক্ষিত বরই বাগানে। ঢুকতেই দেখতে পেলাম বিশাল বড় এক ভোরের বাগান এবং প্রতিটি গাছ ভর্তি বরই। যা দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। সেখানে অনেকেই এসেছিল বরই তুলতে।
প্রতিটি বরই গাছের ডালে থোকায় থোকায় বরই ঝুলছিল যা দেখিতে খুবই লোভনীয় লাগছিল। বরই গুলি একে লাল বর্ণের হয়ে গিয়েছিল। এমন একটি বড়ই বাগানে আসলে যে কাউরি ভালো লাগবে এবং মন খারাপ থাকলেও তা ভালো হয়ে যাওয়ার কথা। আশেপাশে অনেকে এসেছিল এখান থেকে বড়ই তুলতে তো আমরাও সেখান থেকে বড় থেকে ছিড়ে নিয়ে খাচ্ছিলাম।
আমি এ সকল বরই বেশি একটা পছন্দ করি না কারণ এদের সাধ খুব একটা সুস্বাদু হয় না। তবে এ বাগানের বরইগুলো ছিল তার একদমই ব্যতিক্রম বরইগুলো যেমন রসালো ছিল তেমনি মিষ্টি ছিল। হাত দিয়ে তুলে বরইগুলো খেতে যেন আরো বেশি ভালো লাগছিল। বরইগুলো একদমই ফ্রেশ ও সতেজ ছিল। আসলে এমন বরই কার না খেতে ভালো লাগে আর যদি যদি হয় বাগানে বসে গাছ থেকে ছিঁড়ে তাহলে তার সাদ আরো বেড়ে যায়।
বেশ ভালো একটা সময় আমরা দুই ভাই এখানে অতিবাহিত করেছি এবং সকলের সাথে বেশ ভালো একটা আড্ডাও দিয়েছি। সন্ধ্যার কিছুটা আগে গোধূলি লগ্নে আমরা এখান থেকে বেরিয়ে পড়ি। সেখান থেকে বাগান মালিক ভাইয়া আমাদেরও কিছু বরই তোফা হিসেবে দিয়েছিলেন।
এই ছিল আমার হঠাৎ এক বিকেলে বরই বাগানে ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা যা আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে বস্তি বেশ ভালো লেগেছে।
তবে আজ এ পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে নতুন কিছু নিয়ে । ততদিন সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এটাই কামনা।
ফটোগ্রাফার: | @shabab7 |
---|---|
ডিভাইস: | Realme Narzo 50 |
এরকম তাজা বড়ই খেতে অসাধারণ লাগে। কারণ এগুলো অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। আর গাছ থেকে পেড়ে খেতে পারলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। আমাদের বাড়িতেও একটা বড়ই গাছ ছিল। যেটাতে বড় সাইজের বড়ই ছিল, খেতেও অনেক মজা। আমরা কাজিনরা মিলে পাকা বড়ই লবণ মরিচ মেখে খেতে বসে যেতাম।অনেক মজা হতো,কিন্তু সময়গুলো স্মৃতি হয়ে গেল🥺।
সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ে মন্তব্যটি করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি আর আপনার ভাই মিলে, বরই বাগানে গিয়ে নিজেদের হাতে বরই ছিঁড়ে খেয়েছেন। আসলে একদম তাজা বরই,আর সেটা তো অবশ্যই রসালো এবং মিষ্টি হবে।
সবার সাথে অনেকক্ষণ গল্প করেছেন। সন্ধ্যার ঠিক কিছুটা আগে আপনারা বাসায় এসেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার হঠাৎ করেই বিকেলে বরই বাগানে ঘুরতে যাওয়ার গল্পটা,অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
পোস্টটি পড়েছেন দেখে বেশ খুশি হলাম এবং সাথে সুন্দর একটি মন্তব্য পেয়ে আরো বেশি খুশি হলাম।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঘুরাঘুরির জন্য গ্রামের পরিবেশটাই পারফেক্ট। যাইহোক নিজের হাতে গাছ বড়ই পেড়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার বড়ই বাগানের মহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপনার এই মন্তব্যটি পেয়ে আনন্দিত হলাম। আপনাকে ধন্যবাদ।
ঠিক কথা ঘোরাঘুরি করতে কার না ভালো লাগে
কম বেশী সবাই ঘুরতে পছন্দ করে। শহরের কোলাহল ছেড়ে গ্রামের নির্জন পরিবেশে ঘুরতে খুবই ভালো লাগে। বরই বাগানে গিয়ে নিজের হাতে বরই পেড়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি খুবই সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন।
বড়ই বাগানের খুব সুন্দর একটি বিকেল মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সেখান থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং কুল পাড়া এবং কুল হাতে নিয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সবকিছু দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে খুবই সুন্দর উপস্থাপনা। তবে ফাস্টে ফটোগ্রাফি টা একটু খারাপ হয়েছে। আশা করি পরবর্তীতে এ বিষয়টা একটু শুধরে নেবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া।