লুডু প্রতিযোগিতায় || উইন হাওয়ার || অনুভুতি||~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।
☆꧁::.লুডু ক্লাব.::. ꧂☆
বন্ধুরা কোন এক সময় খুব বেশি লুডু খেলতাম। লুডু আমার একটি প্রিয় খেলা। ছোটবেলায় লুডু খেলায় যখন হেরে যেতাম তখন একা একাই খুব কান্না করতাম। এখনো সেইসব স্মৃতি মনে হলে একা বসে হাসি। আমাদের পাশের বাসায় মামা-মামী ছিলেন তারাও খুব বেশি লুডু খেলতেন। মামা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। স্কুল থেকে এসে মামির সাথে বাকিটা সময় লুডু খেলেই কাটাতো। মজার বিষয় মামী যখন খেলায় জিতে যেত। এবং মামা যখন হেরে যেত, ঠিক তখনই মামীর গালে মারতো মামা । আর রেগে গিয়ে বলতে লাগতো এত খেলিস,, এত খেলিস,, মামি তখন বিরক্ত হয়ে খেলা ছেড়ে উঠে যেত।এভাবে লুডু খেলা নিয়ে অনেক স্মৃতি আছে জীবনে। অনেকদিন ধরে আর লুডু খেলা হয় না।আমার বাংলা ব্লগে যখন রাত জেগে রোল করেছিলাম।সেই খেলায় তেমন তৃপ্তি ছিল না আতংক থাকতো মনের ভেতর। কে কার আগে রোল করবে এ নিয়ে একটা প্রতিযোগিতা ছিল।
কিছুদিন আগে আমার এক কবি বন্ধু লুডু ক্লাবে আমাকে ইনভাইট করেন। মূলত এর আগে কখনোই লুডু ক্লাবে আমি লুডু খেলি নাই। প্রথম যেদিন ওই ভাইয়ার সাথে লুডু খেললাম সেদিন আমি জিতে গেলাম। সেদিনের অনুভূতিটা সেই রকমের। তারপর থেকে সুযোগ পেলেই একটু খেলতে আসতাম।আজ দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর মনটা একটু কেমন লাগছিল। তাই লুডু ক্লাবে গিয়ে লুডু খেললাম পাপ্পু ভাইয়ার সাথে। মূলত প্রথম ৬ হয়েছিল পাপ্পু ভাইয়ার।উনিও বেশ ভালোই খেলেন। তবে আমিও যে খুব মন্দ খেলি তা কিন্তু নয়।দুজনের প্রায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছিল। উনি আমার গুটি বার বার খাচ্ছিল। তবে আমিও শেষ পর্যন্ত উনার গুটি অনেকবার খেয়েছি।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর একপর্যায়ে, আমার তিনটা গুটি উঠে যায়। কিন্তু পাপ্পু ভাইয়া এখন পর্যন্ত একটা গুটি ও উঠে নাই। তারপরেও কেউ কিন্ত হার মানছি না। এরপর যুদ্ধ করতে করতে আমার চার নম্বর গুটি টিও ঘরের মধ্যে ঢুকে যায়। এবং আমি উইন হয়ে যাই।আজকের এই গেমটি খেলে আমি দারুন উপভোগ করেছি। এতটাই বিনোদন পেয়েছি যে আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। সেই পুরনো দিনের অনেক স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগলো। যাক সেসব কথা।যে কোন খেলা কিংবা প্রতিযোগিতায় হার-জিত থাকবেই। যেমন আগে হেরে গেলে খুব জেদ হতো। এখনো হয় তবে অল্পস্বল্প। বন্ধুরা মাঝে মাঝে লুডু খেলতে কিন্তু মন্দ লাগে না। লুডু আমার প্রিয় একটি খেলা। তবে অনেক বছর পর নতুন করে ইদানিং আবার খেলা শুরু করেছি লুডু ক্লাবে।
বন্ধুরা লুডু ক্লাবে এখন পর্যন্ত অনেকগুলো দেশের বন্ধুদের সাথে খেলার সুযোগ হয়েছে। তাদের সাথে খেলার ছলে ছলে চ্যাটিং করতেও বেশ মজা লাগে।যাইহোক আজকে লুডু খেলার চরম উত্তেজনা মূলক
অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে অনেক বেশি ভালো লাগলো। তো বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে আজকের মত বিদায় নিব। আপনারা সকলেই সব সময় ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথেই থাকবেন। এই আশা ব্যক্ত রেখে।শুভ রাত্রি। টা টা,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
একটা সময় প্রচুর লুডু খেলতাম এবং ভীষণ উপভোগ করতাম খেলাটা। এখন আর তেমন সময় পাইনা, তবে মিস করি এটাকে। আপনি টানটান উত্তেজনায় আপনার প্রতিপক্ষকে হারিয়েছেন জেনে ভীষণ খুশি হলাম। অভিনন্দন জানাই আপনাকে।
আপু সব খেলার মধ্যে হারজিত আছে। তবে যে কোন খেলায় জিততে পারলে অনেক ভালো লাগে। আপনার পাশের বাসায় মামা এবং মামি তারা লুডু খেলে বাসায় আসলে। হেরে গেলে অনেকে নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারে না যেমন আপনার পাশের বাসা মামা টি। তবে শুনে ভালো লাগলো ক্লাবে গিয়ে লুডু খেলা আপনি জিতেছেন। এবং অনেক সুন্দর করে অনুভূতিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।