অনুপ্রেরণামূলক// জীবন থেকে নেয়া// "আত্মকথা// ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য।"

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)



আসসালামু আলাইকুম /আদাব



20220129_020316.jpg




শী শীতের উষ্ণ শুভেচ্ছা সবাইকে। আশা করি সকলেই ভাল আছেন। যদিও বর্তমান সময়ে সুস্থ থাকা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের জন্য মহান বিধাতার কাছে আকুল আবেদন করছি আল্লাহ আমাদের সবাইকে তুমি তোমার হেফাজতে রেখে সুস্থতা দান করো।আমিন


dropshadow_1643400317823.jpg


ন্ধুরা আপনাদের অনেকের অনুরোধে আজ আমি আবারও আমার জীবন থেকে নেয়া "আত্মকথা" অংশবিশেষ তুলে ধরবো।জানি ব্যথিত হবেন তবে অনুপ্রেরণা পাবেন ব্যাপক। আমার আত্মকথা পরে প্রথম পর্বে অনেকেই কেঁদেছেন অনেকেই মর্মাহত হয়েছেন।দ্বিতীয় পর্বে হয়তো আরও বেশি আঘাত পেতে পারেন তাই আগেই অনুরোধ করছি প্লিজ ব্যথিত হবেন না কান্না করবেন না কারণ আমি সকলের মুখে হাসি দেখতে চাই।তবে বাস্তবতা কঠিন নিষ্ঠুর আজকে আরো ভালো করে অনুধাবন করতে পারবেন


আত্মকথা

আত্মকথা দ্বিতীয় পর্বে আবারও স্বাগত।জীবন বড়ই বিচিত্র।আর এই বিচিত্র জীবনের বৈচিত্রতা একেক জনের জীবনে এক এক রকমের। শুনেছি সংসারজীবন নাকি হাসি কান্না আনন্দ বেদনা নিয়ে সাজানো পরিপাটি থাকে সবার জীবন।কিন্তু আমার জীবনের গতিপথ একবারই ভিন্নতর
এখানে শুরুতেই একটা কথা বলে নেই আমার জীবনের এক একটা দিন মানে এক একটা গল্প, এক একটা উপন্যাস, এক একটা নাটিকা হবে।
আমার বিয়ে ঠিক দুই দিন পর, আমাদের সমাজের রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী মেয়ের বাবার বাড়ি থেকে লোকজন নিতে আসে।তাই সেই প্রথা অনুযায়ী আমাকেও নিতে আসলো আমার আত্মীয় স্বজনেরা।খাওয়া-দাওয়া শেষ হয়ে যখন চলে যাওয়ার সময় এলো ঠিক তখন সবাই বলল শাশুড়ি মায়ের পা ছুঁয়ে সালাম করতে হয়।ওরা আমাকে শাশুড়ি মাকে সালাম করার জন্য শিখিয়ে দিল।যে মানুষটাকে আমি দাদি ডেকেছিলাম সে মানুষটাকে মা ভাবতেও অনেকটা কষ্ট হচ্ছিল।যাই হোক সে সব কষ্ট চেপে রেখে আমি ঠিক ওনাকে সালাম করতে গেলাম।যেই ওনাকে মা বলে ডেকে পায়ে সালাম করার জন্য হাত দিয়েছি সেই উনি উনার পা দিয়ে আমাকে লাথি মেরে ফেলে দিলেন। আর চোখগুলো বড় বড় করে কর্কশ কন্ঠে বলে উঠলেন তুই কোনদিন কখনো আমাকে মা বলে ডাকবি না তোর মত এতোটুকু পিচ্চিকে আমি আমার ছেলের বউ বলে মানি না। যদি আজকেরে এই লাথির কথা তোর মনে থাকে তাহলে আর কোনদিনও আমাকে মা বলে ডাকবি না।কথাটা মনে থাকে যেন।বিশ্বাস করুন সেদিন যে পরিমাণ ভয় আর আতঙ্ক আমাকে ঘিরে ধরেছিল সেই আতঙ্ক আজও বয়ে বেড়াচ্ছি নীরবে।তবে এটা ঠিক ওই মহিলাকে পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন সবাই বেশ ভয় পেত।কারণ তিনি ছিলেন খুব কঠিন এবং জটিল মানুষ।।সেদিনও আমার আত্মীয় স্বজনেরা অনেকেই দেখেছে এই কাহিনীটা।

dropshadow_1643400378478.jpg

শাশুড়ির সাথে সংসার জীবন শুরু হল লাথি দিয়ে।তারপর আমার বড় বোন আমাকে হাত ধরে টেনে তুলে সেখান থেকে নিয়ে এল।আর এভাবে বলছিল মানুষ এমন ডাইনি হয়।সেদিন আমার বড় বোন আমাকে জড়িয়ে ধরে খুব কেঁদেছিল।যাক সেসব কথা।তখন থেকে বেশিরভাগ সময়টা বাবার বাড়িতেই ছিল দু মাস।কিন্তু যেদিন শুনতে পেয়েছিলাম আমার কোল জুড়ে সন্তান আসছে সেদিন থেকেই ওদের বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নিই। কারন আমি আমার বড় ভাইকে খুব লজ্জা পেতাম।ওর সামনে বের হতে আমার ভীষণ লজ্জা লাগত। ওদের ছিল যৌথ পরিবার চাচা চাচী চাচাতো ভাই বউ ওরা অনেক বড় একটা বাড়ি।অনেক মানুষ ছিল সেখানে।যিনি আমার শশুর ছিলেন তিনি যুদ্ধের সময় মারা গেছেন।আমার শাশুড়ি চারটা বাচ্চাকে মানুষের ভাষায় আরবি পড়িয়ে তারপর মানুষ করার চেষ্টা করেছে।সেখান থেকে আমার শাশুড়ির প্রতি আমার আলাদা একটা শ্রদ্ধাবোধ কাজ করতো।কিন্তু আমি যখন ওদের বাসায় থাকতে ধরলাম তখন বাসায় আর কাউকে দিয়ে কোন কাজ করা হতনা। সব কাজ আমাকে দিয়ে করানো হতো। আমি কাজ করতে দেরি হলে, কিংবা কোন কাজ না পারলে আমাকে চুলের মুঠি ধরে মারত।উনাকে সকাল ছয়টার সময় সকালের নাস্তা দিতে হতো ফজরের নামাজ পড়েই যদি নাস্তা সামনে না পেত তাহলে আমাকে আর আস্ত রাখত না।এবং ওনারা গোসল করতো কুয়ার পানি দিয়ে।তখন উনাদের বাসায় চাপকল ছিল না।প্রতিদিন পাশের বাসা থেকে খাবার পানি এবং রান্নার পানি তুলে আনতে হতো।এবার আমার শাশুড়িকে এবং চাচা শশুর কে প্রতিদিন গোসলের পানি তুলে দিতে হতো কুয়া থেকে।এত ছোট মানুষ গর্ভে বাচ্চা নিয়ে এত কাজ করতে করতে আমি হাপিয়ে যেতাম।জীবনে কখনো কুয়া থেকে পানি তুলে নেই কিন্তু ওনাদের বাসায় এসে আমাকে সেই কাজটি পর্যন্ত করতে হচ্ছে।প্রতিদিন শিলপাটায় ডাল এবং মশলা বাটতে হত।প্রায় 10 জন মানুষের রান্না করতে হতো আমাকে।তাছাড়া সন্ধ্যার পর শাশুড়ির মাথায় তেল দিয়ে দিতে হতো হাত-পা তেল দিয়ে মালিশ করতে হতো।একদিন ভোরবেলা উঠতে পারছিলাম না খুব কষ্ট হচ্ছিল আমার চা করতে দেরি হয়েছিল বলে শাশুড়ির চুলের মুঠি ধরে আমাকে দুই গালে চড় থাপ্পড় দিতে লাগলো।সেদিন খুব ব্যথা পেয়ে অনেক কাঁদতে ধরছিলাম।বাসাটা ছিল রাস্তার ধারে।আমি গেটের কাছে কাঁদতে ধরছিলাম সে সময় আমার মেজো ভাই ওই দিক দিয়ে যাচ্ছিল।ও রিকশা দাঁড় করিয়ে আমাকে বলল কি হয়েছে করতেছিস কেন আমি বললাম বাবু আমি বাড়ি যাব আমার ভালো লাগছে না।ও কিছু না বুঝেই রিকশা থেকে নেমে আমাকে বলল এই রিক্সায় উঠ বাসায় যা।আমিও রিক্সায় উঠে বাড়িতে চলে গেলাম ওদের বাড়ি আর আমাদের বাড়ি খুব বেশি দূরে না অনেক কাছেই।কিন্তু আমি যখন কাঁদতে কাঁদতে বাসার গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম তখন আমার বাবা বাইরে বসে ছিল বারান্দায়।আমার চোখে পানি দেখে বলল কি হয়েছে তোর এত সকালে কেন আসলি? বাবা ঠিক গেটের কাছে আমাকে থামিয়ে দিলো এবং বলল আর ভেতরে আসবিনা।আমি কি তোকে এই শিক্ষা দিয়েছি যে শ্বশুরবাড়ি কাছে হলেই কিছু হলে চলে আসতে হবে।বাবা আমার হাত ধরে আবারো নিয়ে গেল ওই বাড়িতে।সেদিন বাবার নিষ্ঠুর আচরণ আমাকে অনেক ব্যতীত করল।এবং পরে আমাকে কোলে নিয়ে বলছিল মা জীবনে অনেক চড়াই-উতরাই আসবে সবার জীবনে আসে এগুলোকে মেনে নিয়ে মানিয়ে চলতে হয়।আমি তোর কাছে আশা করবো তোর আচরণে শশুর বাড়ির কেউ যেন কষ্ট না পায় এটা আমার আদেশ।আর মনে রাখবা শ্বশুরবাড়িতে কিসের দিনে বের হবা সেদিন সাদা কাফন গায়ে উঠবে।এটাই আমাদের বাঙালিদের স্বভাব।তবে আমার বিয়ের পর থেকে আমার বাবা অনেক অসুস্থ হয়ে যায় কিন্তু বাইরে থেকে সেটা আমাকে বুঝতে দিত না।22 জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বারই রমজান,, অনেক কাপড় কে এসেছে রান্নাবান্না করেছি সবাই কে খাইয়েছি।বাসন মাজতে গিয়ে হঠাৎ আমার তলপেটে এবং কোমরে ভীষণ ব্যথা হচ্ছিল।কাকে বলব বুঝতে পারছি না।আমার চাচাতো দেবরের বউ যে কে আমি ভাবি ডাকতাম,,,ভাবি কে ডেকে বললাম ভাবি আমার ভীষণ ব্যথা হচ্ছে কি করবো বুঝতে পারছিনা।ভাবি আমার শাশুড়িকে বললে তিনি কোন রেসপন্স করলো না বলল আমি কিছু জানিনা আমি কি ডাক্তার।আর এদিকে সেই ভদ্রলোক দেখেও না দেখার ভান করে চলে গেল।আমার ব্যথা যখন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল ঠিক তখন ভাবি আর নিজেকে সামলাতে না পেরে আমাকে নিয়ে মাতৃসদনে গেল একটা রিক্সা করে।সেদিন ওই ভাবি ছাড়া আমার পাশে আর কেউ ছিলনা।প্রচন্ড শীতের রাত মাতৃসদনে কোন রোগী নেই একমাত্র রোগী আমি।কোন অভিজ্ঞ ডাক্তার ছিল না।শুধু দুজনার ছিল কিন্তু তারা আমাকে ভর্তি নিতে চায়নি কারণ আমার বয়স ছিল অনেক কম এবং সেখানে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল না।তবে আমি সেখান থেকে আর সদর হাসপাতালে যেতে চাইনি।আমার বাবার বাড়িতে কেউ খবর দিল না যে আমি অসুস্থ।গভীর রাত তিনটার দিকে যখন সবাই সেহরি খেতে উঠতে ঠিক তখন প্রচন্ড ব্যাথায় আমি কাতর হয়ে যাচ্ছিলাম কিছুক্ষণের মধ্যেই সিয়াম আমার কোল জুড় আসলো।।যখন আমি ওর মুখটা দেখতে পেলাম সব কষ্ট মুহূর্তেই মলিন হয়ে গেল।এরপর সকলে আমার মা সহ অনেকেই আমাকে দেখতে গেলেন।মা আমাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে আমি মায়ের সাথে যেতে রাজি হলাম না এক বাবার সেদিনের সেই আচরণ এবং 2 আমি আমার বড় ভাইকে ভীষণ লজ্জা পেতাম।।তবে একটা জিনিস খুব মিস করেছিলাম যখন আমি যন্ত্রণায় কাতর আমার খুব ইচ্ছে করছিল কেউ যদি আমার মাথাটা একটু হাত বুলিয়ে দিত হয়তো এতটুকু হলেও প্রশান্তি পেতাম।।কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আমাকে এতটাই বাস্তবতার মুখোমুখি ঠেলে দিয়েছিল যে,,কারো আদর ভালোবাসা সহানুভ কিছুই যেন আমার জন্য নয়।।সেদিন আমার বাবা ছিলেন ভীষণ অসুস্থ।মা একাই সব কাজ করতেন বাড়ির।তাই অনেক কিছু চিন্তা-ভাবনা করে ভাবির সাথে আবার সেই শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসলাম।।

তবে সেদিন থেকে আমার জীবন হয়ে উঠল নরকীয়।আমাকে এমন একটি ঘরে বিছানা করে দেয়া হলো যেখানে কোন মানুষ থাকার পরিবেশ ছিল না।বাসের মাচানের ঘরের মধ্যে দুটো ড্রাম বিছিয়ে,,ওর উপরে বিছানার চাদর দিয়ে আমাকে থাকতে দেয়া হল।এত তীব্র শীতে মাত্র একটি কাঁথা গায়ে দেয়ার জন্য।চারিদিকে বেড়ার ফুটো দিয়ে হিমেল বাতাসে যেন শুধু কাঁপতেছিলাম।।সেই যে ভাঙ্গা ঘরে আমাকে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়া হলো আমার মুখ নাকি কারো দেখা যাবে না পাপ হবে।আমি নাকি পুরো নাপাক হয়ে গেছি।আমার বাবা-মা থেকে শুরু করে অন্য কোন মানুষের সামনে আমাকে হতে দিত না।শুধু সময়মতো তালা খুলে আমাকে বাথরুম এ নিয়ে যেত আর খাবার দিত।যখন বাথরুমে নিয়ে যেত তখন ইয়া বড় ঘোমটা দিয়ে আমার মুখটা ঢেকে দিত।এবং বাড়ির সব মানুষ তখন ঘরে ঘরে ঢুকে যেত কেউ যেন আমাকে দেখতে না পায়।হ্যাঁ এটা বেশি দিনের কথা নয় মাত্র 2000 এর ঘটনা।এত কুসংস্কারের বেড়াজালে আমাকে আটকে রেখেছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

IMG_20220129_014121.jpg

আমাকে একটা ছোট স্টিলের বাটির মধ্যে অল্প একটু ভাত আর সেইসাথে তিলের ভর্তা,,ও কালোজিরার ভর্তা দিয়ে খেতে দেয়া হতো যে ভাবটি তিন থেকে চার লোকমা হতো না।ঠিক যতটুকু পরিমাণে মানুষ মুরগি কি খেতে দেয়।পুরো দশ দিন তারা আমাকে এভাবে খাইয়েছে খুদায় আমি চিৎকার করতাম।বাবা আমাকে দেখতে আসত মা দেখতে আসত কিন্তু কারো সাথে আমার দেখা হতে দিত না। কথা বলতে দিত না।নিজেই ছিলাম শিশু আরেকটা শিশুকে একা একা সামলানোর সেটা কত কষ্টের,,, তা কোন ভাষা প্রয়োগের মাধ্যমে আমি আপনাদের বোঝাবো।আমার বাবা-মা আমার শ্বাশুড়ির কাছে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করতে একটাবার মেয়েটার মুখটা আমাকে একটু দেখতে দেন বাচ্চাটাকে একটু দেখতে দেন বেয়ান।কিন্তু পুরো দশ দিন পর্যন্ত উনি আমার সাথে ঠিক এইরকমই বিহেভ করেছে কারো সাথে আমার দেখা হতে দেয়নি।একপর্যায়ে আমার বাবার ডুকরে ডুকরে কেঁদে ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছে।আর আমি ড্রাম এর মধ্যেই শুয়ে এত বেশি ব্যথা পেতাম যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।একদিকে বাচ্চা সামলানো অন্যদিকে খুদার জালা শীতের তীব্রতায় আমি যেন মহাদুর্যোগে দগ্ধীত হচ্ছিলাম।চিত্কার করে কেঁদে কেদে বলতাম আল্লাহ আমাকে শক্তি দাও,, আমার বাচ্চাটার জন্য হলেও আমাকে শক্তি দাও,, বেঁচে থাকার শক্তি দাও,, প্রতিবেশীরা আমার কান্না শুনে তারাও মর্মাহত হত।কিন্তু ওই মহিলার মুখে মুখে কথা বলার দুঃসাহস কারও ছিল না।এত কষ্ট যেন পশুর হিংস্রতা কেও হার মানায়,,,,,এত নিষ্ঠুর বর্বরতা আমার সাথে কেন কেউ কি বলতে পারেন?
কি অপরাধ ছিল আমার??12 বছরের একটি শিশুর সাথে এ। কেমন নির্যাতন। এত কিছু সহ্য করার কি বয়স তখন হয়েছিল আমার??কি মনে হয় আপনাদের?? এরচেয়েও সামনের দিনগুলো আরো বেশি ভয়ঙ্কর হয়েছিল,,,,,চলবে,,,,,

dropshadow_1643400378478.jpg

গল্পের বাকি অংশ আপনারা জানতে চাইলে কমেন্ট করে আমাকে জানিয়ে দিয়েন আমি লিখব যত কষ্টই হোক আমি লিখব।20 থেকে 21 বছরের গল্প।কতটুকুই বা আপনাদের জানাতে পারবো। শুধু নির্যাসটুকু দেয়ার চেষ্টা করব।

dropshadow_1643400513123.jpg

dropshadow_1629707620635.jpg

আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।




3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpq77jw4XPQMecE5Rz5bgPEz1Z1oZLbNW5N67oF5YfojwgQAL2FYSdD4RtUiqqjd7JEiagRSFFDh1UcFPpKDSFF7LXFTUzQazXN5piXY.png


🌼ধন্যবাদ🌼

Sort:  
 2 years ago 

আগুনে পুড়ে আপনি এখন খাঁটি সোনা।

 2 years ago 

খুবই ব্যথিত হচ্ছি যতই পড়ছি। আগের সমাজটা কতইনা কুসংস্কারের মধ্যে ডুবে ছিল। আর যাদের জন্য আপনার এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল তাদের জন্য ঘৃণা। মা হওয়ার প্রথম সময়গুলোতে আপনি যে কতটা অসহনীয় কষ্ট সহ্য করেছেন, তা ভেবেই গা শিউরে উঠছে। সেই কঠিন সময়ে যুদ্ধ করে আপনি কিভাবে এই পরিস্থিতিতে আসলেন সেই গল্পটা শুনতে আমি অপেক্ষায় থাকলাম।

স্যালুট বোন।।।।।।

 2 years ago 
অবশ্যই সেই গল্পটা নিয়ে আপনার সামনে হাজির হব আজকের এই আমি।যদি বেঁচে থাকি।তবে আমি এতটুকু বলতে পারি এই গল্পটা অনেকের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে♥♥
 2 years ago 

আপু আপনার জীবনের গল্প পরে খুব কষ্ট লাগলো। সত্যি আপু নারী জীবন খুব কষ্টের।আপু আপনার জীবনের গল্প পড়লে চোখের জল ধরে রাখা যায় না। আপু আপনার জীবনের বাকি গল্প পড়তে চাই। শাশুড়িরা তার ছেলের বউ দের নিজের মতো দেখলে এমনটা করতে পারতো না।আপু আপনি এত কষ্ট সহ্য করে যে এখনও ভালো আছেন এবং ভালো থাকুন এই কামনা করি আপু।আপনার জীবন সংগ্রাম কে আমি স্যালুট করি।আপনাকে কি বলে সান্তনা দিবো বুঝতে পারছি না। শুধু চাই আপনার কষ্টের একটু ভাগ নিতে আপু।আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

 2 years ago 

এমন নিষ্ঠুর জীবনের গল্প,,যে গল্প শুনলে শুধু চোখে পানি আসে।নিশ্চয়ই গল্পের বাকি অংশ লেখার জন্য চেষ্টা করবো যদি বেঁচে থাকি।এভাবেই পাশে থাকুন এটাই আমার পরম পাওয়া।ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। শুভকামনা দিদিমণি♥♥

 2 years ago 

আপু আপনার পাশে আছি। আপনি সারাজীবন বেচেঁ থাকুন এই কামনা করি।❤️❤️❤️

 2 years ago 

সত্যি বলতে এই কথাগুলো বুকে তীরের মত গেথে গেল।২০০০ সালে এসেও মানুষ এত কুসংস্কারে বিশ্বাসী আর এত নির্দয় হতে পারে,একটি শিশুকে এভাবে নির্যাতন করতে পারে ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে।তিনি কি কখনো মা হন নি,নাকি তার কাছে বাচ্চার কোনো দাম নেই।যাই বলি না কেন,তাদের এই নির্মম আচরণে আমার এতটুকুও শ্রদ্ধাবোধ নেই তাদের প্রতি। আপনার জীবনের এই কাহিনী আমাদেরকে এতটাই ব্যথিত করতেছে যা হয়ত আপনার সেই কষ্টের দিনের ১ সেকেন্ডের সমপরিমাণও হবে না।কিন্তু তাদের এই নিকৃষ্টতা কতটুকু করতে পেরেছে আমার জানার ইচ্ছা অনেক,পরবর্তী সময়গুলো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। আর সবসময় চাই আপনি খুব খুব ভালো থাকুন।

 2 years ago 
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আপনারর প্রতি যেভাবে সহমর্মি হয়েছেন এভাবেই পাশে থাকুন আর সেটাই হচ্ছে আমার জীবনের আরেকটি শ্রেষ্ঠ পাওয়া নিশ্চয়ই জীবনের বাকি অংশ লেখার চেষ্টা করব পর্ব আকারে♥♥
 2 years ago 

সে সময়ে আপনার সাথে ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটি ঘটনায় খুব মর্মান্তিক। সত্যি আপনার জীবন নাটক কিংবা উপন্যাস থেকে কোন অংশে কম নয়। আপনি সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ছি আর আঁতকে উঠছি। কিভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে এতটা অত্যাচার-অবিচার করতে পারে। আমি চাই আমাদের সমাজের প্রতিটা নারী আপনার মত সংগ্রামী হোক।

অধীর আগ্রহে আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি। জানতে চাই কিভাবে আপনি আপনার পরবর্তী সময়গুলো পার করেছেন।

 2 years ago 
চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে সহমর্মিতা প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাইয়া♥♥
 2 years ago 

যতই পড়ছি অনুপ্রাণিত যতটা না হচ্ছি লজ্জিত হচ্ছি বেশি।আপনার জীবন বৃত্তান্ত সিনেমার থেকেও কম কিছুতে নয়।সিনেমায় যা অভিনয় ভেবেছি টা আজ বাস্তবে পড়ছি।আমি যদি কোনো ডিরেক্টর হতাম এরকম মহীয়সী নারীকে নিয়ে একটি মুভি বানাতাম।যাইহোক আপনার হাত ধরেই আপনার মত মহীয়সী নারির হাত ধরেই পরিবর্তন হোক এই সমাজের এই দেশের এবং আরো দশজন নারী আপনার থেকে শিক্ষা নিক।এবং আমাদের মত মাথা মোটা পুরুষদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এই চাওয়া।🤟🖤🖤

 2 years ago 

চল বদলে যাই,,,,,
♥♥

 2 years ago 

আপনার জীবনের গল্পটার চেয়েও বাস্তবতায় অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার প্রতিটা লেখার চেয়েও বাস্তব জীবনটা অনেক মর্মস্পর্শীভাবে অনুভূত হচ্ছে। চোখের জল চাইলেও আটকানো যায় না। আমি ধিক্কার জানাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের এমন কুসংস্কারকে। আপনার জীবন সংগ্রাম কে আমি স্যালুট জানাই। শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে আজ একজন অনুপ্রেরণীয় সফল মানুষ হিসাবে শ্রদ্ধা সম্মান চিরদিনের জন্য রইলো। আমি দুঃখিত মা,এমন ঘুনে ধরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একজন পুরুষ হিসেবে।

 2 years ago 
খুবই চমৎকার উপলব্ধির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভালো থাকবেন সব সময় পাশে থাকবেন।অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য♥♥
 2 years ago 

পাশাপাশি ভালবেসে যেতে চাই,থাকতে চাই মমতাময়ী স্পর্শ নিয়েই।

 2 years ago 

♥♥

 2 years ago 

ভালবাসা রইলো শ্রদ্ধেয়।

 2 years ago 

সীমাহীন ভালোবাসা
♥♥

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

জীবনের গল্প পড়ে খুবই কষ্ট পেলাম। সত্যি কথা বলতে নারী জীবন খুবই কষ্টের। প্রতিটি পদক্ষেপে কষ্ট পেতে হয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এতটাই খারাপ যে শ্বশুরবাড়িতে নারীদেরকে মানুষ বলে মনে করা হয় না। তারা যদি ছেলের বউকে নিজের মেয়ের মতো দেখতে তাহলে হয়তো এতটা কষ্ট দিতে পারত না। যাইহোক আপু আপনি সব কষ্টগুলোকে সহ্য করে এখনো ভালো আছেন এবং ভালো থাকবেন এই কামনাই করছি।

 2 years ago 
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপু জীবনের গল্পে সাথে থাকার জন্য♥♥
 2 years ago 

আপু,সত্যিই নির্মম।যেগুলো আমরা টিভির পর্দায় দেখি সেগুলিই বাস্তবে আপনার সঙ্গে ঘটেছে।সত্যিই মন খারাপ হয়ে গেল।😢তবুও ভগবানের অশেষ কৃপা আপনি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উচিত জবাব দিয়েছেন ওদেরকে।আমরা আপনার জীবনের বাকি গল্প ও জানতে চাই ,সবমিলিয়ে আপনার দ্বিতীয় সন্তানসহ সবকিছু।হয়তো আপনার দুঃখের দিনটি পার হয়ে গেছে,কিন্তু মনে কষ্ট রইয়ে গেছে।তবে আমরা আপনাকে এখন সান্ত্বনা দিয়ে ছোট করতে চাই না, আপনার কষ্টগুলি ভাগ করে নিতে চাই।অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ও সম্মান রইলো আপনার প্রতি💝💝

 2 years ago 
আমি চেষ্টা করব আমার জীবনের বাকী গল্পের অংশবিশেষ আপনাদেরকে শোনানোর জন্য♥♥
 2 years ago 

কিছু বলা বা লেখার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কি লিখবো ভেবে পাচ্ছিনা। মানুষ এতোটাই পাষাণ হয় কিভাবে। একজন নারী হয়ে আরেকজন নারীকে কিভাবে এত কষ্ট দেয়। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক আপু। ভালো থাকবেন। আর আপনার জীবনের আত্মকথা গুলো শেয়ার করবেন।

 2 years ago 
খুবই চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা♥♥

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 59367.33
ETH 3172.01
USDT 1.00
SBD 2.43