"উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বানে"|| স্বরচিত কবিতা||~~
কবিতা
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আবারো একটি স্বরচিত কবিতা নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের কাছে আজকের কবিতাটি ও ভালো লাগবে, আমাদের দেশে কোঠা সংস্কার আন্দোলন দেখে, আজ আবারও মনের ভেতর উদয় হচ্ছে- আমরা লেখাপড়া শিখেই সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরির দিকে না যুগে উদ্যোক্তা হতে পারি। কিংবা আমরা উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য নানা রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি।
আমি খুব ছোটবেলায় পড়েছিলাম শিক্ষার উদ্দেশ্য ফল চাওয়া নয় ফলতে চাওয়া।
আর তাই আমি আহবান করছি আসুন আমরা সকলে মিলে, সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করি।
এবং ঘরে ঘরে তৈরি করি সফল উদ্যোক্তা। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই আমার আজকের এই স্বরচিত কবিতা। আমিও পারি।আমাকেও পারতেই হবে। এই সুপ্ত শব্দগুলোকে বিকশিত করি।
কবিতা- "সফল উদ্যোক্তা"
কলমে- সেলিনা সাথী
জীবনের প্রতিটি ধাপেই থাকে নানান চ্যালেঞ্জ
কিন্তু সাহসী মন সবসময় নতুন পথে হাঁটে।
আমাদের সমাজে সফল উদ্যোক্তাদের কাহিনী
যেন, একেকটি জাগ্রত প্রদীপ।
মনে রেখো তোমার মাঝে সেই আলো জ্বালাতে হবে
এবং জ্বলে উঠতে হবে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো।
জীবন এক বিরাট সাগর, যেখানে সৃষ্টির বিশাল সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে, সেই সম্ভাবনাকে
তোমাকেই বাস্তবে রূপ দিতে হবে।
একজন উদ্যোক্তা হতে হলে স্বপ্ন দেখার
সাহস প্রয়োজন, বড় স্বপ্ন দেখা মানে
বড় কাজের পথ চলা। আর তুমি যে স্বপ্ন দেখছো, সেটাই হবে তোমার ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। সৃষ্টিশীলতা, উদ্যোগ, আর পরিশ্রমের সমন্বয়ে
গড়ে ওঠে একজন সফল উদ্যোক্তা।
তোমার মনকে প্রশ্ন করো, কীভাবে তুমি
নিজের এবং অন্যদের জীবনে
চমৎকার পরিবর্তন আনতে পারো -?
কীভাবে তুমি নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারো?
এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই
তুমি উদ্যোক্তা হওয়ার পথে এগিয়ে যাবে।
ঝুঁকি নিতে শেখো, কারন ঝুঁকি ছাড়া
জীবনে বড় কিছু অর্জন করা যায় না।
ভয়কে জয় করো, কারণ ভয়ই
তোমার পথের সবচেয়ে বড় বাধা।
আমাদের এই সমাজে এখনও অনেক
সীমানা ভাঙার বাকি,মনে রেখো তোমার হাতেই
আছে সেই অসীম ক্ষমতা।
উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে তুমি, হতে পারো
সমাজের পরিবর্তনকারী উদিয়মান শক্তি।
নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে সামনে এগিয়ে যাও, তোমার চেষ্টা নিশ্চয় একদিন
সফলতা এনে দেবে তোমার দ্বার প্রান্তে।
তোমার ভেতরের সেই জ্বলন্ত আগুনকে
জ্বালিয়ে রাখো, কখনো নিভতে দিও না।
কারণ সেই আগুনই তোমাকে অনুপ্রাণিত করবে, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে উদ্যমী হও,
উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান গ্রহণ করো।
সামনে এগিয়ে যাও, নতুন দিগন্তের পথে হাঁটো।
কারণ তোমার সফলতা অন্যদের জন্যও
হতে পারে অনন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক।
এগিয়ে চলো, সৃষ্টির পথে,, উদ্যমী হও,
উদ্যোক্তা হও, সৃষ্টির উল্লাসে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
১২ জুলাই ২০২৪
সময় দুপুর ৩:৩০
বরপা রুপসি রুপগঞ্জ- নারায়ণগঞ্জ।
🥀 বিশ্লেষণ:- 🥀
এই কবিতাটির মাধ্যমে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথে সাহস, উদ্যম এবং সৃষ্টিশীলতার গুরুত্বকে দারুণভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ।
এটি প্রেরণাদায়ক ও উদ্বুদ্ধকারী। এখানে কবিতাটির কিছু বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
চ্যালেঞ্জ ও সাহস: জীবনের প্রতিটি ধাপে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা একজন উদ্যোক্তার জন্য অত্যন্ত সত্য। সাহসী মন নতুন পথে হাঁটে, এই মন্ত্রই একজন উদ্যোক্তাকে তার স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।
সফল উদ্যোক্তাদের কাহিনী: সমাজে সফল উদ্যোক্তাদের কাহিনী প্রদীপের মতো আলো ছড়ায়। এটি তাদের প্রভাব এবং উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে।
স্বপ্ন ও সাহস: একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে বড় স্বপ্ন দেখার সাহস প্রয়োজন। স্বপ্নই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। সৃষ্টিশীলতা, উদ্যোগ এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা অর্জনের কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ও সৃষ্টিশীলতা: নিজেকে প্রশ্ন করে নতুন কিছু সৃষ্টির পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই ধরনের নিজস্ব অনুপ্রেরণা ও চিন্তাভাবনা একজন উদ্যোক্তাকে সৃষ্টিশীলতা ও উদ্যোগী করে তোলে।
ঝুঁকি ও ভয়: ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা এবং ভয়কে জয় করার গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে। বড় কিছু অর্জন করতে হলে ঝুঁকি নিতে হয় এবং ভয়ই বড় বাধা হিসেবে কাজ করে।
সমাজে পরিবর্তন: উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনতে পারার কথা বলা হয়েছে। এটি সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং প্রভাবকে নির্দেশ করে।
. নতুন আইডিয়া: নতুন আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে। এটি উদ্ভাবন এবং নতুনত্বকে প্রাধান্য দেয়।
অনুপ্রেরণা ও সফলতা: নিজের ভেতরের আগুনকে জ্বালিয়ে রাখার কথা বলা হয়েছে। এটি সফলতার পথে উদ্যমী হয়ে ওঠার প্রেরণা দেয়।
সংক্ষেপে: লেখাটি একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথের প্রেরণা, সাহস, উদ্যম এবং সৃষ্টিশীলতার গুরুত্বকে দারুণভাবে তুলে ধরেছে। এটি উদ্বুদ্ধকারী এবং প্রেরণাদায়ক, যা পড়ে একজন উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা আরও দৃঢ় হয়।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।
আমি সেলিনা সাথী
💞
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আসলে আপনার এই সুন্দর একটি কবিতা অনেকের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। আপনি প্রতিনিয়ত খুব সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেন যেগুলো সত্যিই মানুষের জন্য খুবই উপকার। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই কবিতা মূলক পোস্ট আবৃত্তি করে এবং বিস্তারিত জেনে। দোয়া করি আপু, আপনি আপনার নিজ গতিতে এগিয়ে যান এমন কামনাই করি।
এগিয়ে তো আমাকে যেতেই হবে। ঠিক যতটা এগোতে চাই চেষ্টা চালিয়ে যাব। আর আমার লেখা আমার কাজ যদি জনকল্যাণে এতোটুকু প্রভাব ফেলে তবেই আমার সার্থকতা। 💞
নির্ধারিত বিষয়কে কেন্দ্র করে খুব চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন আপু, যেটি হয়তো আমাদের সবার দ্বারা সম্ভব নয়। তবে আপনার কবিতা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আর প্রতিনিয়ত আপনাদের কবিতা থেকেই শিখছি। ধন্যবাদ আপু এত চমৎকার একটি কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আমার লেখা কবিতা গুলো থেকে যদি কেউ, একটিও ভালো মেসেজ গ্রহণ করে, তবেই আমার সার্থকতা।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। 💞
প্রতিটি মানুষের অন্তরেই একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকে যার সঠিক রূপ চেনার মাধ্যমে মানুষ এগিয়ে যেতে পারে। সবসময় আমরা নিজেদের সেই গুণটিকে বুঝতে পারি না, শাণিত করি না, কারণ পিছনে কাজ করে সংকোচ, উদ্যমহীনতা আর হতাশা।
এসব কিছুকে এড়িয়ে যারা অগ্রগতি লাভ করেছে, তারা প্রথমে নিজেকে বুঝে ভয় ও সঙ্কোচ ভেঙে এগিয়ে যেতে পেরেছে।
আমরা কাদেরকে খুব সফল হিসেবে দেখতে পাই ?
উদ্যোক্তা নিজের স্বপ্ন, সামর্থ্য আর বাস্তবতার সাথে কল্পনাকে মিশিয়ে অনবদ্য কিছু তৈরি করে। কিছু সময় পর তা-ই পার্থক্য গড়ে দেয়।
ধন্যবাদ, কবিতাটি নিঃসন্দেহে সবার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক৷
একদম ঠিক বলেছেন। আমাদের সুপ্ত প্রতিভা গুলোকে জাগিয়ে তুলতে পারলেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।এটা আমার বিশ্বাস।
সুন্দর সাবলীল এবং গঠনমূলক মন্তব্য করে, আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।