"নির্মম বাস্তব একটি ঘটনা" সেলিনা সাথী।। @shy-fox 10% Beneficiaries.
"সেলিনা সাথী"
আশা করি সকলেই ভাল আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।
একটি নির্মম বাস্তব ঘটনা যা শুনলে আপনি শিহরিত হবেন। এবং মানুষের উপলব্ধি মানুষের মানবতাবোধ মানুষের মনুষত্ববোধ আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি উপলব্ধি করতে পারবেন।
♦তো চলুন শুরু করা যাকঃ
আমাদের নীলফামারী এল জি ইডি ভবনে নূর হোসেননামে একটি ছেলে পিয়ন পদে চাকুরীত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ছিল রংপুর পীরগাছা।
নীলফামারীতে তার চাকরির বয়স ছিল ছয় বছর। তিনি ছিলেন বিবাহিত। তার পাঁচ বছর বয়সী একটি শিশু সন্তান ছিল। এবং আরেকটি সন্তান তার বউয়ের গর্ভে ছিল।
এই পাঁচ বছর ধরে তার বউ তাদের গ্রামের বাড়িতে ছিল এবং নূর হোসেন মাঝে মাঝে সেখানে যাওয়া আসা করতেন
সেবার পহেলা বৈশাখের 14 দিন আগে তিনি তার বউকে নিয়ে নীলফামারীতে এসে একটি বাসা ভাড়া করে থাকার সিদ্ধান্ত নেন এবং বউকে নিয়ে আসেন।
প্রথমে তার বউ নীলফামারীতে আসতে চাইনি
কিন্তু তিনি নানা রকম স্বপ্ন দেখিয়ে আবেগময় কথা বলে তাকে নীলফামারীতে নিয়ে আসেন।
নিয়ে আসর তিন দিন পর সে হঠাৎ তার বাসার ধারালো বটি টি আবার নতুন করে ধার দিচ্ছিল সকাল থেকে।
তার বউ কয়েকবার জিজ্ঞেস করছিল বটি ধার দিচ্ছো কেন?
তিনি হেসে বলেন আজ একটি বড় মাছ আনব সেটাকে কাটতে হলে পর্যাপ্ত ধার লাগবে বটিতে তাই ধাঁর দিচ্ছি।
এই বলে তিনি বাসা থেকে রেডি হয়ে অফিসে রওনা দেন এবং দুপুর বেলায় যখন বাসায় আসেন তখন তার বউ যোহরের নামায পড়তে ছিলেন। এবং তার বাচ্চাটি বিছানায় বসে খেলছিল। তিনি রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে তার বউয়ের কাঁধে খুব জোরে একটা মাইর দিল
তার বউ সেজদারত অবস্থায় সেখানে পড়ে রইল এবং তিনি এই সুযোগে তার পিঠে উঠে তার দুই পা দিয়ে তার হাত দুটোকে চেপে ধরে সেই ধারালো বটি দিয়ে জবাই করার চেষ্টা করতে শুরু করলো
এমত অবস্থায় তার বউ অনেক ছটফট করছিল এবং গলা থেকে বিকট আওয়াজ বের হচ্ছিল সেই আওয়াজ পেয়ে এবং রক্ত দেখে তার বাচ্চাটি ভয়ে কাঁদতে শুরু করে।
ওই বাসার আরো অন্যান্য ভাড়াটিয়া রা তার বউয়ের গলার আওয়াজ শুনতে পেয়ে জানালা দিয়ে দেখে যে সে রক্তাক্ত অবস্থায় থাকে জবাই করা হচ্ছে।
এবার তার চিৎকারে এলাকাবাসী হাজির হন এবং দরজা ভাঙতে সক্ষম হন।
এরপর থানা থেকে পুলিশ এসে নূর হোসেনকে তুলে নিয়ে যান এবং লাস পোস্টমডামের জন্য নিয়ে যান পরবর্তীতে যেটা শোনা যায় যে ছেলেটির মাথা ঠিক ছিল না ছেলেটি পাগল তাই
তাই সে তার নিজের বউকে এ ভাবে জবাই করেছে আসলে কেসটা কে দুর্বল করার জন্য এই রকম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে অনেকেই।
এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে আমি একটি কবিতা লিখেছি কবিতাটির নাম ছিল "আমি রোকসানা বলছি" সেটা আজ আবৃত্তি করে আপনাদের মাঝে ভাগ করে নেব।মন দিয়ে শুনলে খুব ভালো করে উপলব্ধি করতে পারবেন। তাই ভিডিও আকারে পোষ্ট করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
YouTube:
আল্লাহ্ হাফেজ।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রাইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি, বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" সংগঠেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
Cc:
কি মর্মান্তিক ঘটনা....! সত্যিই অনেকটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেই ঘটনা কে উপেক্ষা করে আপনি একটি কবিতা লিখেছেন এবং সেটি অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। আপনার সাথে তুলনা হয় না আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য♥
শুভ কামনা
♥
আপনার লেখা পড়ে আমি শিহরিত হলাম। অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু,। তবে আপনার কবি শুনে এমন মনে হচ্ছিল যেনো চোখ দিয়ে পানি পড়ছে আল্লাহ ওনাকে জান্নাতবাসী করুন আমিন ।শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য♥
কাহিনীটি পড়ে মর্মাহত হলাম, আসলে মেয়েদের এখনো নানাভাবে ঠকানো হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত পুরুষ শাসিত সমাজে আমরা কোনঠাসা হয়ে পড়ছি।
জ্বি আপু মনিি♥
আপু এইটা কী ঘটনা শুনাইলেন। হৃদয় টা ব্যতীত হয়ে গেল। মানুষ এতটা নির্দয় কীভাবে হয়?😟😟
এ ঘটনা আমার এলাকায় আমার পাশের বাড়ি আমরা দেখেছি তাহলে বুঝতে হবে আমাদের কি অবস্থা!!!
😟
খুবই ভয়ানক একটি কাহিনী। আল্লাহ মাফ করুক ওই মহিলাকে। আল্লাহ যেনো ওনাকে জান্নাতবাসী করে।
আমিন
অত্যন্ত হৃদয় বিদারক একটি ঘটনা। এরকম ঘটনার খবর আমরা প্রায়ই পত্রিকায় দেখে থাকি কিন্তু আপনার পাশে যদি ঘটে গেছে আপনি ঘটনাটির একজন এলাকার সাক্ষী হিসেবে খুবই ধাক্কার মত একটি বিষয়। সমাজে কোন মানুষ কি ধরনের চিন্তাভাবনা করছে সেটা বোঝা খুব মুশকিল এবং প্রায়শই এরকম অহরহ ঘটনা ঘটাচ্ছে যা পত্রিকার হেডলাইন হয়ে আসছে। খুবই কষ্ট লাগলো ঘটনাটি পড়ে।
আরেকটি বিষয় আপু, বানানগুলো একটু খেয়াল করবেন হয়তোবা টাইপিং এর সময় কিছু বানান একটু এদিক ওদিক হয়ে গেছে। পোস্ট করার আগ মুহূর্তে পুরো লেখাটি একবার পড়ে নিলে এই সমস্যাটি থাকে না। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া♥
খুবই ভয়ানক ঘটনা। যদি ছেলেটি মানুষিক রোগী হয় তাহলে বলতে হবে দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা আমাদের দেশে এখন হরহামেশাই ঘটছে। এর একমাত্র কারণ মানুষের মূল্যবোধের অবক্ষয়। আপনার কবিতা লেখা সুন্দর হয়েছে। আপনার কবিতা আবৃত্তির দক্ষতাও অনেক ভালো।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য♥
এত সুন্দর কবিতা লিখেন আপনি যে মন মুগ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ।সত্যিই আপনি একজন জাত কবি ,আপনার লেখার প্রেমে পড়ে গেলাম অনেক অনেক ধন্যবাদ সবসময় এমন ভাবেই লিখবেন যাতে করে আমাদের মন ভালো হয়ে যায় আপনার কবিতা পড়ে।
কথায় আছে কিছু মানুষ পশুর সমান। তারা কোনো কিছু চিন্তা ভবনা করে না। গল্পটা পড়ে বুকে ব্যথিত। সুন্দর ভাবে কবিতার লাইনে লিখেছেন গল্পটা। শুভ কামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য
আপনার কবিতা আবৃত্তি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটা কবিতার জন্য
ধন্যবাদ♥