বনভোজনে "স্বপ্নপুরী"|||~~|||♥|||
বন্ধুরা গতকাল আমাদের পাড়া-প্রতিবেশীর মিলিয়ে প্রায় 55 জন একসাথে বনভোজনে গিয়েছিলাম দিনাজপুর স্বপ্নপুরী তে।এখনকার সময় গুলো প্রায় এমন আমরা পরিবারের মানুষকেই সময় দিতে পারি না আর পাড়া-প্রতিবেশী সে তো দূরের কথা।তাই পাড়া-প্রতিবেশী সবাই মিলে একটি দিন আনন্দে কাটবো, বিনদনে কাটাবো এই কথা চিন্তা করে,,প্রতিবেশী একদল যুবক এই উদ্যোগ নেন।এবং প্রতিবেশিরা কমবেশি সবাই সাড়া দিয়েছে।আমিও কিন্তু তাদের বাইরে নই।যাই হোক সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে এই শীতের মধ্যে রেডি হওয়ার সে যে কি কষ্টকর। আমার পাশের বাড়ির সবাই দেখেছি অনেক ভোরবেলা উঠে রেডি হচ্ছে কত শোরগোল।ওদের শোরগোলে প্রায় আমার ঘুম ভেঙে যায়। যাইহোক আমি বিছানা থেকে উঠে পাশের বাড়িতে যাই।আমি গিয়ে দেখি তারা প্রায় সবাই রেডি।আর আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠেছি।এবার সবাই আমাকে তাড়া করছিল তাড়াতাড়ি রেডি হওয়ার জন্য। আমি বাসায় এসে মাত্র 15 মিনিটে রেডি হয়েছি।যা প্রায় অবিশ্বাস্য।
তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো গাড়িতে সর্বপ্রথম গিয়ে আমি উঠেছি এবং আমি বসেছি।যারা ভোর থেকে রেডি হচ্ছিল তাদের বেরিয়ে আসতে আরও আধা ঘণ্টারও বেশি সময় লাগল।
এবার একে একে প্রায় সবাই এসে গাড়িতে।আমাদের সাথে প্রায় সব বয়সী লোকজন ছিল।তার পরেও গাড়ির ভেতরে সাউন্ড বক্সের সাউন্ড বাড়িয়ে দিয়ে আমরা সবাই গান শুনছিলাম আর অনেক বেশি মজা করছিলাম।এবং আমি সবাইকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করেছি।এরপর গাড়িতেই আমরা নাস্তাটা সেরে নিলাম।মজায় মজায় যাচ্ছিলাম কিন্তু মাঝখানে এমন ভাবে জ্যামে পড়ে এক ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে ছিলাম সেই সময়টা খুব বোরিং লাগছিল। একটি সময় অপেক্ষার অবসান ঘটলো।অতঃপর আমরা স্বপ্নপুরী চলে আসলাম।সবাই বাস থেকে নেমে একটু ফ্রেস হয়ে নিলাম।এরপর যে যার যার ফ্যামিলির মতো ঘুরতে বেরোলাম।ঘুরতে ঘুরতে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করলাম।অনেক প্রিয় জন কাছের মানুষদের মিস করলাম।তবে সেখানে আমাকে সঙ্গ দিয়েছ দুটি বাচ্চা মেয়ে যারা এক মুহুর্তের জন্য আমার হাত ছাড়ে নি।তাদের বাবা-মা ছিল কিন্তু তারা বাবা-মায়ের কাছে যাচ্ছিল না যত আবদার ছিল আমার কাছে। আমিও ওদের সাথে এভাবে সঙ্গ দিয়ে বেশ আনন্দে কাটিয়েছি সময়টি।খুবই প্রাণবন্ত একটি সময় ছিল গতকালের এই বনভোজন। আসলে সবার সাথে এভাবে সময় কাটানোর মুহূর্তটা কতটাই ভালো হতে পারে সুন্দর হতে পারে আনন্দ মুখরিত হতে পারে তা কালকে আরো একবার অনুভব করেছি।
কি চমৎকার করে একজন আরেকজনের পাশে এসে ছবি তুলছি।নানারকম ভঙ্গিমায় এজন্য বাধভাঙ্গা আনন্দে উচ্ছাস। এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ একটি স্মৃতিময় দিন ছিল। স্মৃতির ফ্রেমে বন্দী হয়ে থাকবে অনেকদিন। এরপর রান্না শেষে যখন সবাই খেতে বসেছে তখনকার মুহূর্ত টা আরো সুন্দর।এক এক জন এক এক জায়গায় এক এক স্টাইলে খেতে বসেছে।এসব দেখেও মনে একটা প্রশান্তি কাজ করছিল।এরপর আমাদের লটারি প্রতিযোগিতা হয়েছিল।সেখানে আমি ছোট ছোট দুটো গিফট পেয়েছি।খাওয়া-দাওয়ার পর অন্য আরেকটি পিকনিক গুরুপে এর কনসার্ট পার্টি হচ্ছিল।সেখানে কিছুটা সময় কাটালাম।সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি দিন কাটিয়েছি।খুবই আনন্দঘন একটি মুহূর্ত ছিল গত কালকের দিনটি। তবে ফেরার সময় অনেক ক্লান্ত লাগছিলো।আর হ্যাঁ একটি কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। এক ভাবি অনেকগুলো দেশি বড়াই খাইয়ে ছিল। যা বিট লবন দিয়ে খেতে এতটাই লোভনিয় ছিল যে বললে আপনাদের জিভে জল চলে আসবে।আসলে আমাদের প্রত্যেকের উচিত সবাইকে কোনো-না-কোনোভাবে বছরে একটি দিন হলেও সময় দেয়া উচিত।হোক সেটা আত্মীয়-স্বজন হোক সেটা পাড়া-প্রতিবেশী।কিংবা কাছের বন্ধু বান্ধবদের।তো বন্ধুরা পৃথিবীতে সকল সম্পর্ক আরো সুন্দর হোক আরো মধুময় হোক এই প্রত্যাশা রেখেই আজকের মত এখানেই,,,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
যাই বলুন এই শীতের সময়টায় ভ্রমন বা টুরে যাওয়ার মজাই আলাদা ৷ আর আপনি তো পাড়া প্রতিবেশিদের সাথে গিয়েছেন ৷ এরকম প্রায় গ্রামে পাড়ায় এসব ভ্রমনে করে ৷
যা হোক কাটানো মুহূর্ত গুলো দারুন ছিল সেই সাথে নানা ধরনের ফটোগ্রাফি ৷ আপনার সাথে দুটি বাচ্চা শেষ পযন্ত সময় দিয়েছিল ৷
ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি ব্লগ তুলে ধরার জন্য ৷
ওই বাচ্চা দুটি আমার পাশের বাড়ির দেবরের বাচ্চা। ওরা শেষপর্যন্ত আমার হাত ছাড়ে নি। সব সময় আমার সাথে ঠিক এভাবেই লেগেছিল।।♥♥
১৫ মিনিটের রেডি হলেও আপনাকে কিন্তু দেখতে খুব সুন্দর লাগছে আপু। 😊
যাই হোক আমাদের সকলকে আসলে বছরে একটা দিন অন্তত এভাবে পালন করা উচিত। তবে সময় কোথায়, একটা কাজ শেষ হয় তো অন্য একটা শুরু হয়ে যায়। তবে আপনাদের আনন্দঘন মুহূর্ত কাটানো, ছবি তোলা, খাওয়া-দাওয়া করা, বিশেষ করে বরই বিট নুন দিয়ে খাওয়া।হা হা হা... এই প্রত্যেকটা মুহূর্তই খুব সুন্দর ছিল। এই কয়েক ঘণ্টা আসলে পারিবারিক অশান্তি এবং নিজের ব্যক্তিগত টেনশন থেকে ভুলে থাকা যায়।
আসলে ভ্রমণ করা, কিংবা বেড়াতে যাওয়া, এটা বিনোদনের একটি অংশ। আর বিনোদন মানুষকে সুস্থ মননশীলতা তৈরি করতে কিংবা বিকশিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।আর তাই বছরে একটি দিন হলেও আমাদের এই রকম আয়োজন করা উচিত।♥♥
বছর দুয়েক আগে স্বপ্নপুরী যাওয়া হয়েছিল তারপরে আর যাওয়ার সময় করে উঠতে পারেনি। তবে আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে পরিচিত সেই জায়গা গুলো আবার দেখতে পেলাম।অসংখ্য ধন্যবাদ এই সুযোগটি সৃষ্টি করে দেওয়ার জন্য।
আপু দু'বছর আগে আমিও গিয়েছিলাম স্বপ্নপুরীতে। তখন ছিল আমাদের কম্পানির বিশাল বড় একটা প্রোগ্রাম।পরিচিত সেই জায়গাটি আবারো স্মরন করিয়ে দিলাম। এজন্য আমারও বেশ ভালো লাগছে।। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা আপু।♥♥
55 জন একসাথে বনভোজনে গিয়েছেন! বেশ ভালো কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন নিশ্চয়ই। আসলে অনেকজন মিলে যেকোনো জায়গায় গেলে অনেক বেশি আনন্দ হয়। সবাই মিলে বেশ ভালই এনজয় করেছেন। আর জায়গাটাও বেশ সুন্দর। মাত্র ১৫ মিনিটে এত সুন্দর ভাবে রেডি হয়েছেন, আপু কিছু টিপস দিয়ে দিয়েন এত তাড়াতাড়ি সুন্দরভাবে রেডি হওয়ার 😉।
একদম সত্যি আপু মাত্র 15 মিনিটে রেডি হয়ে গিয়ে গাড়িতে বসেছি। যা আমার কাছেও অনেকটা ভালো লেগেছে।এবং আশ্চর্যজনক লেগেছে।♥♥
আপু আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ আসলে এক সাথে এতো মানুষ কথাও ঘুরতে গেলে ভালোই মজা হয় ৷ যদিও ব্যস্ততা তবে জীবনকে সময় দিতে হয় ৷ যাই হোক স্বপ্নপুরীতে আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
এটা ঠিক যে, একসাথে অনেকগুলো মানুষ কোথাও গেলে, সেই আনন্দটুকু হয় ভিন্ন ধরনের। যা স্মৃতিপটে স্মৃতি করে রাখার মত।♥♥
এবার শিক্ষা সফরে স্বপ্ন করে যাওয়ার কথা রয়েছে জানিনা দেওয়া হবে কিনা, যেহেতু আজ পর্যন্ত দিন ফিক্সড হয়নি। খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন স্বপ্নপুরে এসে যা আপনার ফটোগ্রাফি আর লেখার মাধ্যমে বুঝতে পারলাম।
শিক্ষা সফরের স্বপ্নপুরী গেলে ভালো লাগবে আশা করি। কারণ স্বপ্নপুরী দেখার মত জায়গা। অনেক সুন্দর মনমুগ্ধকর।♥♥