স্বরচিত কবিতা সূর্যি মামা|||~~~
বন্ধুরা আজ ভোরবেলা থেকে আমার মনে কেন যেন একটি প্রশ্নের উদয় হচ্ছিল বারবার।গতকাল ভেবে রেখেছিলাম আজ খুব ভোরবেলা উঠবো।কিন্তু কোনো কিছুতেই উঠতে পারছিলাম না।তাই ঘুম ভাঙতেই আগে জানালার পর্দাটা সরিয়ে আকাশের দিকে তাকালাম।দেখলাম তখন সূর্যিমামা উঁকি দিয়েছে।মনে মনে একটু অভিমান জন্ম নিল।মনে মনে বললাম আমার আগেই তোকে জেগে উঠতে হবে।যাইহোক কদিন থেকেই কেমন যেন বিমর্ষ অবস্থায় আছি।ভাবলাম এরকম অবস্থায় বেশি দিন থাকলে আমি পাগল হয়ে যেতে পারি।এবং আমার স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে।তাই ভাবলাম আজকে নীলসাগর বেরিয়ে আসবো এবং ফ্রেশ অক্সিজেন গ্রহণ করব।যে ই ভাবা শেই কাজ।নীলসাগর বেড়াতে গিয়ে নীল সাগরে চারিধারে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে একসময় আবার আকাশের দিকে তাকালাম,ঠিক সূর্য বরাবর।এবার সূর্যকে দেখতেছি অস্ত যেতে।সেই সময় একটি ছবি তুলে রাখলাম।আরে নীল সাগরের তীরে একটি সিঁড়ির উপর বসে বসে ভাবতে ছিলাম,কি ভাবে একই নিয়মে প্রতিদিন সূর্য ওঠে আবার ডুবে আসলে সূর্য কোথায় যায়।কিংবা সূর্যকে ঢেকে দেয় কে?এভাবে নানা রকম ভাবনা আমাকে তাড়িত করতে লাগে।যাইহোক সেখান থেকে ফিরে এসে আরেকটি সাহিত্য-আড্ডা ছিল সেখানে অ্যাটেন্ড করলাম।এবার বাসায় ফিরলাম রাত 9 টার পরে।বাসার টুকিটাকি কাজ করতে করতে প্রায় এগারোটা বেজে গেল খাওয়া দাওয়া করতে। সেই ভাবনা থেকে আজকের এই কবিতা। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।তো চলুন কবিতাটি পড়ে আসা যাক,,।
বিষণ্ণতার ঘোরে,
ঘুরতে হবে জাগতে হবে
ভেবেছিলাম ভোরে।
আমার আগেও সূর্যি মামা
উঠেছে দেখি জেগে,,
আমার আগে জাগলো কেন
ভেবেই গেলাম রেগে।
নীল সাগরের তীরে বসে
ভাবছি মনে মনে,,
কেমন করে সূর্যিমামা
জাগে ঐ ক্ষণে?
সন্ধ্যেবেলা কোথায় যায়
কোথায় যে তার বাড়ি,
ইচ্ছে করে সেই খানেতে
দিব আমি পারি।
এত এত ভাবনা আমায়
সূর্যি মামা ভাবায়,
নানা রকম উত্তরে
মনটা আমার দাবায়।
সকালে সন্ধ্যায় সূর্য নাকি
সাগরেতে ভাসে।
রোজ সকালে তাইতো আবার
আলো নিয়ে আসে।
পৃথিবীর চেয়ে সূর্য নাকি
তের লক্ষ গুণ বড়,,
সিয়াম এর কাছে শুনেছিলাম
এবার নোট করো।
সকাল সন্ধ্যা সূর্যিমামা
একই জায়গায় থাকে,,
দিনরাত্রির এই খেলাটা
পৃথিবী ঘোরার ফাঁকে।
অবশেষে সিয়াম বাবা
বুঝিয়ে দিল আমায়,,
এই তথ্যটা পেয়ে গেলাম
আজকে মাথা ঘামায়।
ভোরবেলারই সূর্যি মামা
পৃথিবী ডেকে আনে,
এই কথাটি এই জগতে
আর কে কে জানে?
এই কথাটি জেনে বুঝেই
খুশি হলাম আমি,,
ছোট ছোট এই তথ্যগুলো
আসলে ভীষণ দামি।
সূর্যি মামার প্রতি আর
রাগ নেই তো কোন,
জাগবো এবার একই সাথে
মন দিয়ে শোনো।♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
শীতের সময় সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠতে সত্যি অনেক সময় লেগে যায়। নীল সাগর বেড়াতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে আপনি কবি মানুষ তাইতো প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখলেই কবিতার লাইন তৈরি হয়। সত্যি আপু আপনার দক্ষতা যতই দেখি ততই মুগ্ধ হয়ে যাই। আপনার লেখা কবিতা দারুন হয়েছে। দারুন একটি কবিতা শেয়ার করেছেন আপু।
আপু বরাবরই খুবই চমৎকার চমৎকার মন্তব্য করে আমাকে অনুপ্রেরণা জোগানোর জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। এভাবেই পাশে থাকবেন সব সময়।ভালোবাসা অবিরাম♥♥
আপনার সূর্য মামাকে নিয়ে চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। নীলসাগর বেরিয়ে এসে এবং ফ্রেশ অক্সিজেন গ্রহণ করলেন।সত্যি আপু ফ্রেশ মনে সূর্য মামাকে নিয়ে অসাধারণ একটি কবিতা লিখেছেন যা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কবিতার প্রতিটি লাইন অনেক সহজ সরল ভাষায় লিখেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য।
এটা সত্য কথা আপু নীল সাগরের পিওর অক্সিজেন আমাকে সেদিন অনেক বেশি উজ্জীবিত করেছিল। কবিতাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ প্রিয় আপু এভাবেই পাশে থাকবেন।সব সময়। প্রত্যাশা রইল।♥♥
আপু আমাদের এখানে তো সূর্যই দেখা যাচ্ছে না।ঘড়ি দেখে বুঝতে হচ্ছে কখন সকাল, কখন বিকেল।অসাধারণ হয়েছে কবিতাটি। সূর্য মামা শুনলে খুশি হত,কুয়াশার ফাকে উকি দিত। অনেক তথ্যও পুরে দিয়েছেন কবিতার মাঝে।ধন্যবাদ সুন্দর কবিতাটি শেয়ার করার জন্য।
ইচ্ছে করে সূর্যি মামাকে খুশি করার জন্য তাঁকে কবিতাটি শুনিয়ে আসি। কিন্তু কি দুর্ভাগ্য বলুনতো কিভাবে যে সূর্যি মামার দেখা পেয়ে কানেকানে কবিতাটি শুনিয়ে আসি সেটাই ভাবছি।♥♥
বেশ কয়েকদিন আবহাওয়ার কারণে সূর্য দেখাই যায়নি। কিন্তু আর যখনই আপনি ঘুম থেকে উঠে সূর্যকে দেখলেন তখন আপনার মনের ভেতরে জাগলো সূর্য নিয়ে আপনি একটি কবিতা রচয়িতা করবেন। আপু আপনি সূর্য মামা নিয়ে খুবই দারুণ একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতাটি পড়ে আমার নিজের পেছনে ভালো লাগলো। কবিতা ছন্দ গুলো খুবই সুন্দর ছিল। কবিতা প্রত্যেকটা লাইন খুব সুন্দর মিল ছিল। সকালবেলা খুবই সুন্দর একটি কবিতা পড়ে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সকাল বেলা আমার কবিতা পড়ে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন বলে, সেই মুগ্ধতার পাপড়ি এসে আমার হৃদয়ে ছোঁয়া লেগেছে ধন্যবাদ।♥♥
ইশ সূর্য যদি আমাদের মত ঘুমাতো তাহলে তো আমাদের পরেই উঠতো😉।আসলেই সূর্য টা কোথা থেকে আসলো কোথায় যায় আবার ফিরে আসে তাই না।ছবিটা বেশ সুন্দর হয়েছে। বিষণ্ণতার কারন কি আপু।কবিতা বেশ সুন্দর লিখেছেন। কি সুন্দর সুন্দর করে করে কবিতা লিখেন।ভালোই লাগে পড়তে।ধন্যবাদ
বিষন্নতার বড় কারণ হচ্ছে সিয়াম শিপু আমাকে ছেড়ে অনেক অনেক দূরে, তাই। আর কবিতা লিখতে ভালোই লাগে,যখন আপনাদের এত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করে।♥♥
আপনার কবিতাগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। সত্যি সূর্যমামা নিয়ে অসাধারণ কবিতা লিখেছেন, কবিতাটি ছন্দে মিলছিল পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
সূর্যমামা কবিতাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক বেশি আনন্দিত বোধ করছি। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। সেই সাথে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।♥♥
আপনার সূর্যি মামা কবিতাটি পড়ছিলাম সূর্যের আলোয় বসে। কয়েকদিন পর সূর্যের মুখ দেখলাম আর নিজের উষ্ণ করে নিলাম।
আপনার কবিতা বরাবরই দারুন লাগে, আজকের কবিতাটি একদমই ভিন্নধর্মী ছিল।
প্রতিটি লাইন দারুন লেগেছে আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই কবিতাটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ভিন্নধর্মী চিন্তা থেকেই আজকের কবিতাটা একটু ভিন্ন রকমের হয়েছে। আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক বেশি খুশি হলাম।♥♥
আপনার কবিতা আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে। আজকে একটা নতুন টপিক নিয়ে কবিতা লিখেছেন। দারুন হয়েছে কবিতা লেখাটি। নীল সাগর বেড়াতে গিয়েছিলেন নিশ্চয়ই ওখানে ভালো কিছু সময় কাটিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
নীলসাগর বেড়াতে গিয়ে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। এটা সত্য কথা। ওখানে অতিথি পাখি গুলো দেখে মনটা ভরে উঠেছিল। সেই সাথে সুর্যি মামাকে নিয়ে তো নানা রকমের কৌতুহল মনের মধ্যে উদয় হচ্ছিল।♥