নীলফামারী সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে "সাহিত্য আড্ডা"১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য।
♥♥
লেখক এর সুলেখনি হোক
সমাজ সংস্কারের হাতিয়ার
♥♥
সকলকে শুভেচ্ছা আশা করি সবাই ভাল আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।
কাল হঠাৎ করে কবি আনোয়ারুল ভাইয়ের ফোন এলো।এবার খুব মায়াবী কন্ঠে বলতেছিল সাথেই তুমি তো এখন আমাদেরকে ভুলেই গেছো অনেক বড় কবি হয়ে গেছো তুমি।তুমি এখন আর আমাদের আড্ডা গুলোতে সময় দাও না।আমাদের কথা কি মনে পড়ে না এই সাহিত্যকে কি তুমি ভুলে যাচ্ছ।বলল আজকে একটি সাহিত্য আড্ডা আছে তুমি চলে আস এখুনি চলে আসো দেরী করোনা।নীলফামারী সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা।যেহেতু অনেক দিন থেকেই আমি এই আড্ডা গুলোতে নিয়মিত নয় তাই লোভ সামলাতে পারলাম না চলে গেলাম।একসময় সাহিত্যের টানে সারা বাংলাদেশের অনেকগুলো জেলায় ছুটে বেড়িয়েছি।অনেকদিন পর এক ঝাঁক কবি-সাহিত্যিকদের দেখে মন ভরে গেল নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে প্রায় অনেক জন আবার মিলিত হলাম।
একে একে সবাই স্বরচিত কবিতা পাঠ করছে।লেখকদের লিখনী তাদের মুখ থেকে উচ্চারণ সত্যিই অসাধারণ একটি বিষয়।মনমুগ্ধকর অবস্থায় পড়ে গিয়েছিলাম অনুভূতির বেড়াজালে।সবার কবিতা শুনতে-শুনতে অন্যরকম এক অনুভূতি অনুভবে কাজ করছিল।
সবার মত করে আমি নিজেও কবিতা পাঠ করলাম।সবাই যেন সবার কবিতা খুব মনোযোগ সহকারে শুনছেন।কারণ লেখক এর কবিতা নিয়ে সমালোচনা হবে।তাই সবাই বেশ সচেতন হয়েছে।আসলে সাহিত্য আড্ডা গুলো খুবই চমৎকার ভাবে হৃদয়ে মানসিকভাবে চরম তৃপ্তি দেয়।
একে একে প্রায় সবাই কবিতা আবৃত্তি করলো এবার সমালোচনার পালা।সময় স্বল্পতার কারণে আজকে একটি কবিতার সমালোচনা করতে হবে।তাই আমাদের সকলের প্রিয় মাহমুদ হাসান অয়ন এর কবিতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়।কারণ ওর কবিতাটি ছিল এপার বাংলা ওপার বাংলার চমৎকার একটি প্রেমের কবিতা।এবং সর্বসম্মতিক্রমে সেই কবিতাটি আমাকে আবৃত্তি করার দায়িত্ব দেন।শুনে অবাক হলাম।সবার ধারণা কবিতাটি আমার কণ্ঠে নাকি আরো বেশি মুখরিত হবে আরো বেশি প্রাণবন্ত হবে।ইতিমধ্যে অলংকার স্বরচিত কবিতা টি আমার মেসেঞ্জারে দিয়ে দিয়েছে পাঠ করার জন্য।
যাইহোক আড্ডা শেষে সবাই চা নাস্তা খেয়ে যে যার মত বিদায় নিলাম।প্রায় চার বছর ধরে আমি গাড়িতে চলাফেরা করি।কাল আমি রিকশায় গিয়েছিলাম।হেমা আসার সময় ভাবলাম আজ হেঁটে হেঁটে বাসায় যাব।কারন বেশ কিছুদিন ধরে আমি বাসার বাইরে তেমন একটা যাইনা। তাই মনে হচ্ছে একটু মোটা হয়ে গিয়েছি হাটা খুব জরুরী দরকার।আসলে ইচ্ছে করেই এমন একটা সিদ্ধান্ত নিলাম কারণ ওখান থেকে আমার বাসায় হেঁটে আসতে মাত্র 10 মিনিট লাগবে।
কিন্তু মজার বিষয় হল 10 মিনিটের রাস্তা আমি পুরো এক ঘন্টা ত্রিশ মিনিট এ ও বাসায় ঢুকতে পারেনি।কারণ আমি যখনই একটু হাঁটছি তখনই কেউ না কেউ সাথী ম্যাম কেউ না কেউ সাথী আপু বলে ডাকছে আর কথা বলছে।কোথায় ছিলাম এতদিন কি করছো কতদিন দেখিনা তোমাকে। কত প্রশ্ন?? সবার সাথে 12 মিনিট করে কথা বলতে বলতে পুরো এক ঘন্টা ত্রিশ মিনিটের আমি বাসায় ঢুকতে পারেনি।সবার এত আন্তরিকতা এত ভালবাসা নতুন করে উপলব্ধি করলাম।
আসলে গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়ালে এই মানুষগুলোর সাথে দূরত্ব বাড়ে, আর আন্তরিকতা কমে যায়। অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করলো।বাসায় এসেই সিয়ামের সাথে বিষয়টা শেয়ার করলাম।আসলে জনপ্রিয়তা খুব সহজ বিষয় নয়।নীলফামারী ছোট্ট জেলাশহর হলেও এখানে আমার জনপ্রিয়তা বিশাল।আর তাই ভাবলাম এখন থেকেই বেশিরভাগ হেঁটেই পথ চলব।যতদূর চলা সম্ভব।
"আসুন দূরত্ব কমিয়ে গুরুত্বকে বাড়াই"
প্রতিদিন একটি করে হলেও ভালো কাজ করি,,নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করি।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
সব কবি কে একসাথে দেখে বেশ ভালই লাগছে আপু 😍।
আর আপনি যে সেলিব্রিটি মানুষ এটাতো হওয়ারই কথা। যাইহোক আপু আপনার উপস্থাপনা টি অনেক ভালো লাগলো। অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
সব কবি-সাহিত্যিকরা যখন একসাথে আড্ডায় আসে, তখন আসলে বিষয়টা অন্যরকম মজার। এবং তাদের চেহারা তাদের কবিতা শুনে মনটা ভরে যায়। সত্যি অসাধারণ একটি মুহূর্ত♥♥
আপনার সাহিত্য-আড্ডা টি ছিল বেশ দারুন। তবে সেখানে আপনার কাটানো আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো এবং কবিতা আবৃত্তি সব মিলিয়ে অসাধারণ ছিল। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপনি বাসার উদ্দেশ্যে যখন হেঁটে রওনা দিলেন, আসলে সত্যি কথা বলতে কি "মানুষ মরে যায়, কিন্তু মানুষের স্মৃতিগুলো মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে আজীবন" তেমনি আপনি আপনার ভালবাসার মানুষগুলো হঠাৎ আপনাকে দেখে তাদের ভালোবাসার জানান দিয়েছে। মে খানে আপনার দেড় ঘন্টা সময় লেগেছে বাসায় ঢুকতে। আর আমাদের সাথে এত সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালবাসা অবিরাম আপু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভাইয়া। তোমার চমৎকার মন্তব্য পড়ে আমি সবসময় অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হই।♥♥
আপনার কবিতা ছড়িয়ে যাক সকলের কাছে, আপনি কবিতা দিয়ে সবাইকে মাতিয়ে রেখেছেন, সবার মন জয় করেছেন আপনার চিন্তাভাবনা এবং কবিতার ছন্দ দিয়ে। এত সুন্দর একটি দিন আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
আপনি বরাবরই আমাকে খুবই চমৎকার করে উৎসাহ প্রদান করেন যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এবং আমি অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হই।সবসময় ভালো থাকবেন প্রিয় ভাইয়া♥♥
নীলফামারী সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে "সাহিত্য আড্ডা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপু আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আপু আপনার সাহিত্য আড্ডা বেশ ভালো কেটেছে এবং কি আমি তো প্রথমে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে ১০ মিনিটের রাস্তা ১ঘন্টা ৩০ মিনিট পরের লাইন পড়ে দেখি অন্য ঘটনা। আসলে আপু সবার ভালোবাসাটা বাড়ে এই ভাবেই দেখা হলে। আপনার কারনে আজ অনেক কবি এক সাথে দেখতে পারলাম ধন্যবাদ আপু।