আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-২৪ || ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago


আসসালামু আলাইকুম/আদাব


বন্ধু মানে সুখ দুঃখের মধুর কথার মালা,,
বন্ধু মানে হাসি খুশি, দুষ্ট মিষ্ট জ্বালা।
বন্ধু মানে খুনসুটি আর কেড়ে নিয়ে খাওয়া,,
কষ্ট পেলে বন্ধুর কাছে আসা আর যাওয়া


IMG_20221011_223442.jpg

ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি

সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।আর আপনারা সকলেই ভাল থাকেন এটাই আমার প্রত্যাশা।


শুভেচ্ছার ডালি নিয়ে হাজির হলাম আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের জন্য ।। #amarbanglablog মানেই নতুনত্ব। প্রতিনিয়ত নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলা। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু। সত্যিই অসাধারণ। নানাবিধ পারিপার্শ্বিক চাপে আমরা আমাদের বন্ধুত্বের স্মৃতিগুলো প্রায় ভুলতে বসেছি। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আবারও ফিরে যেতে পারবো সেই অতীতের স্মৃতিগুলোতে। বন্ধুত্বের স্মৃতিগুলো চির অমর হোক।

IMG_20221011_223248.jpg


ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি

"ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি"

সময়টা 2009।আমার মুঠোফোনে হঠাৎ করে একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল এলো।বলতে ভুলে গেছি, কল আসার আগে সুন্দর একটি এসএমএস এসেছিল। নাম্বারটি দেখে আমি প্রায় হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম কারন নাম্বারটি হুবহু আমার নাম্বার এর মতই শুধুমাত্র একটি সংখ্যার ব্যবধান।যাইহোক কলটি রিসিভ করে সালাম কুশল বিনিময় হলো।পরিচয় ছাড়াই।তবে সেদিন আমি বেশ ঝামেলার মধ্যে ছিলাম আমাদের পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে।তাই পরিচিত হওয়ার কথা মাথায় আসে নি আমি তাড়াহুড়ো করে ফোনটা কেটে দেই।তারপর থেকে প্রায় ফোন দিত আমাকে।যাই হোক একদিন কথার ফাঁকে ওর সাথে পরিচিত হলাম।ওর নাম সুমন। তাকে ঢাকায়। গ্রামের বাড়ি বরিশাল পিরোজপুর। ঢাকায় লেখাপড়ার পাশাপাশি মামার ফার্মেসিতে বসে।যাইহোক অল্প কিছুদিন কথা বলে মনে হয়েছিল খুব ভালো মনের একটি মানুষ।ও নিজে থেকেই একদিন আমাকে অফার করলো আমরা কি ভালো বন্ধু হতে পারি।আমি বললাম আমার তো কোন ছেলে বন্ধু নেই। ছেলেরা কি মেয়েদের বন্ধু হতে পারে? সুমন বললো কেনো নয় কারণ আমার তো আরো মেয়ে বন্ধু আছে।আমি তখন বললাম আমি তো আপনাকে ঠিক ভালোভাবে চিনি না। এমনি করে কথা বলতে বলতে কখন যে ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম বুঝতেই পারিনি। এরকম করে প্রায় একটি বছর আমরা ফোনে কথা বলি।তখনতো এন্ড্রয়েড ফোন আমার কিংবা সুমনের কারোরই ছিল না।মুঠোফোনে কথা হতো।একটি সময় আমার পরিবারের সিয়াম শিপুর থেকে শুরু করে আমার মা ভাই ভাবী সবার সাথে সুমনের পরিচয় হয়, এবং কথা হয়। কিন্তু আমরা কেউ কাউকে দেখিনি।যাই হোক হঠাৎ করে একটা ট্রেনিংয়ে জীবনের প্রথম 2010 সালে ঢাকায় গেলাম।সেই সুযোগে সুমন আমার সাথে দেখা করার জন্য প্রায় পাগল।একদিন ও আমার ট্রেনিং সেন্টারে এসে রিসিপশনে বসলো।এতদিন ধরে কথা বললাম তবুও ওর সামনে যেতে আমার কেমন যেন ভয় আর একটু অন্যরকম লাগছিল।যে অনুভূতিটা আমি আপনাদের বুঝাতে পারব না।ওর সাথে দেখা হওয়ার আগে নববর্ষে ওকে একটি ফতুয়া পাঠিয়েছিলাম কুরিয়ারে।ও সেই ফতুয়াটি পরে আমার সামনে এলো। সে জন্য ওকে চিনতে আমার এতোটুকু কষ্ট হলো না।ও আমার জন্য চকলেট আর আইসক্রিম নিয়ে এসেছিল।অতঃপর দেখা হলো।


IMG_20221011_223059.jpg

ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি
সেই থেকে আমাদের জানাশোনা,,পরিচিতি টা ঠিক যেন পারিবারিকভাবে হয়ে উঠল।সুমন বেশ কয়েকবার আমাদের নীলফামারীতে এসেছিল। ও বন্ধুর মতো যেমন ঝগড়া করে,,ঠিক তেমনি বড় ভাইয়ের মতো শাসন করে যেকোনো বিষয়ে।দুটি পরিবারের মধ্যে খুবই চমৎকার একটি সেতু বন্ধন হয়ে গেলো।সুমনের মত এত ভালো বন্ধু পৃথিবীতে আর কারো আছে কিনা আমার জানা নেই।হঠাৎ করে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।নীলফামারী রংপুর কোথাও আমার চিকিৎসা হচ্ছিল না কারন আমার স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা ছিল।ঠিকমতো হাঁটতে পারতাম না প্রচুর কোমর থেকে পা ব্যাথা হত।আমার মামা তখন ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তাই মামার কথা অনুযায়ী আমার চিকিৎসার ঢাকায় শুরু হলো।আমি তখন সুমনের খালার বাসায়।আপনাদেরকে বিশ্বাস করাতে পারবো না। সুমন এবং খালা মিলে আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া, নিয়ে আসা থেকে শুরু করে সার্বিক সেবা-যত্ন করেছিলেন। কারণ তখন আমি এতোটুকু নড়াচড়া করতে পারছিলাম না প্রায় মৃত লাশের মতো হয়েছিলাম। যে ছবি দুটির শেয়ার করলাম এটি পুরনো একটি মোবাইল এ সুমন ভিডিও করেছিল। সেই ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

IMG_20221011_234030.jpg

IMG_20221011_234054.jpg

ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি

আরেকটি মজার ঘটনা বলি।আমার খুব শখ ছিল নিউজ প্রেজেন্টার হওয়ার।তাই সুমনের অনুপ্রেরণায় আমির jobsa1.com নিউজ প্রেজেন্টার প্রশিক্ষণের রেজিস্ট্রেশন করি।ঢাকা পান্থপথের বসুন্ধরা সিটির অপজিটে।দুই মাস ট্রেনিং করার পর।বেশ কয়েকটি টেলিভিশন বায়োডাটা দিলাম অডিশন এর জন্য। প্রথম অডিশন এর জন্য আমাদের সিলেকশন করল দেশ টিভি।আমি একটি পার্লার থেকে নিউজ প্রেজেন্টারের মতোই সেজেগুজে,,যথাসময়ে দেশটিভিতে হাজির হলাম।সঙ্গে সুমন ছিল।জীবনের প্রথম অডিশন এ সুমন আমাকে যা বলল তা আজীবন আমার মনে থাকবে।সে বলল আজকের অডিশনে যদি তুই পাস করতে না পারিস। তাহলে এমন থাপ্পর দিব না। তোর সব কটা দাঁত ফেলে দেবো।আমার চোখে পানি এল।পরে অবশ্য বুঝেছিলাম ও কেন আমাকে এভাবে বলেছে।যাইহোক ওই অডিশন নেই আমি সিলেকশন হই।সুমন আমার খুব খারাপ সময় গুলোতে আমার পাশে ছায়ার মত ছিল।আমার সপ্ন গুলো ইচ্ছে গুলো পূরণ করার জন্য,,ও মেন্টালি আমাকে সাপোর্ট দিতো।এমন কি সিয়ামকে যখন ঢাকায় ভর্তি করালাম তখন ও অভিভাবকের মতো দেখাশুনা করত।

IMG_20221011_223207.jpg

ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি
এরপর 2017 সাল আমি যখন নিউট্রিক গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিতে জয়েন করি,,।সেখানে কাজে আমি এতটাই ব্যস্ত হয়ে পরি যে, সুমনের সাথে কথা বলার সময় ও ঠিক পাইনা।কারন ১৯টি জেলায় আমাকে ট্রেনিং এবং সুস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রোগ্রাম করাতে হত।দিনের বেলা প্রোগ্রাম করতাম রাত্রেবেলা জার্নি করতাম।এমনি করে কাজের চাপে সুমনের সাথে আমার দূরত্ব টা বেড়ে গেল।কিন্তু বন্ধুত্বটা কমেনি এখনও।ওর সাথে আমার বন্ধুত্বের প্রায় এক যুগ পেরিয়ে গেছে।দুই পরিবারের সাথে সম্পর্কটা এখনও অটুট আছে।আমি মনে করি,মনের মতো একটি ভালো বন্ধু সবার জীবনেই যেন আসে।বহুল প্রচলিত একটি বাক্য আছে বিপদে বন্ধুর পরিচয়।যে সময় আমি উঠে দাঁড়াতে পারছিলাম না। সে সময়ে সুমন লাঠি হয়ে আমার পাশে ছিল। আমি কবিতা লিখতাম আর সুমন কম্পোজ করে দিত।সেসময় ঢাকায় অনেকগুলো প্রগ্রামে উপস্থাপনা করতাম আমি।এইতো মাত্র কবছর আগে সুমন বিয়ে করেছে।ওর ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান হয়েছে।দুর্ভাগ্য আমার ওর বিয়েতে আমাকে দাওয়াত করেনি।তবুও মন থেকে প্রার্থনা করি ওরা সুখী হোক সুখে থাক।রং নাম্বারে পরিচিত হয়ে এমন বন্ধুত্বের সম্পর্ক আমার জীবনের এটাই প্রথম।এত পবিত্র সম্পর্ক,ঠিক যেন রক্তের সম্পর্ককেও হার মানায়।সুমনের সাথে যোগাযোগ এখন অনেক কম।কিন্তু ফেলে আসা সেই মধুর স্মৃতিগুলো বার বার পিছু ডাকে।কখনো কখনো আহত করে হৃদয়টাকে।এমন মধুময় সম্পর্ক, এমন মধুর স্মৃতিগুলো, কোনদিন কখনোই বলা যাবেনা।জয় হোক বন্ধুত্বের।প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসি, আমার একমাত্র প্রিয় বন্ধু সুমন, এর পরিবারের জন্য সকলেই মন থেকে দোয়া করবেন।

IMG_20221011_223545.jpg

ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি
বিশেষ, দ্রষ্টব্য, সুমন আমার জন্য এতটাই করেছে। যে, আজকে এই প্রতিযোগিতায় তার কিছুই তুলে ধরতে পারলাম না।সময় সুযোগ হলে অন্য কোনদিন ঠিক তুলে আনবো সুমনকে।

"সুমন" নামের বন্ধুটি একটি অনুপ্রেরণার নাম

ভালো থাকিস বন্ধু আমার, সুখে থাকিস রোজ
মাঝে মাঝে একটু না হয় নিলি আমার খোঁজ

dropshadow_1629707620635.jpg

আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।




3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpq77jw4XPQMecE5Rz5bgPEz1Z1oZLbNW5N67oF5YfojwgQAL2FYSdD4RtUiqqjd7JEiagRSFFDh1UcFPpKDSFF7LXFTUzQazXN5piXY.png


🌼ধন্যবাদ🌼

Sort:  
 2 years ago 

আপু সত্যিকারে বন্ধুত কোন রক্ত সম্পর্ক লাগে না। কাজের ব্যস্তটা হয়ত ,যোগাযোগ কম হলে মনের ভিতের থেকে যায় বন্ধুতের অবদান মন থেকে চাইলে সেই বন্ধুতটা কখন ও ভুলা যায় ।যে মানুষ টা(সুমন) রং নাম্বার পরিচয় হয়ে আপানার জীবনের বিপদের সময় আপনার ছায়া মত পাশে ছিল ।বর্তমানে সময়ে এই রকম বন্ধুত্ব পাওয়া খুব ভাগ্য ব্যাপার । ধন্যবাদ আপু আপানার ফেলে আসা বন্ধুত্ব আমাদের সাথে শেয়ার করবার জন্য ।শুভ কামনা রইল আপু ।

 2 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।♥♥

 2 years ago 

আপু আপনার বন্ধুত্বের স্মৃতি পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যিই তো আপনার মতো জীবনের একজন ভালো বন্ধু কজনে পায়। বিপদে যে এগিয়ে আসে সেই হলো প্রকৃত বন্ধু। সুমন আপনার অসুস্থের সময় আপনার পাশে ছায়ার মতো থেকেছে। তার খালার বাসা রেখে চিকিৎসা করেছে। পাশে থেকে সাপোট দিয়েছে। এটাই তো একজন প্রকৃতি বন্ধু। আসলে কর্ম জীবনে হয়তো বা বন্ধুত্বের সাথে যোগাযোগ কম হয়। কিন্তু বন্ধুত্বের স্মৃতি ভুলা যায় না।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন কর্মব্যস্ততার কারণে অনেক মধুর সম্পর্ক গুলো কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
♥♥

 2 years ago 

আপু, আপনার ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতিটুকু পড়ে খুবই ভালো লাগলো।মোবাইল ফোনে এক বছর দেখা না করেও ভালো বন্ধু পাওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। কেননা মোবাইলের ওপারের লোক কেমন হবে তা আপনার জানা ছিল না। কিন্তু যখন এক বছর পর আপনার বন্ধু সুমন ভাইয়ের সাথে দেখা হল, আর সেই থেকে বন্ধুত্বের বন্ধন আরো গভীর হয়ে গেল ব্যাপারটি খুবই ভালো লেগেছে আপু। বিপদের বন্ধুই বড় বন্ধু আর সেই দিক থেকে সুমন ভাই আপনার বিপদের দিনের প্রকৃত বন্ধু । আর এই প্রকৃত বন্ধু রক্তের সম্পর্কের চেয়েও অনেক বড়। আপু, ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতিটুকু শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আসলে সুমনের সাথে প্রথম দেখা হওয়ার অনুভূতিটা একেবারে ভিন্ন রকম। যা কোনদিন কখনোই আমি লিখে প্রকাশ করতে পারবো না।।♥♥

 2 years ago 

ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে একজন ভালো বন্ধু জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। বলতে হবে আপনি খুবই ভাগ্যবান আপনার ভালো বন্ধু রয়েছে। বিপদের সময় এগিয়ে এসেছে। অনুভূতি গুলো খুব চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

 2 years ago 

আপনি একদম ঠিক বলেছেন আসলেই,,আমার ভাগ্য এত ভালো বলেই এত সুন্দর বন্ধু পেয়েছি।♥♥

 2 years ago 

আপু,প্রথমে তোমাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।আপুমণি, তোমার ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতির কথা গুলো মনোযোগ সহকারে পড়েছি,আসলে সত্যি কথা কি আপু একটা ছেলে বন্ধু কিন্তু ভালো বন্ধু হতে পারে।আর তোমার জন্য অনেক কিছু করেছে সেগুলো ভুলার মত নয়।একটা ভালো বন্ধুই পারে সুখে দুঃখে সাথী এবং কাছের মানুষ হতে। আপু, নিজের কর্মের কারণে ব্যস্ত থাকার কারণে প্রিয় বন্ধুটির সাথে যোগাযোগ হয় না তারপরও কিন্তু মন থেকে ওই বন্ধুর সৃতি গুলো মুছা যায় না।যেমনটা তোমার ক্ষেত্রে হয়েছে আর দোয়া করি সুমন ভাইয়ের সাথে তোমার বন্ধুত্বের সম্পর্কটা যেন সারা জীবন থাকে। ধন্যবাদ আপু 🥰🥰

 2 years ago 

ঠিকই বলেছ আপু মনি। একটা ছেলে বন্ধু কিন্তু একটা মেয়ে বন্ধুর ভালো বন্ধু হতে পার, যদি তাদের মনোভাব বন্ধুসুলভ হয়ে থাকে।♥♥

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64349.87
ETH 2775.11
USDT 1.00
SBD 2.65