বিলুপ্তপ্রায় স্থানীয় লোকসংস্কৃতি || প্রতিযোগিতা-০৬ || নারী ক্রীড়া প্রতিযোগীতা
♦ বন্ধুরা অনাবিল শুভেচ্ছা রইল।আশা করি সকলেই ভাল আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি।
♦সেই সঙ্গে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সুপ্রিয় বাংলাদেশী এডমিন জনাব @moh.arifভাইকে, তাঁর সুচিন্তিত এই প্রতিযোগিতাটি প্রকাশ ও আমাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার জন্য।আজ আমি আপনাদের মাঝে ভাগ করে নেবো
**বিলুপ্তপ্রায় স্থানীয় "নারী ক্রীড়া প্রতিযোগীতা""
আমাদের স্থানীয় লোক সংস্কৃতির মধ্যে নারী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল অন্যতম।।যা প্রায় বিলুপ্তির পথে।
এই বিলুপ্ত হওয়া শিল্পকে আবারো উজ্জীবিত করার জন্য তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের উদ্যোগে নীলফামারীসহ 11 টি জেলায় আমরা একযোগে কার্যক্রমকে চালু করেছিলাম।
নারী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এটা 2019 সালে এই প্রোগ্রামটি আমরা করেছিলাম যে টার কিছু ভিডিও চিত্র আমার কাছে ছিল সেখান থেকেই কিছু ছবি স্ক্রিনশট দিয়ে এখানে শেয়ার করলাম।
সেইসাথে সেই ভিডিওটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম যা দেখলে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে আমি জানি আপনারা অনেক ইনজয় করবেন
ৃ
নীলখামারী নীলের দেশ।
নীলফামারী বেশ বেশ
বাল্য বিয়ের কারখানা
ছিল সেই জামানা
যৌতুকর নিপিরণ
অসহ্য জ্বালাতন
বন্ধ করতেই আয়োজন
সকল প্রকার নির্যাতন
আমাদের নীলফামারীতে একসময় অনেক বেশি নির্যাতন হতো। এবং নারীরা প্রায় ঘরমুখো ছিল তাই এখানকার মানুষ বিশেষ করে নারীরা বেশি শিক্ষিত ছিল না। তাই নারীদের উজ্জীবিত করতে এখানে প্রচলন ছিল নারীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
তাতে ছিল হরেক রকমের খেলাধুলা যেমন বালিশ খেলা দৌড় খেলা মার্বেল খেলা ইত্যাদি খেলাগুলো আগে নারীদের খুব প্রচলন ছিল।
কালের বিবর্তনে আজ স্থানীয় এই লোকসংস্কৃতি প্রায় বিলুপ্তির পথে।
তাই এই সংস্কৃতিকে আবারো উজ্জীবিত করতে "তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ" একযোগে প্রায় 11 টি জেলায় এই নারী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও নারী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের কেন্দ্রীয় নির্বাচিত সভাপতি।
আমাদের এই স্থানীয় লোক ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য আমরা যে আয়োজন করেছিলাম এর মধ্য থেকে ছিল চামুচ মার্বেল দৌর প্রতিযোগীতা।
এর পরেই ছিল ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ।যে খেলায় অনেক বেশি উদ্যম ।ছিল।ছিল ভয়, ছিল কনফিডেন্স।
এর পরেই ছিল এক মিনিটে বেলুন ফুলানো। কে কতগুলো বেলুন ফোলাতে পারে মাত্র এক মিনিটে।
জমে গেছে খেলা,,,,
এরপরে আরো একটি জনপ্রিয় এবং জমকালো খেলা যে খেলাটি ছিল সব খেলার মধ্যে অন্যতম এক আকর্ষণিয় খেলা।মিউজিক বল খেলা। যে খেলাটি মিউজিকের তালে তালে খেলা হয়।
সব খেলা শেষে প্রতিযোগিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী করা হয়।।এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যম মহিলারা আরও বিকশিত হতে পারে। অনুপ্রেরণা পায় এবং উৎফুল্ল হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব জয়নাল আবেদিন।
তিনি অনেক বেশি খুশি হয়ে আমাদের এই লোকসংস্কৃতিকে আরো উজ্জীবিত করার জন্য অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন।
সেই সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নারী নেতৃবৃন্দ। বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্রিরা উপস্থিত ছিলেন।
আমি পুরো অনুষ্ঠানটি আংশিক ভিডিও আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে
বিলুপ্ত স্থানীয় লোকসংস্কৃতি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পেরে সত্যিই আমি আনন্দিত।
সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায়।
আল্লাহ হাফেজ
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রাইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি, বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" সংগঠেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
Cc:
আসলেই আপু বিষয়টি বিলুপ্তির পথে, কেননা আগে নারীদের চেয়ার খেলা , বালিশ খেলা, আরো এরকম আরো অনেক খেলা আছে যেটা এখন আর খেলাই হয় না নারীদের।
দিন দিন নারী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বিলুপ্তি হয়েছে যাচ্ছে।
ঠিক তাই
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, খুবই সুন্দর একটি বিলুপ্তপ্রায় লোকসংস্কৃতি নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এই লোকসংস্কৃতিতে ইউনিক একটি লোকসংস্কৃতি। আমি মনে করি বাংলাদেশে নারী ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রয়োজন অপরিসীম এবং তা কোনোভাবেই বিলুপ্ত হতে দেওয়া যাবে না। আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া♥
নারীদের প্রায় সকল খেলাই বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে।এরকম খেলা গুলো খুব মিস করি এখন।আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন।এটা একটি অন্যতম লোক সংস্কৃতি।কিন্তু কালের বিবর্তনে আমরা এটা হারাতে বসেছি।
শুভ কামনা রইলো আপু।সুন্দর হয়েছে আপনার পোস্টটি।
অসংখ্য ধন্যবাদ♥
এই খেলাগুলো অনেক বছর ধরে দেখা হয়না।বিলুপ্ত হওয়ার পথে।বিশেষ করে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে এসব খেলার আয়োজন করা হতো।মহিলাদের বালিশ খেলাটা আমার অনেক ভালো লাগতো।ধন্যবাদ আপু আপনাকে এরকম একটি বিলুপ্ত প্রায় সংস্কৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
শুভ কামনা♥
বর্তমান বহির্বিশ্বে এসকল খেলাগুলো আর হয় না। তবে আমার মনে আছে আজ থেকে প্রায় 10 বছর আগে আমার বোন যখন স্কুলে পড়তো তখন আমি তার হাত ধরে স্কুলে যেতাম এবং তাদের এই সকল খেলা গুলো উপভোগ করতাম।
এখন এসকল খেলাগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে আমাদের দেশ থেকে
ঠিক বলেছেন ভাইয়া♥
ধন্যবাদ আন্টি আপনাকে ..... অসাধারণ একটি লোকসংস্কৃতির বিষয় তুলে ধরেছেন ।
নারী ক্রীড়া প্রতিযোগীতা এটি এখন আর তেমন হয় না ।। আগে এটি অনেক জনপ্রিয় ছিলো ,তবে এখনো আছে । দীর্ঘ সময় করোনার কারনে আমার আর এসব খেলা দেখতে পারিনি ।।।
শুভ কামনা রইল আন্টি....❤️❤️🥰🥰🌷🌷
শুভ কামনা ♥
আন্টি, আপনার পোস্টটি আমার অসাধারণ লাগলো।❤️❤️❤️।।
আপু দারুন লাগলো।ভিডিও টাও দেখলাম। সত্যিই বিলুপ্তির পথে এই খেলাগুলি। এখনো পুরোপুরি হয় নি। তবে বিলুপ্তির পথে অগ্রসর হচ্ছে। যাইহোক দারুন উপস্থাপনা ছিলো। আপনি পুরো ক্রীড়া প্রতিযোগিতা তুলে ধরেছেন। খুবই সুন্দর। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া♥