ঈদ সালামি নিয়ে শৈশব স্মৃতি চারণে স্বরচিত কবিতা "সালামি ||~~"
সকলকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আছি কোন এক রকম। আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা ঈদ মানে হাসি ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ।ধনী-গরিব সব ভেদাভেদ মুছে ফেলে হাতে হাত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আনন্দ উপভোগ করার নামই হচ্ছে ঈদ।ঈদের আনন্দকে আরও বেশী মুখরিত করার জন্য, আমাদের সমাজে সালামি প্রথা চালু রয়েছে।আমি যখন ছোট ছিলাম তখন খুব মজা হতো এই ৃসালামি নিয়ে।ঈদের দিন ভোর বেলা থেকেই সবাইকে সালাম দেয়া শুরু করতাম।আর কেউ সালাম দিলে কি যে খুশি হতাম।কিছুক্ষণ পর পর গুনে গুনে দেখতাম কত টাকা হল সালামি।প্রতিবেশী সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করতাম তোর চেয়ে আমার সালামি অনেক বেশি।কখনো কখনো তাদের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়ে যেত।এরপর সালামের টাকা গুলো জমিয়ে রাখতাম।কিন্তু এখন বড় হওয়ার পর তেমন কেউ আর সালামি দেয় না।আমাদের সকলের প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের সন্মানিত ফাউন্ডার @rme দাদার সালামি পেয়ে আজ অনেক বেশি আনন্দিত বোধ করছি।আসলে সালামি পাওয়াটা অনেক খুশির একটি বিষয়।দাদার কাছ থেকে সালামি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম আজ।আর তাই দাদাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।আজ দাদার সালামি পেয়ে শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম।আর সেই অনুভূতি থেকেই আজ একটি কবিতা রচনা করলাম।কবিতার শিরোনাম সালামিআমি বিশ্বাস করি এই কবিতাটি পড়লে অনেকেই শৈশবে ফিরে যাবেন।ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যাবে।
স্বরচিত কবিতা
"সালামি"
আবার ফিরে যাই,,
ঈদ সালামি যেন আবার
সবার কাছে পাই।
বাবা দিত ঈদ সালামি
দিতে ভাই-বোন,
নানা দিত নানি দিত
ভরে যেত মন।
চাচা-চাচী সবাই দিতো
দিতো মামা- মামি,
ছোট ছোট সালামীগুলো
হতো অনেক দামি।
সালাম দিতাম আগে আগে
হাত বাড়াতাম পরে,
দাদা-দাদিরা সালামি দিতো
হাতটি টেনে ধরে।
সারাটিক্ষন টাকা গুনি
গুনা হতো না শেষ,
হৃদয় মাঝে দোলা দেয়
সেই সে ভাবাবেশ।
আগের মতো এখন আর
সালামি দেয়না কেউ,
ছোট হওয়ার জন্যে তাই
হৃদয় খেলে ঢেউ।
ছোটবেলার স্মৃতি গুলো
আজও মনে পরে,
ঈদগাহ মাঠে যেতাম যখন
বাবার হাতটি ধরে।
কবর দেশে বাবা এখন
তাইতো এতো অভাব,,
বটবৃক্ষের ছায়া যেন
সব বাবাদের স্বভাব।
বাবা ছাড়া ঈদের খুশি
লাগে না আরো ভালো
বাবা যেন জীবদ্দশায়
ছড়ায় খুশির আলো।
২২ এপ্রিল ২০২৩
সময় রাত ৮:৪৬
ঈদের দিন
কবিতা কুটির নীলফামারী।

আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় ঈদের সেলামি পেলে সত্যিই অনেক খুশি হতাম। আর আমাদের সকলের প্রিয় দাদা আমাদেরকে ঈদের সালামি দিয়েছেন এজন্য আমরা সবাই আনন্দিত। আপু আপনার লেখা কবিতাটি চমৎকার হয়েছে। আপনি বরাবরই দারুন লিখেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে ঈদের সালামি নিয়ে দারুন একটি কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা কবিতাটি বেশ দারুন ছিল। ঠিক বলেছেন আপু আপনি আবারো মন চায় সেই শৈশবে ফিরে যেতে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য।