꧁:"ঈদ আনন্দে আমরা সবাই" ꧂☆
☆꧁:"ঈদ আনন্দে আমরা সবাই" ꧂☆
সকলকে পবিত্র ঈদুল আযহার অনাবিল শুভেচ্ছা। ঈদের খুশিতে ভরে উঠুক সকলের পরিবার। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছিলাম আজ ঈদের ৫ম দিনে। আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে আমি মোটামুটি ভাবে বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলাম। তাই এবার ঈদে কোথাও ঘুরাঘুরি করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। আর যখন আমাদের ছোট্ট নানা ভাইকে নিয়ে আমরা সবাই বেড়াতে গিয়েছিলাম সেখানে তার দুষ্টুমি গুলো আমাকে অবাক করিয়ে দিয়েছিল। আমরা সচরাচর প্রতি ঈদে যেখানে বেড়াতে যাই ঠিক সেই জায়গাটার সাইফন বলে।সাইফনের একদিকে ছিল প্রবাহমান নালা। সাইফনের নিচ দিয়ে কি সুন্দর করে পানির স্রোত যাচ্ছিল। আমার বড় বোনের মেয়ে তিথী ওর ছেলের নাম তাসদিক। ও ভীষণ দুষ্টুমি করে। সাইফনের নিচে গিয়ে ও পানের স্রোতের সাথে খেলা করার জন্য ছুটে যাচ্ছিল।কোন কিছুতেই ওকে আটকানো যাচ্ছিল না।ওর বাবা ওর নানুমণি ওর মা আমি সিয়াম শিপু সবাই মিলে ওকে সামলাতেই পাচ্ছিলাম না।
যাইহোক অনেকদিন পর আজকে এই প্রাণবন্ত পরিবেশে পরিবারের সকলের সাথে বেশ মজার সময় কাটালাম।আসলে পরিবারের সাথে আনন্দঘন মুহূর্ত কাটানোর মজাই আলাদা।আজ আমি নিজেও যেন অনেক ছোট হয়ে গিয়েছিলাম।আমারও বেশ ছোটাছুটি করতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু মাঝে মাঝে খুব ভয় পাচ্ছিলাম। যদি পড়ে যাই।এমন একটা আতঙ্ক গ্রাস করছিল মাঝে মাঝে। তাইতো কখনো আমার বড় বোন কখনো দিব্যি কখনো শ্যামা আমার হাত ধরে ধরে হেঁটেছে। এবং আমাকে বেশ সাহস জোগাচ্ছিল।
সাইফনের নিচ দিয়ে যেখানে স্রোত যাচ্ছিল এই সেই জায়গাটায় দাঁড়িয়ে আমি প্রীতি এবং শ্যামা একটি সেলফি তুলেছিলাম।আর এখন তা আপনাদের সাথে শেয়ার করে বেশ ভালই লাগলো।যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের সকলের একটি প্রাণ প্রিয় পরিবার। তাইতো পরিবারের সাথে প্রতিদিনের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালই লাগে। মনে হয় আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের তরে। তবে আজকে সকলের সাথে ঘুরতে গিয়ে মন এবং মেজাজ দুই ফুরফুরে। আসলে আমাদের প্রত্যেকের উচিত মাঝে মাঝে এরকম আনন্দঘন পরিবেশে গিয়ে সময় কাটানো।প্রকৃতির হিমেল হাওয়ায় নিজেকে সতেজ করানো। আজকের এই আনন্দঘন মুহূর্তটি চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন।কারণ তাশদিক আমাদের ছোট্ট নানুভাই আমাদের সকলকে দারুন বিনোদন দিয়েছে। আপনারা সকলেই তাশদিকের জন্য দোয়া করবেন। যেন পর হয়ে ভালো মানুষ হতে পারে। তো বন্ধুরা আজকের এই আনন্দঘন মুহূর্ত আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করে আমার বেশ ভালো লাগলো। আপনাদের কেমন লাগলো। সুন্দর মন্তব্যের মধ্যে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। আজ আর নয়। ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। টাটা,,,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপু আপনার আনন্দঘন মূহুর্ত দেখে অনেক ভালো লাগল। সত্যি আপু মাঝে মাঝে এভাবে ঘোরতে গেলে মন অনেক ভালো থাকে।আর ছোট বাচ্চারা এমন জায়গা পেলে বেশ আনন্দে থাকে।আর এই আনন্দটা যদি পরিবারের সাথে হয় তাহলে তো কোন কথায় নেই। অনেক ধন্যবাদ আপু আনন্দঘন মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছো আপু, ছোট বাচ্চাদের এমন খুশি দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়।
ঈদ পরবর্তী সময়ে সবাই দেখছি অনেক ঘোরাফেরা করছে এবং মজা করছে।
আপনারা এদিন ঘোরাফেরা করে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন পরিবারের সবাই মিলে।
আসলে ঈদ আমাদের জীবনে কল্যাণ এবং খুশির বার্তা বয়ে নিয়ে আসে প্রতিনিয়তই।।
ঈদ আমাদের জীবনে সব সময় আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। তাইতো পৃথিবীর সকল ব্যস্ততা কাটিয়ে সবাই প্রিয়জনের কাছে ছুটে আসে।
♥♥
এরকম প্রাণবন্ত পরিবেশে সবাই মিলে সময় কাটানোর মুহূর্ত এবারে অন্যরকম হয়। আপনারা সবাই দেখছি অনেক সুন্দর একটা জায়গা গিয়েছিলেন এবং সেখানে খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন। আসলে যারা একটু বেশি দুষ্টু তারা বিভিন্ন জায়গায় গেলে একটু বেশি দুষ্টামি করে। তাইতো তাসদিককে আপনারা সবাই মিলে সামলাতেই পারছিলেন না। ঈদের পরে এরকম জায়গায় যেতে পারলে ভালোই লাগে।
অনেক দুষ্টু এবং চঞ্চল।ওর দুষ্টুমির কাছে হার মেনে যাই আমরা সবাই।তবে ওর দুষ্টুমিগুলি বেশি ভালো লেগেছিল আমার কাছে।♥♥
আসলেই কালকের দিনটি চমৎকার ছিলো। খুবই সুন্দরভাবে আনন্দমুখর সনয় পার করেছিলাম আমরা। পুরো সময়টা অনেক আড্ডা, ঘুরাঘুরির মধ্যেই গিয়েছিলো।
একদম ঠিক বলেছ। দারুন কেটেছিল কালকের এই আনন্দমুখর সময় গুলো। যা, স্মৃতির পাতায় যোগ হয়ে রইল চিরদিনের জন্য♥♥
আপনাদের আনন্দঘন পরিবেশের ছবিগুলো দেখে বলতে ইচ্ছে করছে আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।
ঠিক যেন সেই গানটির মতই হাহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।পরিবারের সাথে আনন্দঘন মুহূর্তগুলো ঠিক এরকমই হয়।♥♥
এরকম সুন্দর জায়গা গুলো আমার খুব পছন্দের। ঈদের সময় বিভিন্ন জায়গায় সবাই মিলে ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমরাও গত পরশুদিন একটা জায়গায় গিয়েছিলাম সবাই মিলে। পানির স্রোত যেখান দিয়ে যাচ্ছিল আপনারা সেখানে দাঁড়িয়ে বেশ ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন বুঝতে পারছি। আপনাদের সবার হাসি মুখ দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
আসলে আনন্দমুখর সময় গুলোতে এত চমৎকার করে প্রাণবন্ত হাসি আসে ঠোঁটের কোণে, যা অনেকের দৃষ্টি নন্দিত করে।♥♥
পানির স্রোত বয়ে যাওয়ার মুহূর্তে সেই জায়গায় দাড়িয়ে ভিডিওগ্রাফি অথবা ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালো লাগে। সুন্দর একটি স্থানে আপনারা আত্মীয়-স্বজন সবাই মিলে ঘুরতে এসেছেন এবং অনেক আনন্দ করেছেন, এমন দারুন মুহূর্ত দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে আপু।
হ্যা ভাই, অনেক ইনজয় করেছিলাম গতকাল।
প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করিছি। ঠিক বলেছেন আপু এ ভাবে মাঝে মাঝে পরিবারের সকলকে নিয়ে ঘুরে বেড়ালে বেশ ভালো লাগে। নতুন করে কাজ করার শক্তি পাওয়া যায় । আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে বেশ আনন্দ করেছেন সকলকে নিয়ে। মাঝে মাঝে এভাবে বেড়িয়ে পরবেন। আপনার নানুভাইয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা।
অনেক ইনজয় করেছিলাম আপু, পরিবারের সবাই মিলে গিয়েছিলাম অনেক দিন পর। সময়টা অনেক ভালো কেটেছিলো।