📕স্বরচিত কবিতা আলোর পথিক📘💥a
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভাল আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আবারও নতুন একটি স্বরচিত কবিতা নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে। আশা করি আমার আজকের কবিতাটির মধ্যেও নতুনত্ব থাকবে। থাকবে কিছু অসাধারণ মেসেজ।আমাদের সমাজের একশ্রেণীর মানুষ আছে যারা অন্ধকারে নিমজ্জিত।নিজের ঘরের সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে, নিজেকে পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ রেখে, পথে-ঘাটে এত বড় বড় লেকচার দেন, যেন বিশাল বড় নেতা।আলোর পথের যাত্রী।আলোক উদ্যোক্তা।এমনই একজন ব্যক্তি সম্পর্কে কিছু ধারনা আমার হয়েছে।এবং সেই ধারণা থেকেই আজকের এই কবিতার সৃষ্টি।তবে আমি কারো ব্যক্তিজীবনকে উদ্দেশ্য করে এখানে লিখি নাই।কারো জীবনের সাথে কমন পড়ে গেলে আমাকে ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন।তবে আমি নিজে যে কাজ গুলো করিনা। সেসব কাজ অন্যদের ও করতে বলিনা। শুধুমাত্র নিজেই যে কাজগুলো করি মানে সেগুলো নিয়েই কথা বলি সমাজে, পরিবারে। আমি যদি আমার নিজের পরিবর্তন আনতে না পারি আমার পরিবারের পরিবর্তন আনতে না পারি, তাহলে সমাজে পরিবর্তনেড় কিভাবে ভূমিকা রাখব? তাই তো সবার আগে নিজের পরিবর্তন আনতে হবে। নিজেকে সমৃদ্ধিশালী করে, এরপর দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে যেতে হবে সমাজ পরিবর্তনের কাজে।ঠিক যেমনটা আমি মনে করি পরিবর্তন শুরু হোক আমার থেকে। আমি নিজে যদি আলোকিত হতে পারি তবে আমার আলোয় আরও হাজার জনকে আলোকিত করতে পারব। কিন্তু আমার নিজের কোন আলো নেই আর সমাজকে আলোকিত করার জন্য যদি গলা ছেড়ে চিল্লাই সেটা কি সম্ভব?? আসুন জ্ঞানের আলোয় নিজেকে উদ্ভাসিত করি। আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখি।
পরাধীনতার শিকল পায়ে
হাতে আলোর মশাল,
স্বাধীনতাকে জিম্মি করে
লেকচার দেন বাচাল।
নিজের ঘরের প্রদীপ শিখা
নিবু নিবু জ্বলে,
তীব্রতর কষ্ট নিয়ে
আলোর কথা বলে।
অন্ধকারে বাস করে
ছড়িয়ে দেবে আলো,
দূর করবে এই সমাজের
কুৎসিত সব কালো।
নিজের রিমোট অন্যের হাতে
তিনি বিশাল নেতা,
এমনি করে যুদ্ধক্ষেত্র
যায় কি বল জেতা-?
পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে
গর্জে উঠো হিরো,,
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস
হোক আর ও দৃঢ়।
লাখো মানুষের অনুপ্রেরণায়
থাকবে তোমার নাম,
আলোর পথিক বলেই পাবে
দেশ-বিদেশে দাম।
বলব আমি সবার আগে
নিজেকে করো স্বাধীন,
মুক্ত মনে দৃপ্ত পায়ে,,
নাচো গাও তাধিন।
আলোকিত হয়ে তুমি
ছড়াও সেই আলো,,
প্রশান্তি পাবে মনে দেখ
লাগবে ভীষণ ভালো।|
২৯ জানুয়ারী ২০২৩
সময় রাতঃ ২.৩০ মিনিট
কবিতা কুটির, নীলফামারী।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
মাঝে মাঝে মনে হয় অদৃশ্য পরাধীনতার শিকল আমাদের পায়ে পরানো আছে। আসলে আমরা কতটুকু স্বাধীন সেটা নিজেরাও জানিনা। তবে অদৃশ্য সেই শিকল থেকে বেরিয়ে এসে যদি আমরা নিজের মত করে জীবনটাকে উপভোগ করতে চাই তাহলে মন্দ হয় না। যাইহোক আপু আপনার লেখা কবিতা বরাবরের মতো এবারও দারুন হয়েছে। আপনি হচ্ছেন একজন কবি মানুষ। কবিতার ভাষায় নিজের মনের কথা তুলে ধরতে পারেন।
দেখা যায় আমরা প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে কোনো-না-কোনোভাবে আমরা কোন এক জায়গায় পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ।মুক্তচেতনা'র চিন্তা-ধারা দিয়ে এই শিকল ভেঙ্গে ফেলে, স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। বিকশিত করতে হবে নিজের সুপ্ত প্রতিভা কে।♥♥
হ্যাঁ আপু সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে ,আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে, পরে পরিবার কে পরিবর্তন করতে হবে,এইভাবে সমাজ পরিবর্তন হয়ে যাবে।আপু বরাবরই খুব ভালো কবিতা লেখেন ।অনেকদিন একটিভ ছিলাম না তাই আপুর কবিতা অনেক মিস করেছি ।অনেক দিন পর আপনার কবিতাটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে।
প্রিয় আপু অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক বেশি খুশি হলাম।। সত্যিই আপনাকে অনেক মিস করেছি আমি নিজেও। তবে প্রত্যাশা করবো এখন থেকে নিয়মিত,,সাথে এবং পাশে পাব।♥♥
আমরা স্বাধীন কিন্তু স্বাধীনতা খুঁজে পাই না। কিরকম স্বাধীনতা নিজেও জানিনা। তবে আপনার কবিতাগুলো সব সময় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনার কবিতাগুলো পড়লে অনেক কিছু শেখা যায় এবং অনেক কিছু জানা যায়। আপনার কবিতার মধ্যে বিচিত্রময় কিছু তুলে ধরেন। তবে আমাদের সমাজে এমন লোক আছে যারা মুখে বড় বড় কথা বলে কিন্তু তাদের কাজের সাথে কিছুই মিল নেই। আপনি খুব চমৎকার একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
আপু স্বাধীনতা কিংবা সফলতার রাস্তা কোনদিন কখনোই তৈরি করা থাকে না এটা তৈরি করে নিতে হয়। অর্জন করতে হয়। যুদ্ধ করতে হয়। এর পরেই না স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব।তারপরেও প্রশ্ন থেকে যায় আমরা কি স্বাধীন??♥♥
আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে তাহলে দেখা যাবে সমাজ পরিবর্তন হয়েছে। এই সমাজ অনেক লোক আছে যারা বড় বড় কথা বলে কিন্তু কাজের সময় তা করে না। আপনার কবিতা বড়া বড়ই সুন্দর হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ধন্যবাদ আপনাকে।
চলো বদলে যাই।। বদলে দেই। আগে নিজের পরিবর্তনটা শুরু করি একদম নিজের থেকে,,
♥♥
পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে, তবে সবার আগে প্রয়োজন নিজেকে পরিবর্তন করার। সবকিছু একদিন পরিবর্তন হবে যদি প্রত্যেকেই আমার আমিকে পরিবর্তন করতে পারে।
কবিতাটি দূরদান্ত ছিল আপু।
আমরা প্রত্যেককেই যদি অঙ্গীকার করি। নিজে পরিবর্তন হব। এবং নিজের পরিবর্তনের জন্য যদি নিজেই নিয়মিত কাজ করি, তাহলে ঠিক একদিন নিজের পরিবর্তন যেমন সম্ভব। তেমনি সমাজের, তেমনি রাষ্ট্রের, আমি আশাবাদী।♥♥